বিশ্বখ্যাত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই জানিয়েছে, তারা চীনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর চ্যাটজিপিটির অপব্যবহার চিহ্নিত করেছে। এসব গোষ্ঠী চুপিচুপি কিছু অপারেশন চালাচ্ছে যা কখনও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার, কখনও বা সাইবার হামলায় সহায়তা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ওপেনএআই জানিয়েছে, চিহ্নিত কর্মকাণ্ডগুলোর পরিসর এখনো ছোট হলেও এসব গোষ্ঠীর কৌশল এবং লক্ষ্যবস্তু দিনে দিনে পরিবর্তন ও বিস্তৃত হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি উদাহরণ হিসেবে জানিয়েছে, কিছু চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্ট চীনের রাজনৈতিক বিষয় বা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ভুয়া তথ্য ছড়াতে ব্যবহার করা হচ্ছিল। যেমন: তাইওয়ানভিত্তিক একটি ভিডিও গেম নিয়ে নেতিবাচক প্রচার, পাকিস্তানি এক মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, বা ইউএসএইড বন্ধ নিয়ে বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট তৈরি।
আরেকটি ঘটনায় দেখা যায়, চীন-সম্পৃক্ত সাইবার হামলাকারীরা এআই ব্যবহার করেছে খোলামেলা তথ্য সংগ্রহ, কোড পরিবর্তন, সিস্টেম কনফিগারেশন ঠিক করা এবং পাসওয়ার্ড ভাঙা ও সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার সরঞ্জাম তৈরির মতো কাজে।
এ ছাড়া চীনের একটি প্রভাব বিস্তারকারী গোষ্ঠী চ্যাটজিপিটি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির বিভাজনমূলক ইস্যুগুলো নিয়ে দুই পক্ষের পক্ষে ও বিপক্ষে পোস্ট তৈরি করেছে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র লেখাই নয়, বরং এআই-উৎপাদিত প্রোফাইল ছবিও ব্যবহার করা হয়েছে।
ওপেনএআই নিয়মিতভাবে তার প্ল্যাটফর্মে পাওয়া অপব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে থাকে। এতে কখনো ম্যালওয়্যার তৈরি, কখনো বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া প্রচার চালানোর মতো কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এই প্রতিবেদন নিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ওপেনএআই বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মূল্যমানের বেসরকারি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি তারা ৪০ বিলিয়ন ডলারের একটি অর্থায়ন পেয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির মূল্যমানকে ৩০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল