ডিজিটাল দুনিয়ার বাস্তবতায় আজকাল স্মার্টফোন নিত্যদিনের সঙ্গী। অনলাইনে কেনাকাটা, ব্যাংকিং লেনদেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নিত্যদিনে বিভিন্ন কাজের সহযোগী হয়ে উঠেছে এটি। তবে অসতর্ক ব্যবহারে ‘ডিভাইস’ ভাইরাসের ঝুঁকিতে পড়ে। যা পুরো সিস্টেমকে প্রভাবিত এবং সংবেদনশীল তথ্য হ্যাকারদের হাতে তুলে দেয়। ম্যাকাফি তাদের প্রতিবেদনে এসব ভাইরাসের তালিকা প্রকাশ, সেগুলো শনাক্ত ও নির্মূলের উপায় জানিয়েছে...
সাইবার অপরাধীরা স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণ চালাতে পারে। সেসব ভাইরাসের মধ্যে রয়েছে-
► ম্যালওয়্যার : এটি তথ্য চুরি বা ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই ডিভাইসের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
► অ্যাডওয়্যার : এটি বিজ্ঞাপন আকারে আসে, যা ডিভাইসের তথ্যে অ্যাক্সেস নিতে পারে যদি তাতে কেউ ক্লিক করে।
► র্যানসমওয়্যার : হ্যাকারকে মুক্তিপণ না দেওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাস ব্যক্তির নিজের ফোনই তাকে চালাতে দেবে না। উল্টো হ্যাকার ব্যক্তিগত তথ্য-ছবি ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
► স্পাইওয়্যার : এটি ব্রাউজিং অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাক করে, তারপর ডেটা চুরি করে অথবা ফোনের কর্মক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।
► ট্রোজান : এ ধরনের ভাইরাস ফোনের বিভিন্ন অ্যাপের ভিতরে লুকিয়ে থাকে এবং ডেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
যেভাবে ফোনগুলো সংক্রমিত হয়
► অননুমোদিত, এমনকি পরিচিত জায়গা থেকে আসা বিভিন্ন লিংকে ক্লিক করা।
► এমন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা, যা কোনো অনিরাপদ ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় বা ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করে।
► সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করা।
► অ্যাপল অ্যাপ স্টোর বা গুগল প্লে স্টোরের বাইরে যাচাই না করে অন্য জায়গা থেকে ক্ষতিকারক অ্যাপ ডাউনলোড করা।
► পাবলিক ওয়াই-ফাইয়ের মতো অনিরাপদ ইন্টারনেটে সংযোগ ব্যবহার করা।
ফোনে ভাইরাস রয়েছে বোঝার উপায় ...
ফোনে হুটহাট পপ-আপ বিজ্ঞাপন বা নতুন অ্যাপ দেখা, ডিভাইসটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম অনুভূত হওয়া, পরিচিতজনদের কাছে আক্রান্ত ফোনের ব্যবহারকারীর নামে বিভিন্ন ইমেইল বা মেসেজ যাওয়া, ডিভাইসটি খুব ধীরগতিতে কাজ করা, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক বা অজানা লেনদেন। অতিরিক্ত ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার এবং আক্রান্ত ডিভাইসের ব্যাটারি খুব দ্রুতই ফুরিয়ে আসতে পারে।
তথ্যসূত্র : দ্য ভার্জ