কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উত্তর অঞ্চলে (মূল শহরে) এখন উন্নয়নের উত্সব চললেও দক্ষিণ এলাকায় হায় হায় অবস্থা। দক্ষিণ অঞ্চলে রাস্তা, ড্রেন ও ডাস্টবিন বলতে কিছু নেই। ওই এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা, ড্রেন সংস্কার ও ডাস্টবিন স্থাপনে সিটি মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা পৌরসভা ও পাশের সদর দক্ষিণ পৌরসভা নিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করা হয়। কুমিল্লা পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ড মূল শহর, সদর দক্ষিণের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক অংশ গ্রামাঞ্চল। সিটি করপোরেশন হওয়ার পরও দক্ষিণের ৯টি ওয়ার্ডে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, উত্তর রামপুর, শ্রীভল্লবপুর, দৈয়ারা, দুর্গাপুর, হিরাপুর, মস্তাপুর, কচুয়াসহ পাশের গ্রামগুলোতে রাস্তা-ড্রেন বলতে কিছু নেই। সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স দেওয়ার সময়ই শুধু তাদের মনে হয়, তারা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো. হারুনুর রশিদ বলেন, দক্ষিণ অঞ্চলে কাজ কম হয়েছে। যেসব এলাকায় জনসংখ্যা বেশি এবং গাড়ি বেশি চলে সেসব এলাকার উন্নয়নে জাইকাসহ অন্য সংস্থাগুলো বরাদ্দ বেশি দেয়। ইপিজেড এলাকা হওয়ায় সম্প্রতি আমি ৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়েছি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দক্ষিণ এলাকার কয়েকটি বড় রাস্তার সংস্কার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণের অধিকাংশ রাস্তা ১২ ফুট, ১৬ ফুটের নিচের রাস্তার কাজ করতে চায় না সংস্থাগুলো। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার বিষয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।