শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাল্টে যাচ্ছে খালের দৃশ্যপট

আফজাল, টঙ্গী

পাল্টে যাচ্ছে খালের দৃশ্যপট

গাজীপুরে পাল্টে যাচ্ছে হারিয়ে যাওয়া মৃত খালের দৃশ্যপট। ৪০ বছরের পুরনো এই খাল দূষণ আর দখলে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। অসাধু ব্যক্তিরা খালের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন বাড়িঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এর পুনরুদ্ধারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সিটি করপোরেশন। জলাবদ্ধতা নিরসন, খাল দিয়ে নৌকা চলাচল ও পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ। প্রতিটি খাল ৩০/৪০ ফুট প্রশস্ত ও ২০ ফুট গভীর এবং ৩ কিলোমিটার থেকে ৫-৬ কিলোমিটার দীর্ঘ খালের উভয়পাশে থাকবে হাঁটার রাস্তা। এটি বাস্তবায়ন হলে দৃশ্যমান হয়ে দাঁড়াবে নগরবাসীর কাছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মৈরান খাল, মোঘর খাল, চিলাই খালসহ ৭ থেকে ৮টি খাল প্রায় মৃত। এই খাল দিয়ে একসময় নৌকা চলাচল করত। এলাকার মানুষ নৌকায় চরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেত। বর্তমানে সেই খালের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি আটকে নগরজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। নগরবাসীর প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা রোধে হারিয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধারে নেয়া হয় ব্যাপক উদ্যোগ। শুরু হয় খনন কাজ। বোর্ডবাজার এলাকার এক বাসন্দিা বলেন, মেয়র আমাদের বাড়িঘর ভেঙে রাস্তা করছে আবার জমির ওপর দিয়ে খাল নিচ্ছে। এতে আমরা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। ৩৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও নৌ-পথ হিসেবে চলাচলে খাল খনন এবং খালের পাশে রাস্তা নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে গাজীপুরের চেহারা। মানুষ এখন যাই বলুক, এক সময় মেয়রের প্রশংসা না করে পারবে না। গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দূষণ আর দখলে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে সবকটি খালের। খাল পুনরুদ্ধার করে খনন কাজ করছি। একদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে অপরদিকে নৌ-পথ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এই খালে বাসাবাড়ির বাথরুমের পানি কিংবা কারখানার বর্জ্য ছাড়া যাবে না। এই খালে মানুষ গোসল করবে, পানি ব্যবহার করবে। তিনি আরও বলেন, কারও ক্ষতি করে কাজ করছি না, যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলে সে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ পাবে। যা করছি জনগণের জন্যই করছি।

 

সর্বশেষ খবর