বিনোদনপ্রেমী ও শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠি পদ্মাপাড়ে চালু করা হয় উন্মুক্ত ওয়াইফাই জোন। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) পক্ষ থেকে এটি চালু করা হলেও ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে এ সেবা বন্ধ। তবে আবারও সেই সেবা চালু করতে যাচ্ছে রাসিক। নগরীর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন মেয়র। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়র থাকাকালে পদ্মাপাড়ের বিনোদন কেন্দ্রে ওয়াইফাই চালু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে যারা দায়িত্বে আসলেন, তারা বুঝলেন না ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা। অপচয় মনে করে বন্ধ করে দিলেন ওয়াইফাই। আমি মনে করি নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্পটে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা থাকা উচিত। নগরীর ১০টি স্পটে ওয়াইফাই চালু করতে চাই।’ রাসিক সূত্র জানায়, বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে রাজশাহীর মানুষ পদ্মাপাড়েই বেশি আড্ডা দেন। ফলে বড়কুঠি, লক্ষ্মীপুর মোড়, সাহেববাজার, বিনোদপুরের একটি অংশ, শালবাগান এমন ১০টি স্পট নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনো স্পট চূড়ান্ত হয়নি।
এ বছরের মধ্যে স্পটগুলো চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা আছে মেয়রের। এরপর সেখানে চালু করা হবে ওয়াইফাই জোন। মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, শিক্ষানগরী রাজশাহীকে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে নেওয়ার জন্যই পদ্মাপাড়ের মনোরম পরিবেশে প্রথম ওয়াইফাই জোন চালু করেছিল রাসিক। ওই সময় তরুণ শিক্ষার্থীরা ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা পেতেন।
ইন্টারনেট সেবাকে কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে তারা অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। শিক্ষিত বেকার যুবকরাও সেখান থেকে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারতেন। কিন্তু এই সেবাটি বন্ধ করে দেওয়ায় তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। তিনি আবারও সেই সেবাটি চালু করতে চান। রাসিক সূত্র জানায়, দুই হাজার মিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে যেদিকে যাওয়া যাবে, সেখানেই এর সংযোগ মিলবে।সেখানে ২০০ ব্যবহারকারী একসঙ্গে ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারবেন-এমন সুবিধা রেখে ওয়াইফাই জোনগুলো চালু করা হবে।