শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত বাংলাদেশের গল্প শোনান কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। শহর ও গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে ছুটে যান তিনি। বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এই গল্পের আসর বসে। তার কথা শুনে নানা প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন উৎসুক শিক্ষার্থীরা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠা করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। উপজেলায়ও কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাবের উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় ভূমিকা রাখতে পারবে।
কুমিল্লা নগরীর ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান, গণিত ও আইসিটিবিষয়ক ৩৯ জন শিক্ষকসহ ৫৬৭ জন শিক্ষার্থী তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের গণিত, প্রোগ্রামিং, হাতে-কলমে যন্ত্রপাতি সন্নিবেশ করে মেশিন সেন্সরিং ও রোবটিক্স শেখানো হয়েছে। জেলার ১৭টি উপজেলার ২০৮টি প্রতিষ্ঠানের ১৮৯৫ জন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী ১-৩ দিন মেয়াদি রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং কর্মশালা প্রোগ্রামে অংশ নেয়। এ ছাড়াও ৯৯০ জন শিক্ষার্থী ৭-১০ দিনব্যাপী উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে কুমিল্লা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং অলিম্পিয়াড। এ লক্ষ্যে প্রতিটি উপজেলা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০ জন খুদে প্রোগ্রামার নির্বাচনের লক্ষ্যে তিন দিনের রিফ্রেশমেন্ট প্রশিক্ষণ কোর্সের আওতায় অ্যাডভান্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান বলেন, জেলা প্রশাসনের এটি ব্যতিক্রম উদ্যোগ। যা শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে। জেলা প্রশাসনের মতো আমরাও শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেব।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ’৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ উদ্ভাবক সৃষ্টির লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। সে নিরিখে কুমিল্লা রোবটিক্স ও প্রোগ্রামিং ক্লাব গঠন করা হয়েছে। নগরীর পাশাপাশি উপজেলায়ও এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এই শিক্ষার্থীরাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেবে।