মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে চসিকের দুই বর্জ্যাগার

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে চসিকের দুই বর্জ্যাগার

চট্টগ্রাম নগরের বর্জ্যগুলোর শেষ গন্তব্যস্থল হলো হালিশহর, আনন্দবাজার ও বায়েজিদ আরেফিন নগরের বর্জ্যাগার (ল্যান্ডফিল)। কিন্তু এ দুটি বর্জ্যাগারই মোয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পথে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নগরের বর্জ্যগুলো অপসারণ করে। তবে চসিক নগরের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় নতুন করে ৫০ একর জায়গায় একটি ল্যান্ডফিল বা বর্জ্যাগার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরে বর্তমানে দৈনিক বর্জ্য উৎপাদন হয় প্রায় ৩ হাজার টন।  

চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরের হালিশহরের আনন্দবাজার বর্জ্যাগারটি গড়ে উঠেছে ৯ একর ভূমির ওপর। এ বর্জ্যাগারে ২২ থেকে ২৩টি ওয়ার্ড থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য ফেলা হয়। তাছাড়া, নগরের বায়েজিদের আরেফিন নগরে ১১ একর জায়গায় গড়ে ওঠা বর্জ্যাগারে ১৮ থেকে ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হয়। কিন্তু এ দুটি এ ল্যান্ডফিলই প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ার পথে। এ কারণে ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর নতুন একটি বর্জ্যাগার স্থাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ পাহাড়তলীতে ৫০ একর জমি ক্রয়ের পরিকল্পনা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চেয়ে পত্র দেয় চসিক। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, নগরের দুটি বর্জ্যাগারই আগামীতে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাই দক্ষিণ পাহাড়তলীর জনবসতিশূন্য একটি এলাকায় নতুন একটি বর্জ্যাগার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই জমি কেনার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় ২৩ একর ভূমি কেনা হবে। এরপর বাকি ভূমি কেনা হবে। ভূমি ক্রয় করা সম্পন্ন হলে ল্যান্ডফিল স্থাপনের কাজ শুরু করা হবে। এটি করতে সময় বেশি লাগবে না।

জানা যায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চসিকের একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ। চট্টগ্রাম মহানগরীর জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ফলে পারিবারিক, শিল্প, বাণিজ্যিক ও স্ট্রিট বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মোট বর্জ্যরে পরিমাণ প্রতি বছরই বাড়ছে। বর্জ্য উৎপাদন যে হারে বাড়ছে সে হারে বর্জ্যরে সুষ্ঠু বিন্যাস-ব্যবস্থাপনা প্রায়ই নেই। জাইকার বর্জ্য বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে দৈনিক ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৩০ টন গৃহস্থালি, ৫১০ টন সড়ক ও অবকাঠামোগত এবং ৬৬০ টন মেডিকেল বর্জ্য। উৎপাদিত বর্জ্যরে মধ্যে চসিক সংগ্রহ করে ২ হাজার টন। বাকি বর্জ্য নালা-নর্দমা, খাল-বিল, নদী ও উন্মুক্ত স্থানে পড়ে থাকে। কিছু বর্জ্য নানাভাবে চলে যায় নদীতে।

সর্বশেষ খবর