পূজার চার-পাঁচ দিন ঘরে ঘরে চলে ধুমধাম খাবারের আয়োজন। মুখরোচক খাবারের পাশাপাশি তৈরি হয় রকমফের মিঠাই। রেসিপি প্রদান করেছেন সোনিয়া রহমান।
নাড়ুর স্বাদ
উপকরণ
নারিকেল : ১টি
আখের গুড় : ২০০ গ্রাম
ঘি : ১ টেবিল চামচ
ভাজা তিল : ২ টেবিল চামচ
প্রণালি
প্রথমে নারিকেল ধুয়ে কুড়িয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে গুড়ের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে এরপর কোড়া নারিকেল দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। এভাবে ১০-১২ মিনিট রাখতে হবে। নারিকেল আঠা আঠা হয়ে এলে তাতে ভাজা তিল ও ঘি দিয়ে আবারও নাড়তে হবে। এমনভাবে নাড়তে হবে যেন লেগে না যায়। চুলার আঁচ কমিয়ে দিয়ে দেখতে হবে নাড়ু হাতে ঠিকমতো হচ্ছে কি না। এখন হাতের তালুতে নিয়ে নাড়ু বানিয়ে বয়ামে ভরে রেখে দিন।
ছানার পাতুরি
উপকরণ
ছানা ১০০ গ্রাম, চিনি ও লবণ স্বাদ অনুযায়ী, কাঁচামরিচ প্রয়োজনমতো, ময়দা দেড় চামচ, পোস্ত দেড় চামচ, সাদা সরিষা দেড় চামচ, কালো সরিষা দেড় চামচ, খানিকটা সরিষার তেল, কলাপাতা দুটো।
প্রণালি
ছানা থেকে পানি ঝরিয়ে সেগুলো হাতের তালুর সাহায্যে চ্যাপ্টা করে গড়ে নিন। এবার সাদা সরিষা, কালো সরিষা, পোস্ত, কাঁচামরিচ একসঙ্গে বেটে নিন। এবার চিনি, লবণ ও তেল মিশিয়ে নিন। ছানার টুকরোর গায়ে মিশ্রণটি মাখিয়ে খানিকক্ষণ রাখুন। এবার মাঝারি আকারে কলাপাতাগুলো কেটে ধুয়ে এর মাঝে পুর মাখানো ছানার টুকরো রাখুন। ভালো করে চারপাশ মুড়ে সুতা দিয়ে বেঁধে দিন। একটি ধার উঁচু পাত্রে পানি ভরে আঁচ বাড়িয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার ফুটন্ত পানিতে কলাপাতায় মোড়ানো পাতুরি ভরা টিফিন কৌটা ভাসিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক ভাপানোর পর টিফিন কৌটা খুলে দেখুন পুর মজেছে কি না। পরিবেশের আগে কাঁচামরিচ ও সরিষার তেল ছড়িয়ে দিন।