প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি, যা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের রুক্ষতা দূর করে। এটি ত্বকের কোষের ক্ষয় রোধসহ নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যালোভেরা নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজের উৎস। ভিটামিন-এ, সি, ই, ফলিক অ্যাসিড, কোলিন, বি-১, বি-২, বি-৩ (নিয়াসিন) ও ভিটামিন বি-৬ রয়েছে এতে। আছে ভিটামিন বি-১২ ও প্রায় ২০ ধরনের খনিজ। অ্যালোভেরার রস পান, সালাদ হিসেবে এবং ত্বকে ব্যবহার করে দারুণ উপকৃত হওয়া সম্ভব।
♦ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা দারুণ। অ্যালোভেরা জেল, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহারে মিলবে সুফল।
♦ অ্যালোভেরার অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল গুণ ব্রণ বা পিম্পল কমাতে সাহায্য করে। এতে বেশি মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার ফলে ব্রণে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে। সঙ্গে নতুন ত্বককোষ তৈরি করতেও সাহায্য করে। ত্বকের ওপর জ্বালাভাব হলে অ্যালোভেরা জেল আইস কিউব ট্রেতে অ্যালোভেরা আইস কিউব দিয়ে ত্বকের ওপর ঘষতে পারেন।
♦ অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে পারেন। প্যাকটি মুখে এবং ঘাড়ে ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো দাগ, বয়সের ছাপ, ব্রণের দাগ দ্রুত দূর করতে এ প্যাকটি বেশ কার্যকর। এ ছাড়া রোদে পোড়া বা সানবার্ন থেকে সুরক্ষিত রাখে এ প্যাক। ফলে ত্বকের ওপর রোদের পোড়া দাগ দূর হয়ে যায়।