বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

‘ব্লু লাইট’ থেকে সুরক্ষা

‘ব্লু লাইট’ থেকে সুরক্ষা

* মডেল : মাফিন * ছবি : মনজু আলম

সূর্যের আলট্রা-ভায়োলেট রে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর, সে কথা সবারই জানা। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ‘ব্লু লাইট’। যারা চশমা পরেন, তারা ‘ব্লু লাইট’-এর সঙ্গে ভালোভাবেই পরিচিত। কম্পিউটার বা মোবাইলের স্ক্রিন থেকে বেরোনো এই বিশেষ আলো চোখের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। সম্প্রতি জানা গেছে, শুধু চোখ নয়, আলো ত্বকের ওপর পড়লে ত্বকেরও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। ঠিক ইউ-ভি রে-এর মতো।

 

ক্ষতির পরিমাণে ইউ-ভি রে এগিয়ে থাকলেও এই মুহূর্তে যে হারে স্ক্রিন টাইম বাড়ছে, তাতে ব্লু লাইট থেকেও ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা সমান। ত্বকের সুরক্ষার কথা ভেবে যে ল্যাপটপ-মোবাইল দূরে সরিয়ে রাখবেন, সে উপায়ও তো নেই। একে তো ডিজিটাল যুগ, উপরন্তু করোনার উৎপাত! অফিসের কাজ হোক বা বাজারহাট, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল ছাড়া জীবন কল্পনাও করা যায় না। আর তাই ত্বকের ক্ষতি এড়াতে পথ একটাই। ত্বকের নিয়মিত যত্ন, যাতে এই ধরনের হাই অ্যানার্জি লাইট থেকে হওয়া ক্ষতির পরিমাণ কমে।

 

ক্ষতির আশঙ্কা কতটা?

আমাদের ভিসিবল স্পেকট্রামে থাকা আলোগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যানার্জি রয়েছে ‘ব্লু লাইটে’। আর ইনভিসিবল আলোর মধ্যে সবার প্রথমে আসে ইউ-ভি রে। ইউ-ভি লাইট এবং ব্লু লাইট অন্যান্য আলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে। সেই কারণেই ইউ-ভি রে-এর মতো ব্লু লাইটও ত্বকের অনেক গভীর অবধি পৌঁছতে পারে। অতিরিক্ত ইউ-ভি রে ত্বক পুড়িয়ে দেয়, সান ড্যামেজ করে, অন্যদিকে ব্লু লাইট তৈরি করে রি-অ্যাকটিভ অক্সিজেন। এই ধরনের অক্সিজেনের বিশেষত্ব হলো, এটি পার্শ্ববর্তী অন্যান্য অণু বা যৌগের সঙ্গে রিঅ্যাক্ট করে সেগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ত্বকের কোষ বা কোলাজেনের সংস্পর্শে এলেও এই অক্সিজেন একই কাজ করে। যার ফলে ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। মেলানোসাইটও এ ধরনের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে কাজ করতে পারে না। তাই ত্বকের নানা ধরনের দাগছোপ, স্পট, পিগমেন্টেশনের নেপথ্যেও এই আলোর ভূমিকা রয়েছে।

 

ত্বকের সুরক্ষা কবচ

ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে এই ধরনের লাইট এক্সপোজার যতটা সম্ভব কমানো প্রয়োজন। তবে সেটা সম্ভব না হলে, ত্বকের বিশেষ কিছু যত্ন নিতে পারেন। তাতেও ক্ষতির আশঙ্কা কমবে।

 

সানস্ক্রিন : শুধু ইউ-ভি রেডিয়েশন থেকে সুরক্ষা দিতেই নয়, সানস্ক্রিন ব্লু লাইট থেকেও ত্বককে বাঁচাবে। দিনের বেলা বাইরে না বেরোলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করার অভ্যাস করুন। অন্তত এসপিএফ ৩০ এবং ইউ-ভি এ, ইউ-ভি বি ও পিএ+ রয়েছে, এমন সানস্ক্রিন লাগান। যদি সানস্ক্রিনের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয় বা ত্বক তেলতেলে মনে হয়, সে ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।

 

মুখে পানির ঝাপটা : ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারলে ভালো। সে ক্ষেত্রে মাইল্ড হারবাল ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ফেসওয়াশ ব্যবহার না করলেও অন্তত ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন চোখে-মুখে। হাই অ্যানার্জি লাইট ত্বকের সংস্পর্শে যে ক্ষতিকর র‌্যাডিক্যালস তৈরি হয়, তা পানির ঝাপটায় ধুয়ে যাবে, পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতাও ঠিক থাকবে।

 

ওয়াটার বেসড ময়েশ্চারাইজার : আগেই বলেছি, আর্দ্রতা হারালেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়বে। তাই নিয়মিত ওয়াটার-বেসড কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়বে না। আর ত্বক আর্দ্র থাকলে, রিঅ্যাক্টিভ অক্সিজেনের সঙ্গে মোকাবিলা করাও সহজ হবে।

 

তথ্য সূত্র : ভ্যানিটি ফেয়ার

সর্বশেষ খবর