বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

একেক রকম ক্লে-মাস্ক

একেক রকম ক্লে-মাস্ক

ছবি : ইন্টারনেট

তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা গরমকালে বেজায় মুশকিলে পড়েন। রোদ, ঘাম, ময়লা- সব মিলিয়ে ত্বকের যা-তা অবস্থা। তাই, নিয়মিত ২-৩ বার মুখ পরিষ্কার ছাড়াও সপ্তাহে দুই দিন ফেস প্যাক ব্যবহার করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে ক্লে-মাস্ক হতে পারে আদর্শ দাওয়াই। ক্লে মাস্ক সাধারণত সবুজ, কালো, লাল বা গোলাপি, সাদা, ধূসর বা বাদামি রঙের হয়। যার একেকটি একেক রকম সমস্যার জন্য কার্যকরী।

 

সবুজ : অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের জন্য সবুজ ক্লে-মাস্ক অত্যন্ত কার্যকরী। বেটোনাইট কে-এর সঙ্গে টি-ট্রি এসেনশিয়াল অয়েল আর ওট্স মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিন। ফ্রেঞ্চ কে থাকলে আরও ভালো। এবার ফেশিয়াল ফোম দিয়ে মুখ ধুয়ে মাস্ক লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের কোষের ভিতরের ধুলো-ময়লা বের করে ত্বককে করে তোলে ঝকঝকে এবং প্রাণবন্ত। ত্বকের বাড়তি তেল শুষে ব্রণ কমানোর জন্য সবুজ ক্লে-মাস্ক সেরা।

কালো : যাদের ত্বকে ব্ল্যাকহেড্সের সমস্যা তারা এই ক্লে-মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। বাজার থেকে চারকোল পাউডার কিনে বাড়িতেই অন্য যে কোনো ফেস প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে কালো ক্লে-মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। একই নিয়মে ক্লে-মাস্ক লাগিয়ে শুকানোর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সব শেষে ঠান্ডা পানি দিয়ে খুব ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া বাজারে ফ্যাব ইন্ডিয়ার চারকোল মাস্ক কিনে ব্যবহার করতে পারেন। এখন অনলাইনেও পিউরিফাইয়িং গ্লো মাস্ক পাওয়া যায়। ত্বকের ধুলো, ময়লা সরিয়ে ত্বক পরিষ্কারে এর জুড়ি নেই।

লাল : যাদের ত্বকে ওপেন পোর রয়েছে, তারা এই  ক্লে-মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। ন্যাচারাল বাথ অ্যান্ড বডি ফ্রেঞ্চ রেড ক্লে মাস্ক, ইনিসফ্রি সুপারভোলক্যানিক ক্লে-মাস্ক বা ফ্যাব ইন্ডিয়ার হলদি-চন্দন ক্লে-মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন। পিগমেন্টেশনের সমস্যা দূর করে লাল ক্লে-মাস্ক।

বাদামি : মুলতানি মাটি, চন্দন আর গোলাপজল মিশিয়ে বাদামি ক্লে-মাক্স বানিয়ে নিতে পারেন। এই মাস্কের উপকারিতা সবারই জানা। নিমিষে ত্বকের ধুলো-ময়লা দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে এই মাস্ক বহুকাল আগে থেকে প্রসিদ্ধ।

সাদা : ত্বকের কোষের পুষ্টি ফিরিয়ে আনার জন্য সাদা ক্লে-মাস্ক খুব ভালো। বেটোনাইট পাউডার কিনে এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সঙ্গে বাড়তি ভিটামিন-এর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন। একই নিয়মে ক্লে-মাস্ক ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

 

সতর্কতা : অনেকেই মনে করেন ক্লে মাস্ক শুকিয়ে কাঠ হওয়া পর্যন্ত রাখতে হয়। ধারণাটা ভুল। শুকিয়ে ক্র্যাক করা শুরু করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। এমন করে মাস্ক ব্যবহারে ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়ে যায়। অনেক সময় লালচে ভাব বা র‌্যাশ দেখা দিতে পারে। অনেকের ত্বকে সুড়সুড় করে অস্বস্তি হতে পারে। ক্লে-মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কখনই তা ত্বকে পুরোপুরি শুকোবেন না, হালকা শুকিয়ে এলেই ধুয়ে ফেলুন। আর হ্যাঁ, মাস্ক ব্যবহারের পর হালকা গরম পানি দিয়ে আলতো হাতে ত্বক পরিষ্কার করে ফেলুন। ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে এই মাস্ক এড়িয়ে চলুন।

 

লেখা : সাদিয়া সারা

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর