অ্যাডোয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস নামের কাউকে মনে পড়ছে আপনার? প্রায় প্রতিদিনই অসম্ভবকে সম্ভব করে চলেন যিনি। মনে পড়ছে? নিশ্চয়ই না! কী করে পড়বে? লম্বা-চওড়া নামের অধিকারী এই মানুষটি যে সবার কাছে পরিচিত বিয়ার গ্রিলস নামে। ম্যান ভার্সেস ওয়ার্ল্ড নামক ডিসকভারির জনপ্রিয় শোতে কাজ করা বিয়ারের জন্ম ১৯৭৪ সালে, ব্রিটেনে।
পেশায় অভিযাত্রী, লেখক আর উপস্থাপক হিসেবে পরিচিত এই মানুষটির উপাধি বর্ন সারভাইভাল বা জন্মগত যোদ্ধা। ডিসকভারি ছাড়াও বিয়ার কাজ করেন লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু দুঃসাহসিক অভিযানমূলক অনুষ্ঠানে। ২০০৯ সালে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে বিয়ারকে চিফ স্কাউট ঘোষণা করা হয়।
লাটগ্রোভ স্কুল, এটন কলেজ থেকে শুরু করে ব্রিকবেক, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন দিয়ে পড়াশোনার পাট শেষ করা এই যোদ্ধা মাত্র আট বছর বয়সেই কাব স্কাউট হন। তিনটি ভাষায় পারদর্শী গ্রিলস লেখাপড়া শেষে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন।১৯৯৮ সালের ১৬ মে বিয়ার তার ছোটবেলার এভারেস্টে চড়ার স্বপ্ন পূরণ করেন। তবে এটাই শেষ নয়, অভিযানপ্রিয় বিয়ার এ ছাড়াও করেন আরও অনেক দুঃসাহসিক অভিযান। যেমন উত্তর আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া, সবচেয়ে দীর্ঘ অভ্যন্তরীণ পতন, অ্যান্টার্কটিকা অভিযান, উত্তর-পশ্চিম পেসেজ অভিযান ইত্যাদি। টেলিভিশনে বিয়ার প্রথম কাজ শুরু করেন শিওর নামের একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এরপর মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবেও তিনি কাজ করেন।
ফ্রাইডে নাইট উইথ জোনাথন রস, দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো, দ্য টুনাইট শো উইথ জে লেনোর মতো বেশকিছু টকশোয় উপস্থিত হন বিয়ার। অভিযাত্রী বিয়ারের প্রথম বই ফেসিং আপ। পরে তিনি লেখেন ফেসিং দ্য ফ্রোজেন ওশেন, মিশন সারভাইভাল সিরিজের গোল্ড টু দ্য গডস, ওয়ে অব দ্য ওলভ, স্যান্ড অব দ্য স্করপিয়নসহ আরও অনেক বই।
টেলিভিশনে গেট আউট অ্যালাইভ, এসকেপ ফ্রম দ্য হেল, দ্য ওয়াইল্ড, রানিং ওয়াইল্ড উইথ বিয়ার গ্রিলস, বিয়ার্স ওয়ার্ল্ড উইকেন্ডের মতো আরও অনেক শো করলেও বর্তমানে মানুষ তাকে এক নামে চেনে ডিসকভারিতে তার করা ম্যান ভার্সেস ওয়ার্ল্ড অনুষ্ঠানটির জন্য। প্রতিকূল পরিবেশে কী করে বেঁচে থাকতে হয় এবং দুর্ভাগ্যকে বদলে দিতে হয় নিজের বুদ্ধিমত্তা, কৌশল আর সাধারণ কিছু জ্ঞানের মাধ্যমে; তাই-ই এ অনুষ্ঠানের প্রতিটি এপিসোডে দেখানোর চেষ্টা করেন বিয়ার গ্রিলস।