শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

তানিয়া তুষ্টি ও সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিককে। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে তারা রেখেছেন অসামান্য অবদান। সম্প্রতি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রাণ হারানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন প্রাণ হারানো নির্ভীক সাংবাদিককে নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতি

ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রামরহিমকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারতবর্ষ। কথিত এই ধর্মীয় গুরু রামরহিমের বিরুদ্ধে রয়েছে সাংবাদিক হত্যারও অভিযোগ। ২০০২ সালে ধর্ষণের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে হত্যা করেন রামরহিম। রামচন্দ্র ছিলেন ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্র ‘পুরা সাচ’ (সম্পূর্ণ সত্য) পত্রিকার সম্পাদক। ১৫ বছর আগে রামরহিম কর্তৃক ধর্ষণের খবর ছেপেছিলেন তিনি। তখনই ছত্রপতিকে হত্যার নীল নকশা করা হয় রামরহিমের আশ্রমে। শুরু হয় রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর পাল্টা চাপ আর হুমকি। খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য এমন দাবি করে একের পর এক হত্যার হুমকি আসতে থাকে রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে উল্টো নিয়মিত রামরহিমের আশ্রমের নানা কুকীর্তি তার পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন রামচন্দ্র ছত্রপতি। আশ্রম থেকে নানা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে সাহায্য করছিলেন রনজিৎ ও তার বোন। এরা দুজনই ছিলেন রামচন্দ্র ছত্রপতির সোর্স। রামরহিমের আশ্রমের দশ প্রধানের একজন ছিলেন রনজিৎ এবং তার বোন ছিলেন আশ্রমের একজন ভক্ত। পত্রিকাটির তথ্য পাওয়ার ‘সোর্স’ কে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে পালিয়ে যান ভাইবোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আততায়ীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় রনজিেকও। এই হত্যার পেছনেও রয়েছে রামরহিমের হাত। এরপর রামচন্দ্র পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনে সাহায্য সহযোগিতা পননি তিনি। এ ঘটনার এক মাস পরেই ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ির সামনেই  সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে এক বাইক আরোহী। টানা ২৮ দিন লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রামচন্দ্র ছত্রপতি। কিন্তু মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে এ ঘটনার জন্য রামরহিমকে দায়ী করে যান। বাবার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন রামচন্দ্রের ছেলে সাংবাদিক অংশুল। তিনি দাবি করেন পুলিশ এফআইআর থেকে প্রধান আসামি রামরহিমের নাম মুছে দেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ১৫ বছর যাবৎ মামলাটি ঝুলে রয়েছে। ২০০২ সালে রামরহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাদণ্ড সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে জেল হাজতে আছে রামরহিম।

 

ভিক্টেরিয়া মারিনোভা

বুলগেরিয়ায় ভিক্টোরিয়া মারিনোভা নামে ৩০ বছর বয়সী নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে তোলপাড় চলছে এখনো। উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুজের একটি পার্কে মারিনোভার লাশ উদ্ধার করা হয়। মারিনোভা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার এক রোমানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বুলগেরিয়া পুলিশ। সাংবাদিক মারিনোভাকে হত্যার কারণ জানা যায়নি। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্লাদেন মারিনভ বলেন, এটা ধর্ষণ ও খুন। মারিনোভাকে হত্যার ঘটনায় তার পেশা কিংবা ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এক সময়ের লাইফ স্টাইল সাংবাদিক মারিনোভা বুলগেরিয়ার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিএনের উপস্থাপক ছিলেন। গত মাস থেকে তিনি ‘ডিটেক্টর’ নামে রাজনৈতিক অনুসন্ধান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে অনুষ্ঠানটির মাত্র এক পর্ব করতে পেরেছিলেন মারিনোভা। এর আগে গত এক বছরে ইউরোপে আরও দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এদের একজন করুনা গালিজিয়া অন্যজন জান কুচিক।

 

শিফা গার্দি

শিফা গার্দি নারী সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম। মেধাবী সাংবাদিক শিফার জন্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের এক শরণার্থী পরিবারে। ইরবিলের সালাহাদ্দিন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে শিফা সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায়। শিফা কুর্দি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর গার্দি চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিকদের অন্যতম হয়ে উঠেন এই নারী। ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে সাহসী শিফাকে দেখা গেছে বহুবার। এমনকি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের সংবাদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন এই নারী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিফা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সাধারণ মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসতেন। আবার আহত পশুপাখিদের উদ্ধারেও এগিয়ে আসতেন শিফা। কিছুদিন আগেই ইরাকের মসুলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি খরগোশ উদ্ধার করেন তিনি। খরগোশটি সুস্থ হলে তাকে কোনো প্রাণী সংরক্ষণাগারে দিয়ে আসা হবে এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আলোচিত এই নারী সাংবাদিক। ইরাকের মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শিফা গার্দি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ইরাকি কুর্দি টিভি স্টেশন রুদায় কর্মরত ৩০ বছর বয়সী শিফা তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছেন। ওই সময় তিনি পশ্চিম মসুল থেকে খবর সংগ্রহ করছিলেন।

 

 এলিজা প্যারিস লভজয়

তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম অপঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। একজন যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। যুদ্ধ ময়দান থেকে সর্বশেষ খবর পৌঁছে দিতে তার অবদান কম নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে শহীদ হতে হয়। এলিজা প্যারিস লভজয় সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের প্রচলিত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার লেখনীতে তিনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে দুর্বার বিপ্লবের আওয়াজ তোলেন। ১৮২৬ সালে ওয়াটারভিলে কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন লভজয়। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার মতামত তাকে একটি জ্যাকসনবিরোধী সংবাদপত্রের সম্পাদক বানিয়ে দেয়। ১৮০২ সালের ৯ নভেম্বর মাইনেতে জন্মগ্রহণকারী লভজয় বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৪ বছর। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার আন্দোলনের সাফল্য দেখার আগেই ১৮৩৭ সালের ৭ নভেম্বর আততায়ীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

গৌরী লঙ্কেশ

ভারতের মুক্তচিন্তার সাংবাদিক গৌরী খুন হন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। পেশাজীবনে তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। সে জন্য প্রতি পদে পদে তাকে নানা বাধা-বিপত্তি সামলাতে হতো। কিন্তু শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনের সামনে খুন হতে হয় তাকে। তার বুকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। এ নিয়ে ভারতসহ  গোটা বিশ্বে চলে নিন্দার ঝড়। গৌরী লঙ্কেশ ‘লঙ্কেশ পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন। বন্ধুকধারীরা গুলি করার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে পথের মাঝেই মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিক। সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েডে সংঘ পরিবারের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। কোনো রকম ভয় উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তার কলম চলত। গৌরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি ও সাংবাদিক পি লঙ্কেশের মেয়ে। পি লঙ্কেশের সম্পাদনায়ই শুরু হয়েছিল সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড লঙ্কেশ। পরে সম্পাদক হন গৌরী। আর সে কারণেই নির্ভীক সাংবাদিকতায় তার ভয় ছিল না। তবে তার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে তার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের জেরে দুই বিজেপি নেতা গৌরী লঙ্কেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় গত বছর নভেম্বরে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

 

মুকাররাম খান আতিফ

২০১২ সালে পাকিস্তানে নিহত হন ভয়েস অব আমেরিকায় কর্মরত মুকাররাম খান আতিফ নামের  এক সাংবাদিক। বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। পাকিস্তানের সংঘাতকবলিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে শবকদর শহরে তার বাড়ি। নিহত সাংবাদিকের বাড়ির নিকটবর্তী একটি মসজিদে বন্দুকধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মাগরিবের নামাজের সময় দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে হামলার উদ্দেশে মসজিদে আসে। দুই ঘাতকের একজন মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক আতিফের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘাতকের গুলিতে মসজিদের ইমামও গুলিবিদ্ধ হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এ সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যান। নিহত সাংবাদিক পাকিস্তানে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালনায় পশতু ভাষার দিয়া রেডিওতে কাজ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি সংবাদ পরিবেশনকারী টিভি চ্যানেল দুনিয়ার হয়েও কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় মোহমান্দ এজেন্সি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। সাংবাদিক আতিফ মূলত মোহমান্দ উপজাতীয় এলাকার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে অতীতেও তিনি জঙ্গিদের তরফে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। মূলত জঙ্গিদের দেওয়া অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির মুখেই তিনি তার পরিবার নিয়ে বাসস্থান ছেড়ে শবকদর শহরে বসবাস করতেন।

 

মেরি কলভিন

সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে পড়ে নিহত হয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন। হোমস শহরের একটি মিডিয়া সেন্টারে সরকারি বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে তিনি নিহত হন। সিরিয়ায় গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ধরে লড়াইয়ের খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে কাজ করছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন একজন খ্যাতিমান রণাঙ্গন সংবাদদাতা। লন্ডনের সানডে টাইমসের হয়ে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।

সানডে টাইমস পত্রিকার কর্তৃপক্ষের বর্ণনামতে মেরি কলভিন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। সিরিয়া প্রবেশের মাত্র অল্পদিনেই এই বিপদের শিকার হতে হয় তাকে। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন নিউইয়র্ক সিটিতে লেবার ইউনিয়নে। কলভিনের পড়াশোনা ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ব্যুরো ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। দ্য সানডে টাইমসে নিয়মিত রিপোর্টার হিসেবে যোগদানের আগে মধ্যপ্রাচ্যের করেসপনডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন পত্রিকাটিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। মূলত পুরো সাংবাদিকতা জীবনে তিনি সাহসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছেন। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে তার সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবর বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি পেশাগত সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৫

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ক্যাপিটাল গেজেট নামের একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। চলতি বছর ২৮ জুনের এই ঘটনায় নিহত হন ৫ সাংবাদিক। হামলার আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। বিবিসি জানায়, হামলাকারী শটগান ও স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাদের অফিসে ঢোকে। কাচের দরজার ভিতর দিয়ে সে বার্তাকক্ষের ভিতরে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় কমিউনিটি সম্পাদক ওয়েন্ডি উইন্টারস, প্রবন্ধকার রবার্ট হাইসেন, সম্পাদকীয় লেখক জেরাল্ড ফিসম্যান, রিপোর্টার ও সম্পাদক জন ম্যাকনামারা ও বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথ নিহত হন। ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে ৪০ বছর বয়সী রামোকে আটক করা হয় তারপরই। গুলির ঘটনার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ওই ভবনে প্রবেশ করে। হামলাকারী তখন একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল। ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে একটি স্মোক বোম্বও পাওয়া যায়। বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রুপের মালিকানাধীনে এই ক্যাপিটাল গেজেট। পত্রিকাটির সূচনা হয়েছিল ১৮৮৪ সালে।

 

সাংবাদিক হত্যা

পরিসংখ্যান ১৯৯৭-২০১৮

সমাজের আয়না গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমকে সচল রাখার দায়িত্ব থাকে সাংবাদিকদের। সামাজিক দায় আর নিজস্ব নীতি-নৈতিকতার বোধ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় সত্য অনুসন্ধানে। তাই তো জীবনের ঝুঁকি জেনেও ছুটে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আয়নায় তুলে ধরেন সত্য-মিথ্যার আসল তথ্য, খুলে দেন ধোঁয়াশার জট, তুলে আনেন পেছনের খবর আর ফাঁস হয় অন্ধকার মহলের গোপন অভিসন্ধি। সে কারণে অসৎ মহলের রোষানল তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়ে। সত্য অনুসন্ধান তাদের কাছে অনেকটা নেশার মতো হয়ে যায়। আর তখনই নাকের ডগায় খড়গ ঝুলছে জেনেও এই নেশায় নিজ দেশের সীমা পেরিয়ে কখনো বিস্তার ঘটান আন্তর্জাতিক মহলে। তখন শত্রুতা ও জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই এসব সংবাদ সংগ্রাহকদের হয়ে যেতে হয় মর্মান্তিক একেকটি সংবাদ। প্রতি বছর এভাবে অসংখ্য প্রাণ চলে যাচ্ছে সত্য অনুসন্ধানের মতো মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের (আইপিআই)  হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন সাংবাদিক। আইপিআই সাংবাদিকদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের নাম। এটি মিডিয়া এক্সিকিউটিভ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। বিশ্ব সাংবাদিকতার নেতৃত্বদানকারী সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্মও এটি। আইপিআই-এর মূল কাজ প্রেস স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় বিশ্বের দরবারে তুলে আনা। আইপিআই ১৯৯৭ সাল থেকে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭০ জন নামকরা সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আইপিআই-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মারা গেছেন ১৩ জন সাংবাদিক। মেক্সিকোর মতো দেশে মারা গেছেন ১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মারা গেছেন ৫ জন সাংবাদিক। অনবরত বোমা হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ব্রাজিল। সেখানেও মারা গেছেন চারজন। ইকুয়েডরে দুজন, গুয়েতেমালায় দুজন, পাকিস্তানে তিনজন, প্যালেস্টাইনে দুজন, ফিলিপাইনে তিনজন। অপরদিকে এল সালভাদরে মারা গেছেন একজন, নিকারাগুয়ায় একজন, স্লোভাকিয়ায় একজন, ইয়েমেনে তিনজন। সৌদি আরবে ঘটেছে এক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড। তবে তা বছরের সবচেয়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাকি আটজন নিহত সাংবাদিক অন্যান্য দেশের। আইপিআই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে ১৯৯৭ সাল থেকে। তাদের তালিকায় প্রথম বছরে সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা ছিল ২৮ জন। তালিকা প্রকাশের পর থেকে এটিই ছিল সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম। এর পরের বছরই তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে মারা যান ৫০ জন, ১৯৯৯ সালে ৮৬ জন এবং ২০০০ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে। সে বছর ৫৬ জন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়। ২০০১ সালে মারা যায় ৫৫ জন, ২০০২ সালে ৫৪ জন, ২০০৩ সালে ৬৪ জন। ২০০৪ সালে ৭৮ জন, ২০০৫ সালে ৬৫ জন, ২০০৬ সালে ১০০ জন, ২০০৭ সালে ৯৩ জন, ২০০৮ সালে ৬৬ জন, ২০০৯ সালে ১১০ জন এবং ২০১০ সালে মারা যান ১০১ জন সাংবাদিক। এর পরের কয়েক বছর সংখ্যাটি পাশাপাশিই অবস্থান করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরই মধ্যে বহু সচেতনতা, অধিকার আদায়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সাংবাদিক হত্যা যেন নিজ গতিতে চলতেই থাকে।

২০১১ সালে ১০২ জন, ২০১২ সালে ১৩৩ জন, ২০১৩ সালে ১২১ জন, ২০১৪ সালে ৯৯ জন, ২০১৫ সালে ১১৫ জন, ২০১৬ সালে ১২০ জন এবং ২০১৭ সালে মারা যান ৮২ জন সাংবাদিক। এখন যদি অপর এক হিসাব করা হয় তবে দেখা যাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মারা গেছেন ১০৫৩ জন সাংবাদিক। কিন্তু ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে মারা গেছেন ৭৯৫ জন। আইপিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলে দিচ্ছে বিগত দশকের তুলনায় চলতি দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশি। আর তাই বলা যায়, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার, আন্দোলন যতই সরব হোক না কেন, সামনের দিনগুলো সংকটাপন্নই হচ্ছে। আমরা যখন কোনো সাংবাদিক হেনস্তা হচ্ছে তখনই সমস্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে বিচার হয়তো হচ্ছে। তবু সাংবাদিক লাঞ্ছনার যেন শেষ নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ঠিকই তাদের কূটচাল চালছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিকতা পেশার নির্ভীক যোদ্ধারা।

 

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি
কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি

৩ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল, ২৬ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাইট

২ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার
মোদির পা ছুঁয়ে প্রণাম ঐশ্বরিয়ার

১৩ মিনিট আগে | শোবিজ

বেলেমের কপ-৩০-এ ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
বেলেমের কপ-৩০-এ ন্যায়ভিত্তিক জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের

১৪ মিনিট আগে | জাতীয়

পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!
পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!

১৭ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
রংপুরে হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

২৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

দশম বারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নিতীশ
দশম বারের মতো বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নিতীশ

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সখীপুরে মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার
সখীপুরে মা–মেয়ের লাশ উদ্ধার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতে ফিরে উচ্ছ্বসিত শমিত সোম
শ্রীমঙ্গলে নিজ বাড়িতে ফিরে উচ্ছ্বসিত শমিত সোম

৪৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার
রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু বৃহস্পতিবার

৫৫ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

৩১ দফা ও ধানের শীষের প্রচারণায় তারাকান্দায় গণমিছিল-সমাবেশ
৩১ দফা ও ধানের শীষের প্রচারণায় তারাকান্দায় গণমিছিল-সমাবেশ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে
বিশ্বকাপের এক গ্রুপে রাখা হলো না ভারত-পাকিস্তানকে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুড়িগ্রাম পৌরবাজারে অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ
কুড়িগ্রাম পৌরবাজারে অর্ধশতাধিক দোকান উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গবেষণায় উৎকর্ষতার জন্য সুষ্ঠু বাজেট ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য: ডুয়েট উপাচার্য
গবেষণায় উৎকর্ষতার জন্য সুষ্ঠু বাজেট ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য: ডুয়েট উপাচার্য

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

বরিশালে ছাত্রদল নেতা হত্যায় ৩০ জনের নামে মামলা
বরিশালে ছাত্রদল নেতা হত্যায় ৩০ জনের নামে মামলা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাংবাদিকদের সঙ্গে কুমিল্লার নতুন ডিসির মতবিনিময়
সাংবাদিকদের সঙ্গে কুমিল্লার নতুন ডিসির মতবিনিময়

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে
দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা কী বলছে

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে
যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালা, বয়স ৩.৬ বিলিয়ন বছর!
বিশ্বের প্রাচীনতম পর্বতমালা, বয়স ৩.৬ বিলিয়ন বছর!

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাসকে সাইড দিতে গিয়ে দোকানে উঠে গেল কাভার্ডভ্যান, দোকানির মৃত্যু
বাসকে সাইড দিতে গিয়ে দোকানে উঠে গেল কাভার্ডভ্যান, দোকানির মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাগেরহাটে কৃষকদের সার-বীজ বিতরণ
বাগেরহাটে কৃষকদের সার-বীজ বিতরণ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিশ্বে ক্ষুধার্ত খাদ্য সংগ্রহে ঘাটতি ১৩ বিলিয়ন ডলার: জাতিংসঘ
বিশ্বে ক্ষুধার্ত খাদ্য সংগ্রহে ঘাটতি ১৩ বিলিয়ন ডলার: জাতিংসঘ

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইমরান খানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে মুশফিক
ইমরান খানকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে মুশফিক

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি
শান্তি প্রচেষ্টা জোরদারে আলোচনার জন্য তুরস্কে জেলেনস্কি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দিনশেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২
দিনশেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ২৯২

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ফিরলেন স্টোকস ও উড
অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ফিরলেন স্টোকস ও উড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প
সাংবাদিক খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সৌদি যুবরাজের পক্ষ নিলেন ট্রাম্প

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক
হবিগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে ভুয়া নারী চিকিৎসক আটক

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী
আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ: হামজা চৌধুরী

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
হামজাদের জন্য দুই কোটি টাকা বোনাস ঘোষণা করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ
ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের আক্ষেপ ঘোচালো বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে
ঢাবির সেই ডেপুটি রেজিস্ট্রার কারাগারে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের
হাসিনার পক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুতের দাবি চার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব
১৩০০ কোটি আয়, বক্স অফিসে রাশমিকার রাজত্ব

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ
ঘরে বসেই করা যাবে মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর
২০ বছরের ছোট অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি, যা বললেন রণবীর

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল
লাশ পোড়ানোর মামলায় ক্ষমা চেয়ে জবানবন্দি দিলেন রাজসাক্ষী আবজালুল

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’
তৃতীয় বিয়ে ভাঙার সংবাদ দিয়ে অভিনেত্রী বললেন ‌‘খুব শান্তিতে আছি’

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের
পেনাল্টি মিসে জয় হাতছাড়া ব্রাজিলের

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের
যুক্তরাষ্ট্রে ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা সৌদি যুবরাজের

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?
ইরানের কাছেও বড় ধাক্কা, ভারতের এবার কি হবে?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দেখে যেতে পারেননি মওদুদ, এটা দুঃখজনক’

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য
ট্রুডো–কেটি পেরি'র প্রেম নিয়ে সাবেক স্ত্রী সোফির খোলামেলা মন্তব্য

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন
নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বসছে কমিশন

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ নভেম্বর)

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা
শেখ হাসিনার পোর্ট্রেটে ফ্যাসিবাদের কালিমা

৮ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ
মধ্যরাতে বাসা থেকে সাংবাদিককে তুলে নিল গোয়েন্দা পুলিশ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন
আশুলিয়ায় চলন্ত শ্রমিকবাহী বাসে আগুন

২৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের বিরুদ্ধে জয় প্রতিটি বাংলাদেশিকে গর্বিত করেছে: প্রধান উপদেষ্টা

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?
খাঁটি গুড় চিনবেন কীভাবে?

২২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি
সামরিক হস্তক্ষেপ চালালে ট্রাম্পের রাজনৈতিক জীবনের ইতি ঘটবে, মাদুরোর হুঁশিয়ারি

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা
শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে : রুমিন ফারহানা

৬ ঘণ্টা আগে | টক শো

তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা
তারেক রহমানের জন্মদিন নিয়ে বিএনপির বিশেষ নির্দেশনা

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা
দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে ফিলিস্তিনিদের কাছে ২ হাজার ডলার করে নিয়েছে রহস্যময় সংস্থা

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ
দেশে ফিরলেন আলী রীয়াজ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
কীভাবে রায় কার্যকর
কীভাবে রায় কার্যকর

প্রথম পৃষ্ঠা

একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও
একের পর এক হত্যা, ভাইরাল হচ্ছে ভিডিও

প্রথম পৃষ্ঠা

ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ
ঢাকাতেই ভারত জয়ের আনন্দ

মাঠে ময়দানে

নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন
নিয়োগ-বদলিতে অস্থির প্রশাসন

পেছনের পৃষ্ঠা

ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস
ছয়টিতে হাড্ডাহাড্ডির আভাস

পেছনের পৃষ্ঠা

রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো
রোহিঙ্গাদের জন্য হবে স্থায়ী অবকাঠামো

পেছনের পৃষ্ঠা

৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র
৮০ হাজার ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সব ভালো তার শেষ ভালো যার
সব ভালো তার শেষ ভালো যার

প্রথম পৃষ্ঠা

কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স
কর দেয় না ভিসা মাস্টারকার্ড অ্যামেক্স

প্রথম পৃষ্ঠা

চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ
চাঁদাবাজদের দাপটে অসহায় মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর
স্ত্রীর পিঁড়ির আঘাতে প্রাণ গেল স্বামীর

পেছনের পৃষ্ঠা

জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
জার্মানিকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল
মানবিক করিডর প্রতিবাদে মশালমিছিল

প্রথম পৃষ্ঠা

আগুনসন্ত্রাস চলছেই
আগুনসন্ত্রাস চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়
তারেক রহমানের জন্মদিনে কোনো উৎসব নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা
রাজনীতির দাপুটে দুই মাওলানা

সম্পাদকীয়

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়
ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

প্রথম পৃষ্ঠা

দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
দিল্লি গেলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু
উখিয়ায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে বন্য হাতির মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি
নায়করাজ রাজ্জাক কেন পারিশ্রমিক নেননি

শোবিজ

ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস
ঢাকায় এসে দর্শক হয়ে থাকলেন উইলিয়ামস

মাঠে ময়দানে

গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
গণ অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে

নগর জীবন

অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
অভিযানে বাধা, এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা

দেশগ্রাম

সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি
সাইবারের সব সেবা দেবে ডিএমপি

খবর

বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক
বাংলাদেশের কিংবদন্তি মুশফিক

মাঠে ময়দানে

আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি
আমরা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে
স্বপ্ন নিয়ে যুবারা চেন্নাইয়ে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস
ফেব্রুয়ারিতে ভোট, থাকবে না আওয়ামী লীগ : ড. ইউনূস

প্রথম পৃষ্ঠা

বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল
বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন আগামীকাল

নগর জীবন