শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

তানিয়া তুষ্টি ও সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিককে। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে তারা রেখেছেন অসামান্য অবদান। সম্প্রতি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রাণ হারানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন প্রাণ হারানো নির্ভীক সাংবাদিককে নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতি

ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রামরহিমকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারতবর্ষ। কথিত এই ধর্মীয় গুরু রামরহিমের বিরুদ্ধে রয়েছে সাংবাদিক হত্যারও অভিযোগ। ২০০২ সালে ধর্ষণের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে হত্যা করেন রামরহিম। রামচন্দ্র ছিলেন ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্র ‘পুরা সাচ’ (সম্পূর্ণ সত্য) পত্রিকার সম্পাদক। ১৫ বছর আগে রামরহিম কর্তৃক ধর্ষণের খবর ছেপেছিলেন তিনি। তখনই ছত্রপতিকে হত্যার নীল নকশা করা হয় রামরহিমের আশ্রমে। শুরু হয় রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর পাল্টা চাপ আর হুমকি। খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য এমন দাবি করে একের পর এক হত্যার হুমকি আসতে থাকে রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে উল্টো নিয়মিত রামরহিমের আশ্রমের নানা কুকীর্তি তার পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন রামচন্দ্র ছত্রপতি। আশ্রম থেকে নানা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে সাহায্য করছিলেন রনজিৎ ও তার বোন। এরা দুজনই ছিলেন রামচন্দ্র ছত্রপতির সোর্স। রামরহিমের আশ্রমের দশ প্রধানের একজন ছিলেন রনজিৎ এবং তার বোন ছিলেন আশ্রমের একজন ভক্ত। পত্রিকাটির তথ্য পাওয়ার ‘সোর্স’ কে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে পালিয়ে যান ভাইবোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আততায়ীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় রনজিেকও। এই হত্যার পেছনেও রয়েছে রামরহিমের হাত। এরপর রামচন্দ্র পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনে সাহায্য সহযোগিতা পননি তিনি। এ ঘটনার এক মাস পরেই ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ির সামনেই  সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে এক বাইক আরোহী। টানা ২৮ দিন লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রামচন্দ্র ছত্রপতি। কিন্তু মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে এ ঘটনার জন্য রামরহিমকে দায়ী করে যান। বাবার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন রামচন্দ্রের ছেলে সাংবাদিক অংশুল। তিনি দাবি করেন পুলিশ এফআইআর থেকে প্রধান আসামি রামরহিমের নাম মুছে দেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ১৫ বছর যাবৎ মামলাটি ঝুলে রয়েছে। ২০০২ সালে রামরহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাদণ্ড সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে জেল হাজতে আছে রামরহিম।

 

ভিক্টেরিয়া মারিনোভা

বুলগেরিয়ায় ভিক্টোরিয়া মারিনোভা নামে ৩০ বছর বয়সী নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে তোলপাড় চলছে এখনো। উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুজের একটি পার্কে মারিনোভার লাশ উদ্ধার করা হয়। মারিনোভা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার এক রোমানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বুলগেরিয়া পুলিশ। সাংবাদিক মারিনোভাকে হত্যার কারণ জানা যায়নি। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্লাদেন মারিনভ বলেন, এটা ধর্ষণ ও খুন। মারিনোভাকে হত্যার ঘটনায় তার পেশা কিংবা ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এক সময়ের লাইফ স্টাইল সাংবাদিক মারিনোভা বুলগেরিয়ার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিএনের উপস্থাপক ছিলেন। গত মাস থেকে তিনি ‘ডিটেক্টর’ নামে রাজনৈতিক অনুসন্ধান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে অনুষ্ঠানটির মাত্র এক পর্ব করতে পেরেছিলেন মারিনোভা। এর আগে গত এক বছরে ইউরোপে আরও দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এদের একজন করুনা গালিজিয়া অন্যজন জান কুচিক।

 

শিফা গার্দি

শিফা গার্দি নারী সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম। মেধাবী সাংবাদিক শিফার জন্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের এক শরণার্থী পরিবারে। ইরবিলের সালাহাদ্দিন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে শিফা সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায়। শিফা কুর্দি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর গার্দি চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিকদের অন্যতম হয়ে উঠেন এই নারী। ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে সাহসী শিফাকে দেখা গেছে বহুবার। এমনকি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের সংবাদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন এই নারী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিফা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সাধারণ মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসতেন। আবার আহত পশুপাখিদের উদ্ধারেও এগিয়ে আসতেন শিফা। কিছুদিন আগেই ইরাকের মসুলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি খরগোশ উদ্ধার করেন তিনি। খরগোশটি সুস্থ হলে তাকে কোনো প্রাণী সংরক্ষণাগারে দিয়ে আসা হবে এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আলোচিত এই নারী সাংবাদিক। ইরাকের মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শিফা গার্দি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ইরাকি কুর্দি টিভি স্টেশন রুদায় কর্মরত ৩০ বছর বয়সী শিফা তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছেন। ওই সময় তিনি পশ্চিম মসুল থেকে খবর সংগ্রহ করছিলেন।

 

 এলিজা প্যারিস লভজয়

তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম অপঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। একজন যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। যুদ্ধ ময়দান থেকে সর্বশেষ খবর পৌঁছে দিতে তার অবদান কম নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে শহীদ হতে হয়। এলিজা প্যারিস লভজয় সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের প্রচলিত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার লেখনীতে তিনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে দুর্বার বিপ্লবের আওয়াজ তোলেন। ১৮২৬ সালে ওয়াটারভিলে কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন লভজয়। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার মতামত তাকে একটি জ্যাকসনবিরোধী সংবাদপত্রের সম্পাদক বানিয়ে দেয়। ১৮০২ সালের ৯ নভেম্বর মাইনেতে জন্মগ্রহণকারী লভজয় বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৪ বছর। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার আন্দোলনের সাফল্য দেখার আগেই ১৮৩৭ সালের ৭ নভেম্বর আততায়ীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

গৌরী লঙ্কেশ

ভারতের মুক্তচিন্তার সাংবাদিক গৌরী খুন হন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। পেশাজীবনে তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। সে জন্য প্রতি পদে পদে তাকে নানা বাধা-বিপত্তি সামলাতে হতো। কিন্তু শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনের সামনে খুন হতে হয় তাকে। তার বুকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। এ নিয়ে ভারতসহ  গোটা বিশ্বে চলে নিন্দার ঝড়। গৌরী লঙ্কেশ ‘লঙ্কেশ পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন। বন্ধুকধারীরা গুলি করার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে পথের মাঝেই মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিক। সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েডে সংঘ পরিবারের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। কোনো রকম ভয় উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তার কলম চলত। গৌরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি ও সাংবাদিক পি লঙ্কেশের মেয়ে। পি লঙ্কেশের সম্পাদনায়ই শুরু হয়েছিল সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড লঙ্কেশ। পরে সম্পাদক হন গৌরী। আর সে কারণেই নির্ভীক সাংবাদিকতায় তার ভয় ছিল না। তবে তার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে তার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের জেরে দুই বিজেপি নেতা গৌরী লঙ্কেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় গত বছর নভেম্বরে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

 

মুকাররাম খান আতিফ

২০১২ সালে পাকিস্তানে নিহত হন ভয়েস অব আমেরিকায় কর্মরত মুকাররাম খান আতিফ নামের  এক সাংবাদিক। বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। পাকিস্তানের সংঘাতকবলিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে শবকদর শহরে তার বাড়ি। নিহত সাংবাদিকের বাড়ির নিকটবর্তী একটি মসজিদে বন্দুকধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মাগরিবের নামাজের সময় দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে হামলার উদ্দেশে মসজিদে আসে। দুই ঘাতকের একজন মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক আতিফের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘাতকের গুলিতে মসজিদের ইমামও গুলিবিদ্ধ হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এ সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যান। নিহত সাংবাদিক পাকিস্তানে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালনায় পশতু ভাষার দিয়া রেডিওতে কাজ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি সংবাদ পরিবেশনকারী টিভি চ্যানেল দুনিয়ার হয়েও কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় মোহমান্দ এজেন্সি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। সাংবাদিক আতিফ মূলত মোহমান্দ উপজাতীয় এলাকার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে অতীতেও তিনি জঙ্গিদের তরফে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। মূলত জঙ্গিদের দেওয়া অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির মুখেই তিনি তার পরিবার নিয়ে বাসস্থান ছেড়ে শবকদর শহরে বসবাস করতেন।

 

মেরি কলভিন

সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে পড়ে নিহত হয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন। হোমস শহরের একটি মিডিয়া সেন্টারে সরকারি বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে তিনি নিহত হন। সিরিয়ায় গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ধরে লড়াইয়ের খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে কাজ করছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন একজন খ্যাতিমান রণাঙ্গন সংবাদদাতা। লন্ডনের সানডে টাইমসের হয়ে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।

সানডে টাইমস পত্রিকার কর্তৃপক্ষের বর্ণনামতে মেরি কলভিন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। সিরিয়া প্রবেশের মাত্র অল্পদিনেই এই বিপদের শিকার হতে হয় তাকে। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন নিউইয়র্ক সিটিতে লেবার ইউনিয়নে। কলভিনের পড়াশোনা ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ব্যুরো ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। দ্য সানডে টাইমসে নিয়মিত রিপোর্টার হিসেবে যোগদানের আগে মধ্যপ্রাচ্যের করেসপনডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন পত্রিকাটিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। মূলত পুরো সাংবাদিকতা জীবনে তিনি সাহসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছেন। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে তার সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবর বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি পেশাগত সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৫

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ক্যাপিটাল গেজেট নামের একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। চলতি বছর ২৮ জুনের এই ঘটনায় নিহত হন ৫ সাংবাদিক। হামলার আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। বিবিসি জানায়, হামলাকারী শটগান ও স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাদের অফিসে ঢোকে। কাচের দরজার ভিতর দিয়ে সে বার্তাকক্ষের ভিতরে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় কমিউনিটি সম্পাদক ওয়েন্ডি উইন্টারস, প্রবন্ধকার রবার্ট হাইসেন, সম্পাদকীয় লেখক জেরাল্ড ফিসম্যান, রিপোর্টার ও সম্পাদক জন ম্যাকনামারা ও বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথ নিহত হন। ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে ৪০ বছর বয়সী রামোকে আটক করা হয় তারপরই। গুলির ঘটনার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ওই ভবনে প্রবেশ করে। হামলাকারী তখন একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল। ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে একটি স্মোক বোম্বও পাওয়া যায়। বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রুপের মালিকানাধীনে এই ক্যাপিটাল গেজেট। পত্রিকাটির সূচনা হয়েছিল ১৮৮৪ সালে।

 

সাংবাদিক হত্যা

পরিসংখ্যান ১৯৯৭-২০১৮

সমাজের আয়না গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমকে সচল রাখার দায়িত্ব থাকে সাংবাদিকদের। সামাজিক দায় আর নিজস্ব নীতি-নৈতিকতার বোধ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় সত্য অনুসন্ধানে। তাই তো জীবনের ঝুঁকি জেনেও ছুটে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আয়নায় তুলে ধরেন সত্য-মিথ্যার আসল তথ্য, খুলে দেন ধোঁয়াশার জট, তুলে আনেন পেছনের খবর আর ফাঁস হয় অন্ধকার মহলের গোপন অভিসন্ধি। সে কারণে অসৎ মহলের রোষানল তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়ে। সত্য অনুসন্ধান তাদের কাছে অনেকটা নেশার মতো হয়ে যায়। আর তখনই নাকের ডগায় খড়গ ঝুলছে জেনেও এই নেশায় নিজ দেশের সীমা পেরিয়ে কখনো বিস্তার ঘটান আন্তর্জাতিক মহলে। তখন শত্রুতা ও জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই এসব সংবাদ সংগ্রাহকদের হয়ে যেতে হয় মর্মান্তিক একেকটি সংবাদ। প্রতি বছর এভাবে অসংখ্য প্রাণ চলে যাচ্ছে সত্য অনুসন্ধানের মতো মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের (আইপিআই)  হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন সাংবাদিক। আইপিআই সাংবাদিকদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের নাম। এটি মিডিয়া এক্সিকিউটিভ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। বিশ্ব সাংবাদিকতার নেতৃত্বদানকারী সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্মও এটি। আইপিআই-এর মূল কাজ প্রেস স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় বিশ্বের দরবারে তুলে আনা। আইপিআই ১৯৯৭ সাল থেকে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭০ জন নামকরা সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আইপিআই-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মারা গেছেন ১৩ জন সাংবাদিক। মেক্সিকোর মতো দেশে মারা গেছেন ১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মারা গেছেন ৫ জন সাংবাদিক। অনবরত বোমা হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ব্রাজিল। সেখানেও মারা গেছেন চারজন। ইকুয়েডরে দুজন, গুয়েতেমালায় দুজন, পাকিস্তানে তিনজন, প্যালেস্টাইনে দুজন, ফিলিপাইনে তিনজন। অপরদিকে এল সালভাদরে মারা গেছেন একজন, নিকারাগুয়ায় একজন, স্লোভাকিয়ায় একজন, ইয়েমেনে তিনজন। সৌদি আরবে ঘটেছে এক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড। তবে তা বছরের সবচেয়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাকি আটজন নিহত সাংবাদিক অন্যান্য দেশের। আইপিআই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে ১৯৯৭ সাল থেকে। তাদের তালিকায় প্রথম বছরে সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা ছিল ২৮ জন। তালিকা প্রকাশের পর থেকে এটিই ছিল সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম। এর পরের বছরই তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে মারা যান ৫০ জন, ১৯৯৯ সালে ৮৬ জন এবং ২০০০ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে। সে বছর ৫৬ জন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়। ২০০১ সালে মারা যায় ৫৫ জন, ২০০২ সালে ৫৪ জন, ২০০৩ সালে ৬৪ জন। ২০০৪ সালে ৭৮ জন, ২০০৫ সালে ৬৫ জন, ২০০৬ সালে ১০০ জন, ২০০৭ সালে ৯৩ জন, ২০০৮ সালে ৬৬ জন, ২০০৯ সালে ১১০ জন এবং ২০১০ সালে মারা যান ১০১ জন সাংবাদিক। এর পরের কয়েক বছর সংখ্যাটি পাশাপাশিই অবস্থান করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরই মধ্যে বহু সচেতনতা, অধিকার আদায়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সাংবাদিক হত্যা যেন নিজ গতিতে চলতেই থাকে।

২০১১ সালে ১০২ জন, ২০১২ সালে ১৩৩ জন, ২০১৩ সালে ১২১ জন, ২০১৪ সালে ৯৯ জন, ২০১৫ সালে ১১৫ জন, ২০১৬ সালে ১২০ জন এবং ২০১৭ সালে মারা যান ৮২ জন সাংবাদিক। এখন যদি অপর এক হিসাব করা হয় তবে দেখা যাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মারা গেছেন ১০৫৩ জন সাংবাদিক। কিন্তু ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে মারা গেছেন ৭৯৫ জন। আইপিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলে দিচ্ছে বিগত দশকের তুলনায় চলতি দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশি। আর তাই বলা যায়, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার, আন্দোলন যতই সরব হোক না কেন, সামনের দিনগুলো সংকটাপন্নই হচ্ছে। আমরা যখন কোনো সাংবাদিক হেনস্তা হচ্ছে তখনই সমস্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে বিচার হয়তো হচ্ছে। তবু সাংবাদিক লাঞ্ছনার যেন শেষ নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ঠিকই তাদের কূটচাল চালছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিকতা পেশার নির্ভীক যোদ্ধারা।

 

এই বিভাগের আরও খবর
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
সর্বশেষ খবর
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন
ঢাকায় আইইউবির আয়োজনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!
অ্যাপলের ‘আইফোন পকেট’: মোজার মতো একখানা পণ্যের দাম ২২৯ ডলার!

১১ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা
মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা

১২ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

১২ মিনিট আগে | নগর জীবন

কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৩ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

১৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

২৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন ইউরোপীয় ইউনিয়নের

২৬ মিনিট আগে | জাতীয়

সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান
সুদানের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে রুবিওর আহ্বান

৩৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৩৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আজ কুয়াকাটায় যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৩৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার
ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘে ভোটাভুটি সোমবার

৪৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি
ইন্টারনেট ব্যবহার স্বাধীনতায় বাংলাদেশের উন্নতি

৫২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত
ভেনেজুয়েলার কাছে ৯ গেরিলা যোদ্ধা নিহত

৫৩ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ
শেরপুর সীমান্তে বিপুল ভারতীয় মদ জব্দ

৫৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে গুরুত্ব দেবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমেদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
ইউরোপের চার সংগঠনকে ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন
সাংবাদিকতায় নীতি-নৈতিকতার বিকল্প নেই: ওবাইদুর রহমান শাহিন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া
অ্যাশেজের আগে আরও এক বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার
জামায়াতসহ ১২টি দলের সঙ্গে ইসির বৈঠক সোমবার

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া
ইউক্রেনের হামলায় নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রফতানি বন্ধ করল রাশিয়া

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে: মুজাহিদুল ইসলাম

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান
লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়েছে ৬ দোকান

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে
আইপিএল ২০২৬: নতুন দলে দেখা যাবে শামিকে

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ
ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে আজ থেকে চালু হচ্ছে প্যাডেল স্টিমার মাহসুদ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা
স্কুলে ভর্তির নতুন নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর
আমি আবার কখনো নির্বাচন করতে পারব ভাবিনি: বাবর

২০ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : প্রধান উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারতে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি
৩০টি বিদেশি নম্বর থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছি : ওসমান হাদি

২১ ঘণ্টা আগে | ফেসবুক কর্নার

গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি
গাজা নিয়ে মার্কিন প্রস্তাবে রাশিয়া-চীনসহ আরব দেশগুলোর আপত্তি

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত
কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির মনোনয়ন নিলেন নুসরাত

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’
শনিবার হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’

২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়
ফিলিস্তিনি মসজিদে ইসরায়েলের আগুন ; নিন্দার ঝড়

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত
৫ ইসলামী ব্যাংক পাচ্ছে ছাড়, এখনই দিতে হচ্ছে না টাকা ফেরত

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি
অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলবেন মেসি

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু
এখন দেশের মানুষের প্রধান চাহিদা উৎসবমুখর নির্বাচন: আমীর খসরু

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

১৬ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত
জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের প্রথম পুনর্মিলনী উদযাপিত

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা

আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে

প্রথম পৃষ্ঠা