শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

তানিয়া তুষ্টি ও সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিককে। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে তারা রেখেছেন অসামান্য অবদান। সম্প্রতি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রাণ হারানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন প্রাণ হারানো নির্ভীক সাংবাদিককে নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতি

ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রামরহিমকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারতবর্ষ। কথিত এই ধর্মীয় গুরু রামরহিমের বিরুদ্ধে রয়েছে সাংবাদিক হত্যারও অভিযোগ। ২০০২ সালে ধর্ষণের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে হত্যা করেন রামরহিম। রামচন্দ্র ছিলেন ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্র ‘পুরা সাচ’ (সম্পূর্ণ সত্য) পত্রিকার সম্পাদক। ১৫ বছর আগে রামরহিম কর্তৃক ধর্ষণের খবর ছেপেছিলেন তিনি। তখনই ছত্রপতিকে হত্যার নীল নকশা করা হয় রামরহিমের আশ্রমে। শুরু হয় রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর পাল্টা চাপ আর হুমকি। খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য এমন দাবি করে একের পর এক হত্যার হুমকি আসতে থাকে রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে উল্টো নিয়মিত রামরহিমের আশ্রমের নানা কুকীর্তি তার পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন রামচন্দ্র ছত্রপতি। আশ্রম থেকে নানা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে সাহায্য করছিলেন রনজিৎ ও তার বোন। এরা দুজনই ছিলেন রামচন্দ্র ছত্রপতির সোর্স। রামরহিমের আশ্রমের দশ প্রধানের একজন ছিলেন রনজিৎ এবং তার বোন ছিলেন আশ্রমের একজন ভক্ত। পত্রিকাটির তথ্য পাওয়ার ‘সোর্স’ কে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে পালিয়ে যান ভাইবোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আততায়ীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় রনজিেকও। এই হত্যার পেছনেও রয়েছে রামরহিমের হাত। এরপর রামচন্দ্র পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনে সাহায্য সহযোগিতা পননি তিনি। এ ঘটনার এক মাস পরেই ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ির সামনেই  সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে এক বাইক আরোহী। টানা ২৮ দিন লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রামচন্দ্র ছত্রপতি। কিন্তু মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে এ ঘটনার জন্য রামরহিমকে দায়ী করে যান। বাবার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন রামচন্দ্রের ছেলে সাংবাদিক অংশুল। তিনি দাবি করেন পুলিশ এফআইআর থেকে প্রধান আসামি রামরহিমের নাম মুছে দেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ১৫ বছর যাবৎ মামলাটি ঝুলে রয়েছে। ২০০২ সালে রামরহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাদণ্ড সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে জেল হাজতে আছে রামরহিম।

 

ভিক্টেরিয়া মারিনোভা

বুলগেরিয়ায় ভিক্টোরিয়া মারিনোভা নামে ৩০ বছর বয়সী নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে তোলপাড় চলছে এখনো। উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুজের একটি পার্কে মারিনোভার লাশ উদ্ধার করা হয়। মারিনোভা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার এক রোমানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বুলগেরিয়া পুলিশ। সাংবাদিক মারিনোভাকে হত্যার কারণ জানা যায়নি। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্লাদেন মারিনভ বলেন, এটা ধর্ষণ ও খুন। মারিনোভাকে হত্যার ঘটনায় তার পেশা কিংবা ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এক সময়ের লাইফ স্টাইল সাংবাদিক মারিনোভা বুলগেরিয়ার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিএনের উপস্থাপক ছিলেন। গত মাস থেকে তিনি ‘ডিটেক্টর’ নামে রাজনৈতিক অনুসন্ধান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে অনুষ্ঠানটির মাত্র এক পর্ব করতে পেরেছিলেন মারিনোভা। এর আগে গত এক বছরে ইউরোপে আরও দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এদের একজন করুনা গালিজিয়া অন্যজন জান কুচিক।

 

শিফা গার্দি

শিফা গার্দি নারী সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম। মেধাবী সাংবাদিক শিফার জন্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের এক শরণার্থী পরিবারে। ইরবিলের সালাহাদ্দিন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে শিফা সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায়। শিফা কুর্দি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর গার্দি চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিকদের অন্যতম হয়ে উঠেন এই নারী। ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে সাহসী শিফাকে দেখা গেছে বহুবার। এমনকি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের সংবাদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন এই নারী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিফা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সাধারণ মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসতেন। আবার আহত পশুপাখিদের উদ্ধারেও এগিয়ে আসতেন শিফা। কিছুদিন আগেই ইরাকের মসুলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি খরগোশ উদ্ধার করেন তিনি। খরগোশটি সুস্থ হলে তাকে কোনো প্রাণী সংরক্ষণাগারে দিয়ে আসা হবে এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আলোচিত এই নারী সাংবাদিক। ইরাকের মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শিফা গার্দি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ইরাকি কুর্দি টিভি স্টেশন রুদায় কর্মরত ৩০ বছর বয়সী শিফা তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছেন। ওই সময় তিনি পশ্চিম মসুল থেকে খবর সংগ্রহ করছিলেন।

 

 এলিজা প্যারিস লভজয়

তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম অপঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। একজন যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। যুদ্ধ ময়দান থেকে সর্বশেষ খবর পৌঁছে দিতে তার অবদান কম নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে শহীদ হতে হয়। এলিজা প্যারিস লভজয় সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের প্রচলিত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার লেখনীতে তিনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে দুর্বার বিপ্লবের আওয়াজ তোলেন। ১৮২৬ সালে ওয়াটারভিলে কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন লভজয়। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার মতামত তাকে একটি জ্যাকসনবিরোধী সংবাদপত্রের সম্পাদক বানিয়ে দেয়। ১৮০২ সালের ৯ নভেম্বর মাইনেতে জন্মগ্রহণকারী লভজয় বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৪ বছর। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার আন্দোলনের সাফল্য দেখার আগেই ১৮৩৭ সালের ৭ নভেম্বর আততায়ীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

গৌরী লঙ্কেশ

ভারতের মুক্তচিন্তার সাংবাদিক গৌরী খুন হন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। পেশাজীবনে তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। সে জন্য প্রতি পদে পদে তাকে নানা বাধা-বিপত্তি সামলাতে হতো। কিন্তু শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনের সামনে খুন হতে হয় তাকে। তার বুকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। এ নিয়ে ভারতসহ  গোটা বিশ্বে চলে নিন্দার ঝড়। গৌরী লঙ্কেশ ‘লঙ্কেশ পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন। বন্ধুকধারীরা গুলি করার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে পথের মাঝেই মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিক। সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েডে সংঘ পরিবারের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। কোনো রকম ভয় উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তার কলম চলত। গৌরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি ও সাংবাদিক পি লঙ্কেশের মেয়ে। পি লঙ্কেশের সম্পাদনায়ই শুরু হয়েছিল সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড লঙ্কেশ। পরে সম্পাদক হন গৌরী। আর সে কারণেই নির্ভীক সাংবাদিকতায় তার ভয় ছিল না। তবে তার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে তার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের জেরে দুই বিজেপি নেতা গৌরী লঙ্কেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় গত বছর নভেম্বরে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

 

মুকাররাম খান আতিফ

২০১২ সালে পাকিস্তানে নিহত হন ভয়েস অব আমেরিকায় কর্মরত মুকাররাম খান আতিফ নামের  এক সাংবাদিক। বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। পাকিস্তানের সংঘাতকবলিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে শবকদর শহরে তার বাড়ি। নিহত সাংবাদিকের বাড়ির নিকটবর্তী একটি মসজিদে বন্দুকধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মাগরিবের নামাজের সময় দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে হামলার উদ্দেশে মসজিদে আসে। দুই ঘাতকের একজন মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক আতিফের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘাতকের গুলিতে মসজিদের ইমামও গুলিবিদ্ধ হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এ সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যান। নিহত সাংবাদিক পাকিস্তানে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালনায় পশতু ভাষার দিয়া রেডিওতে কাজ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি সংবাদ পরিবেশনকারী টিভি চ্যানেল দুনিয়ার হয়েও কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় মোহমান্দ এজেন্সি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। সাংবাদিক আতিফ মূলত মোহমান্দ উপজাতীয় এলাকার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে অতীতেও তিনি জঙ্গিদের তরফে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। মূলত জঙ্গিদের দেওয়া অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির মুখেই তিনি তার পরিবার নিয়ে বাসস্থান ছেড়ে শবকদর শহরে বসবাস করতেন।

 

মেরি কলভিন

সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে পড়ে নিহত হয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন। হোমস শহরের একটি মিডিয়া সেন্টারে সরকারি বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে তিনি নিহত হন। সিরিয়ায় গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ধরে লড়াইয়ের খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে কাজ করছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন একজন খ্যাতিমান রণাঙ্গন সংবাদদাতা। লন্ডনের সানডে টাইমসের হয়ে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।

সানডে টাইমস পত্রিকার কর্তৃপক্ষের বর্ণনামতে মেরি কলভিন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। সিরিয়া প্রবেশের মাত্র অল্পদিনেই এই বিপদের শিকার হতে হয় তাকে। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন নিউইয়র্ক সিটিতে লেবার ইউনিয়নে। কলভিনের পড়াশোনা ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ব্যুরো ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। দ্য সানডে টাইমসে নিয়মিত রিপোর্টার হিসেবে যোগদানের আগে মধ্যপ্রাচ্যের করেসপনডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন পত্রিকাটিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। মূলত পুরো সাংবাদিকতা জীবনে তিনি সাহসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছেন। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে তার সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবর বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি পেশাগত সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৫

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ক্যাপিটাল গেজেট নামের একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। চলতি বছর ২৮ জুনের এই ঘটনায় নিহত হন ৫ সাংবাদিক। হামলার আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। বিবিসি জানায়, হামলাকারী শটগান ও স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাদের অফিসে ঢোকে। কাচের দরজার ভিতর দিয়ে সে বার্তাকক্ষের ভিতরে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় কমিউনিটি সম্পাদক ওয়েন্ডি উইন্টারস, প্রবন্ধকার রবার্ট হাইসেন, সম্পাদকীয় লেখক জেরাল্ড ফিসম্যান, রিপোর্টার ও সম্পাদক জন ম্যাকনামারা ও বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথ নিহত হন। ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে ৪০ বছর বয়সী রামোকে আটক করা হয় তারপরই। গুলির ঘটনার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ওই ভবনে প্রবেশ করে। হামলাকারী তখন একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল। ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে একটি স্মোক বোম্বও পাওয়া যায়। বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রুপের মালিকানাধীনে এই ক্যাপিটাল গেজেট। পত্রিকাটির সূচনা হয়েছিল ১৮৮৪ সালে।

 

সাংবাদিক হত্যা

পরিসংখ্যান ১৯৯৭-২০১৮

সমাজের আয়না গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমকে সচল রাখার দায়িত্ব থাকে সাংবাদিকদের। সামাজিক দায় আর নিজস্ব নীতি-নৈতিকতার বোধ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় সত্য অনুসন্ধানে। তাই তো জীবনের ঝুঁকি জেনেও ছুটে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আয়নায় তুলে ধরেন সত্য-মিথ্যার আসল তথ্য, খুলে দেন ধোঁয়াশার জট, তুলে আনেন পেছনের খবর আর ফাঁস হয় অন্ধকার মহলের গোপন অভিসন্ধি। সে কারণে অসৎ মহলের রোষানল তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়ে। সত্য অনুসন্ধান তাদের কাছে অনেকটা নেশার মতো হয়ে যায়। আর তখনই নাকের ডগায় খড়গ ঝুলছে জেনেও এই নেশায় নিজ দেশের সীমা পেরিয়ে কখনো বিস্তার ঘটান আন্তর্জাতিক মহলে। তখন শত্রুতা ও জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই এসব সংবাদ সংগ্রাহকদের হয়ে যেতে হয় মর্মান্তিক একেকটি সংবাদ। প্রতি বছর এভাবে অসংখ্য প্রাণ চলে যাচ্ছে সত্য অনুসন্ধানের মতো মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের (আইপিআই)  হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন সাংবাদিক। আইপিআই সাংবাদিকদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের নাম। এটি মিডিয়া এক্সিকিউটিভ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। বিশ্ব সাংবাদিকতার নেতৃত্বদানকারী সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্মও এটি। আইপিআই-এর মূল কাজ প্রেস স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় বিশ্বের দরবারে তুলে আনা। আইপিআই ১৯৯৭ সাল থেকে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭০ জন নামকরা সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আইপিআই-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মারা গেছেন ১৩ জন সাংবাদিক। মেক্সিকোর মতো দেশে মারা গেছেন ১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মারা গেছেন ৫ জন সাংবাদিক। অনবরত বোমা হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ব্রাজিল। সেখানেও মারা গেছেন চারজন। ইকুয়েডরে দুজন, গুয়েতেমালায় দুজন, পাকিস্তানে তিনজন, প্যালেস্টাইনে দুজন, ফিলিপাইনে তিনজন। অপরদিকে এল সালভাদরে মারা গেছেন একজন, নিকারাগুয়ায় একজন, স্লোভাকিয়ায় একজন, ইয়েমেনে তিনজন। সৌদি আরবে ঘটেছে এক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড। তবে তা বছরের সবচেয়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাকি আটজন নিহত সাংবাদিক অন্যান্য দেশের। আইপিআই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে ১৯৯৭ সাল থেকে। তাদের তালিকায় প্রথম বছরে সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা ছিল ২৮ জন। তালিকা প্রকাশের পর থেকে এটিই ছিল সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম। এর পরের বছরই তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে মারা যান ৫০ জন, ১৯৯৯ সালে ৮৬ জন এবং ২০০০ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে। সে বছর ৫৬ জন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়। ২০০১ সালে মারা যায় ৫৫ জন, ২০০২ সালে ৫৪ জন, ২০০৩ সালে ৬৪ জন। ২০০৪ সালে ৭৮ জন, ২০০৫ সালে ৬৫ জন, ২০০৬ সালে ১০০ জন, ২০০৭ সালে ৯৩ জন, ২০০৮ সালে ৬৬ জন, ২০০৯ সালে ১১০ জন এবং ২০১০ সালে মারা যান ১০১ জন সাংবাদিক। এর পরের কয়েক বছর সংখ্যাটি পাশাপাশিই অবস্থান করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরই মধ্যে বহু সচেতনতা, অধিকার আদায়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সাংবাদিক হত্যা যেন নিজ গতিতে চলতেই থাকে।

২০১১ সালে ১০২ জন, ২০১২ সালে ১৩৩ জন, ২০১৩ সালে ১২১ জন, ২০১৪ সালে ৯৯ জন, ২০১৫ সালে ১১৫ জন, ২০১৬ সালে ১২০ জন এবং ২০১৭ সালে মারা যান ৮২ জন সাংবাদিক। এখন যদি অপর এক হিসাব করা হয় তবে দেখা যাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মারা গেছেন ১০৫৩ জন সাংবাদিক। কিন্তু ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে মারা গেছেন ৭৯৫ জন। আইপিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলে দিচ্ছে বিগত দশকের তুলনায় চলতি দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশি। আর তাই বলা যায়, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার, আন্দোলন যতই সরব হোক না কেন, সামনের দিনগুলো সংকটাপন্নই হচ্ছে। আমরা যখন কোনো সাংবাদিক হেনস্তা হচ্ছে তখনই সমস্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে বিচার হয়তো হচ্ছে। তবু সাংবাদিক লাঞ্ছনার যেন শেষ নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ঠিকই তাদের কূটচাল চালছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিকতা পেশার নির্ভীক যোদ্ধারা।

 

এই বিভাগের আরও খবর
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
তারকাদের দ্বীপে যা আছে
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
সর্বশেষ খবর
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫
যশোর বোর্ডে এইচএসসিতে নতুন করে ৭২ শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫

১৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ
নোয়াখালী বিভাগের দাবিতে ফের জেলা সমাবেশ

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড
বাংলাদেশে চালু হলো অ্যাগ্রো-ইন্ডাস্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড

২৬ মিনিট আগে | কর্পোরেট কর্নার

ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
ধনী দেশগুলো ব্যর্থ প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

৩০ মিনিট আগে | জাতীয়

রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রেলওয়ের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

৩২ মিনিট আগে | জাতীয়

ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৫০৩ মামলা

৩৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

৩৫ মিনিট আগে | রাজনীতি

চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী
চট্টগ্রামে এইচএসসিতে পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৩৯৩ শিক্ষার্থী

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭
হায়দ্রাবাদে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৭

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান
ঘরের মাঠে প্রথমবার ব্যর্থ জয়সওয়াল, দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বনিম্ন রান

৪০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাওয়ার টিলার উল্টে শ্রমিক নিহত

৪৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

৪৭ মিনিট আগে | জাতীয়

সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
সাবেক এমপি মুজিবুল হকের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

৪৯ মিনিট আগে | জাতীয়

মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান
মওলানা ভাসানী সবসময় আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন: তারেক রহমান

৫৬ মিনিট আগে | জাতীয়

ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা
ঝড়ের তাণ্ডবে পর্তুগালে ৩ মৃত্যু, ইংল্যান্ডে বন্যা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে কুষ্টিয়ায় ট্রাকে আগুন

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন
বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধানের সংযুক্ত আরব আমিরাত গমন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী
বিএনপি এখনো ইউনূস সরকারের প্রতি আস্থাশীল : রিজভী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত
‘নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নারীদের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক গোলটেবিল অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খুন হন কানকাটা কাদিরা, প্রবাসীসহ গ্রেপ্তার ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ
শাহরিয়ার আলমের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা
পাইলট হওয়ার স্বপ্ন পূরণে পাশে ইউএস-বাংলা

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২
রাজশাহীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১২

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ
গভীররাতে কাশিয়ানীতে গাছ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী
রাজশাহীতে এইচএসসির পুনর্নিরীক্ষণে ফেল থেকে পাস ৫৩ শিক্ষার্থী

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

সর্বাধিক পঠিত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
বিচারকের ছেলে হত্যার আসামির বক্তব্য ভাইরাল, ৪ পুলিশ বরখাস্ত

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ
নাতবউকে ধর্ষণের অভিযোগে জুতাপেটা, পুলিশে সোপর্দ

১৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্বর্ণের দাম কমেছে
স্বর্ণের দাম কমেছে

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি
এক দশক পর বড় পর্দায় ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ সিনেমার সেই মুন্নি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

৬ ঘণ্টা আগে | পরবাস

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১০ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নির্বাচন ঘিরে ৯ দিন মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’
‘যে দলের প্রধান পালিয়ে গেছে, তার কথায় বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নাই’

১৫ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও
সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের কাছাকাছি কুরাসাও

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি
আমেরিকা থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে এমভি উইকোটাটি

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!
বউ পিটিয়ে জেলখাটা ব্যক্তি হলেন ডিসি!

প্রথম পৃষ্ঠা

ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল
ডিসেম্বরে নির্বাচনি তফসিল

প্রথম পৃষ্ঠা

হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা
হাসিনার মামলার রায় কাল, কড়া নিরাপত্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ
নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ
ভারত পরীক্ষায় পাস করবে কি বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি
টাকার বিনিময়ে বদলি লক্ষ্য দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার
প্রমোদতরি হিসেবে ফিরল শতবর্ষী প্যাডেল স্টিমার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
তারেক রহমানসহ সব প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি প্রচারে সব দল
নির্বাচনি প্রচারে সব দল

প্রথম পৃষ্ঠা

মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল
মার্কিনিরা এখনো নারী নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত নয় : মিশেল

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি
নায়ক খলনায়কের সেরা জুটি

শোবিজ

হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’
হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন ‘বারীর সুরে মধু ঝরে’

শোবিজ

থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল
থামছেই না খাদ্যপণ্যে ভেজাল

নগর জীবন

ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই
ভোটে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আ. লীগের নেই

প্রথম পৃষ্ঠা

নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা
নবান্নের ঘ্রাণে ভরে উঠেছে কৃষকের আঙিনা

পেছনের পৃষ্ঠা

নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু
নভেম্বরেও আগ্রাসি ডেঙ্গু

পেছনের পৃষ্ঠা

গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন
গণভোট নিয়ে এখনো নানান প্রশ্ন

প্রথম পৃষ্ঠা

উর্বশীর জীবন পরিবর্তন
উর্বশীর জীবন পরিবর্তন

শোবিজ

মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার
মেসি ম্যাজিকে বছর শেষ আর্জেন্টিনার

মাঠে ময়দানে

বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে
বিতর্কিতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

প্রথম পৃষ্ঠা

উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য
উপদেষ্টা ও এনসিপি নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য

পেছনের পৃষ্ঠা

দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের
দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হাবিবুরের

মাঠে ময়দানে

প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি
প্রার্থী খুঁজছে এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন
নিম্নমানের তারের জন্য কার্গো ভিলেজে আগুন

প্রথম পৃষ্ঠা

আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ
আগামী নির্বাচনেই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

প্রথম পৃষ্ঠা

ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে
ইউরোপের পোশাক আমদানি বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া
ইংল্যান্ডের পর ফ্রান্স ক্রোয়েশিয়া

মাঠে ময়দানে

খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল
খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনে মানুষের ঢল

প্রথম পৃষ্ঠা

১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে
১৪, ১৮ ও ২৪-এর মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নেমে আসবে

প্রথম পৃষ্ঠা