শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৮

বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

তানিয়া তুষ্টি ও সাইফ ইমন
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বজুড়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড

পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা সময়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে অসংখ্য সাংবাদিককে। সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে তারা রেখেছেন অসামান্য অবদান। সম্প্রতি সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির প্রাণ হারানোর ঘটনা বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকজন প্রাণ হারানো নির্ভীক সাংবাদিককে নিয়ে আজকের আয়োজন।

 

সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতি

ধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রামরহিমকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল ভারতবর্ষ। কথিত এই ধর্মীয় গুরু রামরহিমের বিরুদ্ধে রয়েছে সাংবাদিক হত্যারও অভিযোগ। ২০০২ সালে ধর্ষণের তথ্য ফাঁস করায় সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে হত্যা করেন রামরহিম। রামচন্দ্র ছিলেন ভারতের স্থানীয় সংবাদপত্র ‘পুরা সাচ’ (সম্পূর্ণ সত্য) পত্রিকার সম্পাদক। ১৫ বছর আগে রামরহিম কর্তৃক ধর্ষণের খবর ছেপেছিলেন তিনি। তখনই ছত্রপতিকে হত্যার নীল নকশা করা হয় রামরহিমের আশ্রমে। শুরু হয় রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর পাল্টা চাপ আর হুমকি। খবরটি সম্পূর্ণ অসত্য এমন দাবি করে একের পর এক হত্যার হুমকি আসতে থাকে রামচন্দ্র ছত্রপতির ওপর। কিন্তু এতে দমে না গিয়ে উল্টো নিয়মিত রামরহিমের আশ্রমের নানা কুকীর্তি তার পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন রামচন্দ্র ছত্রপতি। আশ্রম থেকে নানা তথ্য দিয়ে পত্রিকাটিকে সাহায্য করছিলেন রনজিৎ ও তার বোন। এরা দুজনই ছিলেন রামচন্দ্র ছত্রপতির সোর্স। রামরহিমের আশ্রমের দশ প্রধানের একজন ছিলেন রনজিৎ এবং তার বোন ছিলেন আশ্রমের একজন ভক্ত। পত্রিকাটির তথ্য পাওয়ার ‘সোর্স’ কে খোঁজাখুঁজি শুরু হলে পালিয়ে যান ভাইবোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আততায়ীর গুলিতে প্রাণ দিতে হয় রনজিেকও। এই হত্যার পেছনেও রয়েছে রামরহিমের হাত। এরপর রামচন্দ্র পুলিশের কাছে নিরাপত্তার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনে সাহায্য সহযোগিতা পননি তিনি। এ ঘটনার এক মাস পরেই ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর নিজ বাড়ির সামনেই  সাংবাদিক রামচন্দ্র ছত্রপতিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে এক বাইক আরোহী। টানা ২৮ দিন লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রামচন্দ্র ছত্রপতি। কিন্তু মৃত্যুর আগে পুলিশের কাছে এ ঘটনার জন্য রামরহিমকে দায়ী করে যান। বাবার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন রামচন্দ্রের ছেলে সাংবাদিক অংশুল। তিনি দাবি করেন পুলিশ এফআইআর থেকে প্রধান আসামি রামরহিমের নাম মুছে দেন। পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাবে ১৫ বছর যাবৎ মামলাটি ঝুলে রয়েছে। ২০০২ সালে রামরহিমের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছর কারাদণ্ড সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে জেল হাজতে আছে রামরহিম।

 

ভিক্টেরিয়া মারিনোভা

বুলগেরিয়ায় ভিক্টোরিয়া মারিনোভা নামে ৩০ বছর বয়সী নারী সাংবাদিককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ইউরোপজুড়ে তোলপাড় চলছে এখনো। উত্তরাঞ্চলীয় শহর রুজের একটি পার্কে মারিনোভার লাশ উদ্ধার করা হয়। মারিনোভা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার এক রোমানিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করেছে বুলগেরিয়া পুলিশ। সাংবাদিক মারিনোভাকে হত্যার কারণ জানা যায়নি। বুলগেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্লাদেন মারিনভ বলেন, এটা ধর্ষণ ও খুন। মারিনোভাকে হত্যার ঘটনায় তার পেশা কিংবা ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এক সময়ের লাইফ স্টাইল সাংবাদিক মারিনোভা বুলগেরিয়ার জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল টিভিএনের উপস্থাপক ছিলেন। গত মাস থেকে তিনি ‘ডিটেক্টর’ নামে রাজনৈতিক অনুসন্ধান বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা শুরু করেছিলেন। মৃত্যুর আগে অনুষ্ঠানটির মাত্র এক পর্ব করতে পেরেছিলেন মারিনোভা। এর আগে গত এক বছরে ইউরোপে আরও দুজন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এদের একজন করুনা গালিজিয়া অন্যজন জান কুচিক।

 

শিফা গার্দি

শিফা গার্দি নারী সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম। মেধাবী সাংবাদিক শিফার জন্ম ১৯৮৬ সালে ইরানের এক শরণার্থী পরিবারে। ইরবিলের সালাহাদ্দিন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৬ সালে শিফা সাংবাদিকতা শুরু করেন। দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সাফল্যের সঙ্গে নিজেকে প্রমাণ করেছেন সাংবাদিকতা পেশায়। শিফা কুর্দি মিডিয়ায় কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে। এরপর গার্দি চ্যানেলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাংবাদিকদের অন্যতম হয়ে উঠেন এই নারী। ভয়ানক যুদ্ধক্ষেত্র থেকে টেলিভিশনে সরাসরি সংবাদ সম্প্রচারে সাহসী শিফাকে দেখা গেছে বহুবার। এমনকি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ের সংবাদ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করেছেন এই নারী সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিফা যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সাধারণ মানুষের সাহায্যেও এগিয়ে আসতেন। আবার আহত পশুপাখিদের উদ্ধারেও এগিয়ে আসতেন শিফা। কিছুদিন আগেই ইরাকের মসুলের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে একটি খরগোশ উদ্ধার করেন তিনি। খরগোশটি সুস্থ হলে তাকে কোনো প্রাণী সংরক্ষণাগারে দিয়ে আসা হবে এমনটাই কথা ছিল। কিন্তু তা দেখে যেতে পারলেন না আলোচিত এই নারী সাংবাদিক। ইরাকের মসুলে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান লড়াইয়ে শিফা গার্দি রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। ইরাকি কুর্দি টিভি স্টেশন রুদায় কর্মরত ৩০ বছর বয়সী শিফা তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও টেলিভিশনে সরাসরি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করেছেন। ওই সময় তিনি পশ্চিম মসুল থেকে খবর সংগ্রহ করছিলেন।

 

 এলিজা প্যারিস লভজয়

তিনি ছিলেন আধুনিক সাংবাদিকদের মধ্যে সর্বপ্রথম অপঘাতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। একজন যুদ্ধ সাংবাদিক হিসেবে তার বিশ্বজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। যুদ্ধ ময়দান থেকে সর্বশেষ খবর পৌঁছে দিতে তার অবদান কম নয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে শহীদ হতে হয়। এলিজা প্যারিস লভজয় সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের প্রচলিত দাসপ্রথার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তার লেখনীতে তিনি দাসপ্রথার বিরুদ্ধে দুর্বার বিপ্লবের আওয়াজ তোলেন। ১৮২৬ সালে ওয়াটারভিলে কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন লভজয়। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার সোচ্চার মতামত তাকে একটি জ্যাকসনবিরোধী সংবাদপত্রের সম্পাদক বানিয়ে দেয়। ১৮০২ সালের ৯ নভেম্বর মাইনেতে জন্মগ্রহণকারী লভজয় বেঁচেছিলেন মাত্র ৩৪ বছর। দাসপ্রথার বিরুদ্ধে তার আন্দোলনের সাফল্য দেখার আগেই ১৮৩৭ সালের ৭ নভেম্বর আততায়ীরা তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

 

গৌরী লঙ্কেশ

ভারতের মুক্তচিন্তার সাংবাদিক গৌরী খুন হন ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। পেশাজীবনে তিনি উগ্র হিন্দুত্ববাদের বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন। সে জন্য প্রতি পদে পদে তাকে নানা বাধা-বিপত্তি সামলাতে হতো। কিন্তু শেষমেশ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনের সামনে খুন হতে হয় তাকে। তার বুকে পর পর তিনটি গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ীরা। এ নিয়ে ভারতসহ  গোটা বিশ্বে চলে নিন্দার ঝড়। গৌরী লঙ্কেশ ‘লঙ্কেশ পত্রিকা’র সম্পাদক ছিলেন। বন্ধুকধারীরা গুলি করার পর তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে পথের মাঝেই মারা যান ৫৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিক। সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েডে সংঘ পরিবারের কট্টর সমালোচনা করতেন তিনি। কোনো রকম ভয় উপেক্ষা করে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তার কলম চলত। গৌরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দেশটিতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। তিনি ছিলেন বিখ্যাত কবি ও সাংবাদিক পি লঙ্কেশের মেয়ে। পি লঙ্কেশের সম্পাদনায়ই শুরু হয়েছিল সাপ্তাহিক ট্যাবলয়েড লঙ্কেশ। পরে সম্পাদক হন গৌরী। আর সে কারণেই নির্ভীক সাংবাদিকতায় তার ভয় ছিল না। তবে তার জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে তার সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের জেরে দুই বিজেপি নেতা গৌরী লঙ্কেশের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় গত বছর নভেম্বরে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

 

মুকাররাম খান আতিফ

২০১২ সালে পাকিস্তানে নিহত হন ভয়েস অব আমেরিকায় কর্মরত মুকাররাম খান আতিফ নামের  এক সাংবাদিক। বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনি নিহত হন। পাকিস্তানের সংঘাতকবলিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে শবকদর শহরে তার বাড়ি। নিহত সাংবাদিকের বাড়ির নিকটবর্তী একটি মসজিদে বন্দুকধারীরা তার ওপর হামলা চালায়। মাগরিবের নামাজের সময় দুই বন্দুকধারী মোটরসাইকেলে করে হামলার উদ্দেশে মসজিদে আসে। দুই ঘাতকের একজন মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করে সাংবাদিক আতিফের মাথা লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘাতকের গুলিতে মসজিদের ইমামও গুলিবিদ্ধ হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আহত এ সাংবাদিককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যান। নিহত সাংবাদিক পাকিস্তানে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালনায় পশতু ভাষার দিয়া রেডিওতে কাজ করতেন। এর পাশাপাশি তিনি সংবাদ পরিবেশনকারী টিভি চ্যানেল দুনিয়ার হয়েও কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় মোহমান্দ এজেন্সি প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন। সাংবাদিক আতিফ মূলত মোহমান্দ উপজাতীয় এলাকার বাসিন্দা। কাজের সুবাদে অতীতেও তিনি জঙ্গিদের তরফে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। মূলত জঙ্গিদের দেওয়া অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির মুখেই তিনি তার পরিবার নিয়ে বাসস্থান ছেড়ে শবকদর শহরে বসবাস করতেন।

 

মেরি কলভিন

সিরিয়ার সরকারবিরোধী আন্দোলনে পড়ে নিহত হয়েছেন মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন। হোমস শহরের একটি মিডিয়া সেন্টারে সরকারি বাহিনীর নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে তিনি নিহত হন। সিরিয়ায় গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছুদিন ধরে লড়াইয়ের খবর সংগ্রহের জন্য সেখানে কাজ করছিলেন। মার্কিন সাংবাদিক মেরি কলভিন একজন খ্যাতিমান রণাঙ্গন সংবাদদাতা। লন্ডনের সানডে টাইমসের হয়ে তিনি সেখানে কাজ করছিলেন।

সানডে টাইমস পত্রিকার কর্তৃপক্ষের বর্ণনামতে মেরি কলভিন একজন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব। সিরিয়া প্রবেশের মাত্র অল্পদিনেই এই বিপদের শিকার হতে হয় তাকে। তিনি নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেন নিউইয়র্ক সিটিতে লেবার ইউনিয়নে। কলভিনের পড়াশোনা ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনালের ব্যুরো ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। দ্য সানডে টাইমসে নিয়মিত রিপোর্টার হিসেবে যোগদানের আগে মধ্যপ্রাচ্যের করেসপনডেন্ট হিসেবেও কাজ করেন পত্রিকাটিতে। ১৯৮৬ সালে তিনি মুয়াম্মার গাদ্দাফির সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। মূলত পুরো সাংবাদিকতা জীবনে তিনি সাহসিকতার পরিচয় তুলে ধরেছেন। দেশীয় গণ্ডি পেরিয়ে তার সাংবাদিকতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খবর বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি পেশাগত সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছেন।

 

 

যুক্তরাষ্ট্রে নিহত ৫

চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে ক্যাপিটাল গেজেট নামের একটি সংবাদপত্রের অফিসে ঢুকে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী। চলতি বছর ২৮ জুনের এই ঘটনায় নিহত হন ৫ সাংবাদিক। হামলার আগে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। বিবিসি জানায়, হামলাকারী শটগান ও স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাদের অফিসে ঢোকে। কাচের দরজার ভিতর দিয়ে সে বার্তাকক্ষের ভিতরে নির্বিচারে গুলি চালায়। এ হামলায় কমিউনিটি সম্পাদক ওয়েন্ডি উইন্টারস, প্রবন্ধকার রবার্ট হাইসেন, সম্পাদকীয় লেখক জেরাল্ড ফিসম্যান, রিপোর্টার ও সম্পাদক জন ম্যাকনামারা ও বিক্রয় সহকারী রেবেকা স্মিথ নিহত হন। ঘটনার জন্য দায়ী সন্দেহে ৪০ বছর বয়সী রামোকে আটক করা হয় তারপরই। গুলির ঘটনার এক মিনিটের মধ্যে পুলিশ ওই ভবনে প্রবেশ করে। হামলাকারী তখন একটি ডেস্কের নিচে লুকিয়ে ছিল। ভবনের ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে একটি স্মোক বোম্বও পাওয়া যায়। বাল্টিমোর সান মিডিয়া গ্রুপের মালিকানাধীনে এই ক্যাপিটাল গেজেট। পত্রিকাটির সূচনা হয়েছিল ১৮৮৪ সালে।

 

সাংবাদিক হত্যা

পরিসংখ্যান ১৯৯৭-২০১৮

সমাজের আয়না গণমাধ্যম। সেই গণমাধ্যমকে সচল রাখার দায়িত্ব থাকে সাংবাদিকদের। সামাজিক দায় আর নিজস্ব নীতি-নৈতিকতার বোধ তাদের তাড়িয়ে বেড়ায় সত্য অনুসন্ধানে। তাই তো জীবনের ঝুঁকি জেনেও ছুটে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। আয়নায় তুলে ধরেন সত্য-মিথ্যার আসল তথ্য, খুলে দেন ধোঁয়াশার জট, তুলে আনেন পেছনের খবর আর ফাঁস হয় অন্ধকার মহলের গোপন অভিসন্ধি। সে কারণে অসৎ মহলের রোষানল তাদের জন্য অবধারিত হয়ে পড়ে। সত্য অনুসন্ধান তাদের কাছে অনেকটা নেশার মতো হয়ে যায়। আর তখনই নাকের ডগায় খড়গ ঝুলছে জেনেও এই নেশায় নিজ দেশের সীমা পেরিয়ে কখনো বিস্তার ঘটান আন্তর্জাতিক মহলে। তখন শত্রুতা ও জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। মাঝে মাঝেই এসব সংবাদ সংগ্রাহকদের হয়ে যেতে হয় মর্মান্তিক একেকটি সংবাদ। প্রতি বছর এভাবে অসংখ্য প্রাণ চলে যাচ্ছে সত্য অনুসন্ধানের মতো মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে।

ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউটের (আইপিআই)  হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ জন সাংবাদিক। আইপিআই সাংবাদিকদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের নাম। এটি মিডিয়া এক্সিকিউটিভ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। বিশ্ব সাংবাদিকতার নেতৃত্বদানকারী সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্মও এটি। আইপিআই-এর মূল কাজ প্রেস স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয় বিশ্বের দরবারে তুলে আনা। আইপিআই ১৯৯৭ সাল থেকে নিহত সাংবাদিকদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু ২০১৮ সালে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭০ জন নামকরা সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। আইপিআই-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে মারা গেছেন ১৩ জন সাংবাদিক। মেক্সিকোর মতো দেশে মারা গেছেন ১১ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ জন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে মারা গেছেন ৫ জন সাংবাদিক। অনবরত বোমা হামলায় বিধ্বস্ত সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত চারজন সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ব্রাজিল। সেখানেও মারা গেছেন চারজন। ইকুয়েডরে দুজন, গুয়েতেমালায় দুজন, পাকিস্তানে তিনজন, প্যালেস্টাইনে দুজন, ফিলিপাইনে তিনজন। অপরদিকে এল সালভাদরে মারা গেছেন একজন, নিকারাগুয়ায় একজন, স্লোভাকিয়ায় একজন, ইয়েমেনে তিনজন। সৌদি আরবে ঘটেছে এক সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড। তবে তা বছরের সবচেয়ে আলোচিত সাংবাদিক হত্যার ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বাকি আটজন নিহত সাংবাদিক অন্যান্য দেশের। আইপিআই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে আসছে ১৯৯৭ সাল থেকে। তাদের তালিকায় প্রথম বছরে সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা ছিল ২৮ জন। তালিকা প্রকাশের পর থেকে এটিই ছিল সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে কম। এর পরের বছরই তা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে মারা যান ৫০ জন, ১৯৯৯ সালে ৮৬ জন এবং ২০০০ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে। সে বছর ৫৬ জন সাংবাদিককে বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়। ২০০১ সালে মারা যায় ৫৫ জন, ২০০২ সালে ৫৪ জন, ২০০৩ সালে ৬৪ জন। ২০০৪ সালে ৭৮ জন, ২০০৫ সালে ৬৫ জন, ২০০৬ সালে ১০০ জন, ২০০৭ সালে ৯৩ জন, ২০০৮ সালে ৬৬ জন, ২০০৯ সালে ১১০ জন এবং ২০১০ সালে মারা যান ১০১ জন সাংবাদিক। এর পরের কয়েক বছর সংখ্যাটি পাশাপাশিই অবস্থান করে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এরই মধ্যে বহু সচেতনতা, অধিকার আদায়ের ঘটনা ঘটে। কিন্তু সাংবাদিক হত্যা যেন নিজ গতিতে চলতেই থাকে।

২০১১ সালে ১০২ জন, ২০১২ সালে ১৩৩ জন, ২০১৩ সালে ১২১ জন, ২০১৪ সালে ৯৯ জন, ২০১৫ সালে ১১৫ জন, ২০১৬ সালে ১২০ জন এবং ২০১৭ সালে মারা যান ৮২ জন সাংবাদিক। এখন যদি অপর এক হিসাব করা হয় তবে দেখা যাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে মারা গেছেন ১০৫৩ জন সাংবাদিক। কিন্তু ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ১২ বছরে মারা গেছেন ৭৯৫ জন। আইপিআই থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলে দিচ্ছে বিগত দশকের তুলনায় চলতি দশকে সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশি। আর তাই বলা যায়, বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের অধিকার, আন্দোলন যতই সরব হোক না কেন, সামনের দিনগুলো সংকটাপন্নই হচ্ছে। আমরা যখন কোনো সাংবাদিক হেনস্তা হচ্ছে তখনই সমস্বরে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। কিছু ক্ষেত্রে বিচার হয়তো হচ্ছে। তবু সাংবাদিক লাঞ্ছনার যেন শেষ নেই। স্বার্থান্বেষী মহল ঠিকই তাদের কূটচাল চালছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাংবাদিকতা পেশার নির্ভীক যোদ্ধারা।

 

এই বিভাগের আরও খবর
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
যেভাবে তাঁরা সাফল্যের চূড়ায়
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
মৃত্যুর পর যাঁরা খ্যাতিমান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
নোবেলজয়ীদের যুগান্তকারী অবদান
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
প্রাচীন জাতিগোষ্ঠী : যারা ইতিহাসের নীরব স্থপতি
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জি চায় বৈষম্যহীন উন্নত রাষ্ট্র
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
জেন-জির চোখে আগামীর বাংলাদেশ
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
বিশ্বের যত অদ্ভুত শহর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
সর্বশেষ খবর
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা
নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় নিহতের ঘটনায় মামলা

৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে রাশিয়া

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
সন্ধ্যার মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

১২ মিনিট আগে | জাতীয়

খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান
খসড়া টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশে ওটিটি ও সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের বিধান

২১ মিনিট আগে | জাতীয়

'দীপিকা আছে ভালোবাসা তো থাকতেই হবে'
'দীপিকা আছে ভালোবাসা তো থাকতেই হবে'

২২ মিনিট আগে | শোবিজ

মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা
মালদ্বীপে প্রবাসীদের জন্য এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে মতবিনিময় সভা

২৭ মিনিট আগে | পরবাস

যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে মেয়র-গভর্নর নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়জয়কার, চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমাসহ গ্রেফতার ৭
দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমাসহ গ্রেফতার ৭

৩৯ মিনিট আগে | নগর জীবন

পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’
পাঁচ ইসলামিক ব্যাংক একীভূত হয়ে গঠিত হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস
আজ বিশ্ব সুনামি সচেতনতা দিবস

৪৮ মিনিট আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

শব্দদূষণ রোধে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক কর্মসূচি
শব্দদূষণ রোধে ভোলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক কর্মসূচি

৪৯ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি
বিজয়ী বক্তব্যে যা বললেন জোহরান মামদানি

৫৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুয়াকাটায় রাস ভক্তদের গঙ্গাস্নান
কুয়াকাটায় রাস ভক্তদের গঙ্গাস্নান

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল
নিউ জার্সির গভর্নর হলেন মিকি শেরিল

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের পাঁচজন নিহত

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই মামদানি?
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র কে এই মামদানি?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৬ জন গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৬ জন গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন
সূচকের মিশ্র প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

অন্য দেশের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না জার্মান দূতাবাস
অন্য দেশের ভিসা আবেদন গ্রহণ করে না জার্মান দূতাবাস

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘স্পাইডারম্যান-৪’ সিনেমায় ফিরছে হাল্ক
‘স্পাইডারম্যান-৪’ সিনেমায় ফিরছে হাল্ক

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অ্যাশেজ সিরিজ : অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমক ওয়েদারল্ড
অ্যাশেজ সিরিজ : অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে চমক ওয়েদারল্ড

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?
এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাচ্ছে সৌদি আরব?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আর কোনও ইউরোপীয় দেশে হামলা করবে না রাশিয়া: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আর কোনও ইউরোপীয় দেশে হামলা করবে না রাশিয়া: আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ সংগ্রহে মালয়েশিয়া নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস
প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ সংগ্রহে মালয়েশিয়া নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৮ম দিনের শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের ৮ম দিনের শুনানি চলছে

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বসনিয়ার নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু
বসনিয়ার নার্সিং হোমে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী ওয়াহিদ আসগারের চিত্র প্রদর্শনী
টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হলো শিল্পী ওয়াহিদ আসগারের চিত্র প্রদর্শনী

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

মাদরাসা ৫ম ও ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ২৮-৩১ ডিসেম্বর
মাদরাসা ৫ম ও ৮ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ২৮-৩১ ডিসেম্বর

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ
চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে হারিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন মিউনিখ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত
ইশরাক মনোনয়ন পাওয়ায় যা বললেন নুসরাত

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা
কর্মীদের আবেগকেও সম্মান করতে হবে : রুমিন ফারহানা

২৩ ঘণ্টা আগে | টক শো

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত
মাদারীপুর-১ আসনে কামাল মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত

১৯ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক
নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনে আমজনতার তারেক

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প
মামদানির জয়ে যা বললেন ট্রাম্প

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের
আমার সৌভাগ্য হবে বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের পাশে সংসদে বসার: হুম্মাম কাদের

১১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল
নিবন্ধন পেল এনসিপিসহ তিন দল

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৩৭ বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির
আমরা নির্বাচনে জোট করব না: জামায়াত আমির

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা
বিএনপির মনোনয়ন না পেয়ে যা বললেন কনকচাঁপা

২১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন
বিসিবি থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন সালাহউদ্দিন

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান
উট ও স্বর্ণ থেকে সাম্রাজ্য: দাগোলোর হাতে এখন অর্ধেক সুদান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়
নিউইয়র্কের মেয়র পদে মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ
আনিসুলের বান্ধবী তৌফিকার আয়কর নথি জব্দের আদেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক
মনোনয়ন পেয়ে যে বার্তা দিলেন ইশরাক

২৩ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান
শওকত-রনির কোলাকুলি, ধানের শীষকে বিজয়ী করার আহ্বান

১৭ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা
শাপলা কলি প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছে এনসিপি: সামান্তা

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক
শিগগিরই আসছে ২৫০০ কোটি টাকার ৭ম বিনিয়োগ সুকুক

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি
গাজীপুরে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস জব্দ, জীবিত উদ্ধার ৩৭টি

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার
৪১ ডেপুটি ও ৬৭ সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ দিল সরকার

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার
খামেনির ছবি পোড়ানোর পর যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
জাকির নায়েককে আপাতত বাংলাদেশে আসার অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ পেলেন বিচারপতি আহমেদ সোহেল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক
পদোন্নতি পাচ্ছেন এক হাজারের বেশি বিচারক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মোহাম্মদপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন
সৌদিতে আরও ১৭ হাজার নারী সংগীত শিক্ষক প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত
দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কত

৪ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে
বিপিএলে ৫ দল, শুরু ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ প্রস্তাব বাতিল প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিলো সরকার

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ
এখন বিএনপির বাকি আসনের হিসাবনিকাশ

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি উত্তাপে দেশ
নির্বাচনি উত্তাপে দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই
জামায়াতের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগিরই

প্রথম পৃষ্ঠা

এ কেমন স্কুল ভবন!
এ কেমন স্কুল ভবন!

পেছনের পৃষ্ঠা

এটাই আমার শেষ নির্বাচন
এটাই আমার শেষ নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ
সিলিন্ডার দুর্ঘটনার বড় ক্ষতি রোধে উদ্যোগ

নগর জীবন

অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার
অঙ্গ দিতে পারবেন ইমোশনাল ডোনার

প্রথম পৃষ্ঠা

অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
অবৈধ সুবিধা দিলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পেছনের পৃষ্ঠা

১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা
১৮ মাসে এক কোটি চাকরি নিছক বাগ্মিতা নয় সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা

নগর জীবন

এ কী কাণ্ড মাধুরীর
এ কী কাণ্ড মাধুরীর

শোবিজ

কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি
কুড়িগ্রামে ভাওয়াইয়ার সুরে মায়াভরা ইত্যাদি

শোবিজ

জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ
জলবায়ু তহবিলের ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ

প্রথম পৃষ্ঠা

পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা
পারিশ্রমিক পেতে ফুটবলারদের তাগাদা

মাঠে ময়দানে

সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের
সংকট পিছু ছাড়ছে না সিইউএফএলের

নগর জীবন

১৬ বছর পর আসিফ
১৬ বছর পর আসিফ

শোবিজ

মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়
মতের পার্থক্য যেন সংঘাতে রূপ না নেয়

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন
সংকট নিরসনে চাই ইসলামি অনুশাসন

নগর জীবন

দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ
দেশবাসী ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি
কার্গো কমপ্লেক্সের ভল্ট ভেঙে সাত অস্ত্র চুরি

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব
নির্বাচনে শীর্ষ নেতাদের পেয়ে বগুড়াজুড়ে আনন্দ উৎসব

পেছনের পৃষ্ঠা

রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র
রূপবানের ভূত চেপেছিল সর্বত্র

শোবিজ

২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল
২০০ বছরের রাস উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল

দেশগ্রাম

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ
বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মীর মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

প্রথম পৃষ্ঠা

নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না
নিউমার্কেট মোড়ে বিকাল ৪টার আগে হকার বসতে পারবেন না

নগর জীবন

পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস
পোশাক রপ্তানি কমল টানা তিন মাস

পেছনের পৃষ্ঠা

নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল
নিবন্ধন পাচ্ছে নতুন তিন দল

প্রথম পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন
রাজশাহীতে পাঁচ পরিবারকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নগর জীবন

ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে
ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে

নগর জীবন

আলাপের জন্য আলাপ
আলাপের জন্য আলাপ

রকমারি রম্য