শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ০১ জুন, ২০২০ আপডেট:

যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের নিষ্ঠুরতা

তানভীর আহমেদ
প্রিন্ট ভার্সন
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের নিষ্ঠুরতা

কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশের নির্যাতন, নিষ্ঠুরতা চলছেই আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্রে বছর বছর সামান্য অপরাধ, অজুহাতে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর চড়াও হচ্ছে পুলিশ। চালাচ্ছে গুলি, মারাত্মক জখম অথবা গলা চেপে হত্যা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, মৃতদের বেশিরভাগই ছিল নিরস্ত্র। বড় ধরনের অপরাধ বা অপরাধীর তালিকাতেও ছিল না তারা। কালো মানুষদের ওপর বর্ণবাদী আচরণ করছে অভিযুক্ত পুলিশ। ম্যাপিং পুলিশ ভায়োলেন্স নামে একটি বেসরকারি সংস্থার চালানো জরিপে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় তিনগুণ বেশি মারা যান কৃষ্ণাঙ্গরা। পুলিশের গুলিতে ২০১৯ সালে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি। ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রের সংগৃহীত তথ্য এবং বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকায় পুলিশের গুলিতে নিহতদের মধ্যে তুলনামূলকভাবে বেশিরভাগই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান। সম্প্রতি হাঁটু দিয়ে গলা চেপে, নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ভিডিও বিক্ষুব্ধ করেছে সবাইকে। মৃত্যুর আগে একটু নিঃশ্বাস নেওয়ার আকুতিতেও মন গলেনি পুলিশের। দেশটিতে এমন পুলিশি নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে এখন গোটা আমেরিকায় চলছে বিক্ষোভ।

 

 

হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরে ফ্লয়েডকে হত্যা করে পুলিশ

২৫ মে, যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়েপোলিস শহর। রাস্তায় ফিরছিলেন জর্জ ফ্লয়েড। ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড কাজ করতেন একটি রেস্তোরাঁর নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে। তাকে রাস্তায় আটকায় পুলিশ। অভিযোগ, তার কাছে জাল টাকা রয়েছে। পুলিশের ভাষ্য ছিল, ফ্লয়েডের গাড়িতে জাল নোট থাকার খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তারা ফ্লয়েডকে গাড়ি থেকে নেমে সরে যেতে বললে তিনি কর্মকর্তাদের বাধা দেন এবং গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সত্য ঘটনা লুকানো আর হলো না। একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একজন পুলিশ অফিসার কীভাবে তার হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরেছেন। মিনিয়েপোলিসের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার শেভিন জর্জ ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু ধরে তাকে মেরে ফেলেন। শেভিনের বিরুদ্ধে আনা চার্জে লেখা, ৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ওভাবে ফ্লয়েডের মাথায় হাঁটু চেপে রেখেছিলেন শেভিন, এর মধ্যে ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড ছিল ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর। ফ্লয়েডের হাতে তখনো হ্যান্ডকাফ পরা ছিল। পুলিশের নির্দেশনা মেনে মাথা মাটির দিকে রেখে মাটিতে শুয়েই ছিলেন তিনি। তবু শেভিনের ওভাবে হাঁটু দিয়ে মাথা চেপে ধরা। পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ের ওপর হাঁটু দিয়ে তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখার সময় একটু নিঃশ^াস নিতে হাসফাঁস করছিলেন। ফ্লয়েড বলতে থাকেন, ‘প্লিজ, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না, আমাকে মারবেন না।’

এক পথচারী সে সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমেরিকায় নিরস্ত্র একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার পর একজন পুলিশ অফিসার হাঁটু দিয়ে তার গলা চেপে ধরার পর ওই ব্যক্তির মৃত্যু দেশটিতে সংখ্যালঘু বর্ণ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের নৃশংসতাকে আবার সামনে এনেছে। এ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস। বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে কয়েকটি অঙ্গরাজ্য। আমেরিকার বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ। কোথাও কোথাও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিও অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও তুমুল ধ্বংসযজ্ঞে রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা একটি থানায় ও দুটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মিনিয়েপোলিস ও পার্শ্ববর্তী সেইন্ট পল শহরে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়। গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বাইরে যখন বিক্ষোভ চলছিল তখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যানসনেই অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সামনে বাধা সৃষ্টি করে নিরাপত্তাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’, ‘আমাদের হত্যা বন্ধ করুন’ স্লোগান ধরতে শোনা যায়। হোয়াইট হাউসের বাইরে ওয়াশিংটন ডিসিতে রাস্তাগুলোতে চলা বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংসতায় রূপ নেয়। কারফিউ ভঙ্গ করে বিক্ষোভকারী রাত পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করে। মিনেসোটা ছাড়াও নিউইয়র্ক, হিউস্টন, আটলান্টা, ডেট্রোয়েট, লাসভেগাস, সানজোসে ও মেম্পিসেও বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়েছে।  বিক্ষোভকারীদের সামলাতে গিয়ে পুলিশ সংবাদকর্মীদের ওপরও চড়াও হয়। বিক্ষোভের ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করার সময় সংবাদমাধ্যম সিএনএনের লাইভ টিমের কয়েকজনকে আটক করে দেশটির পুলিশ। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে মিনিয়োপোলিসে বিক্ষোভের লাইভ প্রচার চলাকালে সিএনএন রিপোর্টার ওমর জিমনেজকে গ্রেফতার করা হয়। সে সময় একজন প্রযোজক এবং ক্যামেরা অপারেটরকে হাতকড়াও লাগানো হয়েছিল। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পুলিশ তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ পরায় এবং ক্যামেরাও কেড়ে নেয়। মার্কিন টিভি নেটওয়ার্কে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, সরাসরি সম্প্রচারের সময় পুলিশ কর্মকর্তা একজন প্রতিবেদক এবং তার ক্যামেরাম্যানকে ‘টার্গেট’ করছে। 

প্রতিবেদক এবং ক্যামেরাম্যানকে বারবার রাবার বুলেটের দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল। একজন অফিসার নিজের অস্ত্রটি সরাসরি ক্যামেরার সামনে প্রদর্শন করেন। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে পড়ে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। ফ্লয়েডকে হাঁটুচাপা দিয়ে যে পুলিশ অফিসার হত্যা করেছে সেই  শেভিন জর্জের বিরুদ্ধে গুরুতর হত্যা ‘থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার’ অভিযোগে মামলা হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। এ ঘটনার তদন্ত করছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এফবিআই।

 

এরিক গার্নারকেও গলা চেপে খুন করে পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রশাসনিক এলাকা স্ট্যাটেন আইল্যান্ড। স্টাটেন আইল্যান্ডের একটি বিপণিকেন্দ্রের সামনে ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই নিহত হন গার্নার (৪৩)। সেখানে নিষিদ্ধ সিগারেট বিক্রির অভিযোগে কয়েক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রেফতারের চেষ্টায় বাধা দেন গার্নার। তখন পুলিশ তাকে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরানোর চেষ্টা করে। ওই সময় শ্বাসরোধে হয়ে মৃত্যু হয় গার্নারের। তবে পুলিশ বলছে তার হাঁপানি ও হৃদরোগ ছিল। কিন্তু পরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, গার্নারকে হত্যা করা হয়েছে। গার্নারের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়। গার্নারের মৃত্যুর সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। ওই ঘটনার ফুটেজে দেখা যায় গার্নার বারবার কান্নাজড়ানো গলায় মিনতি করছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’ আর একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ, ড্যানিয়েল পান্টালিওকে দেখা যায় তার হাত দিয়ে গার্নারের গলা টিপে ধরে আছেন এমনভাবে যাতে তিনি দম নিতে না পারেন। দুজনেই মাটিতে ধস্তাধস্তি করছেন। ভিডিওটি প্রকাশ পেলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, যেখানে গার্নারের মৃত্যু হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি। এ সময় গার্নারের হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা। ওই রাজ্যের গ্র্যান্ড জুরি রায় দেয় পুলিশ অফিসার পান্টালিওর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আনা হবে না। এ ঘটনার পর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়।

 

পুলিশের সঙ্গে তর্ক তাতেই বুকে গুলি

২০১৪ সালের ঘটনা। মিসৌরির ফার্গুসনে শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশের গুলিতে নিহত হন কলেজছাত্র ব্রাউন। বয়স মাত্র ১৮। শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনের সঙ্গে সে এক বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে। এটুকুই ছিল তার অপরাধ। ওই পুলিশ অফিসার সরাসরি গুলি করে খুন করে ব্রাউনকে। এ ঘটনার পর ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান’ আন্দোলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এ ঘটনার পরই জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সেখানকার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামেন। মিসৌরির ফার্গুসন এলাকার সহিংস বিক্ষোভ হয়। যে বিক্ষোভে মারা যান এক ব্যক্তি, আহত হন অনেক এবং কয়েকশ লোককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ওই বছরই নভেম্বর মাসে জুরি পুলিশ অফিসার ড্যারেন উইলসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের সিদ্ধান্ত নাকচ করে দেওয়ার পর আবার প্রতিবাদ বিক্ষোভ চলে এবং উইলসন পুলিশ বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন।

 

ট্রেইভনকে গুলি করে হত্যা করেও  পার পেয়ে যায় পুলিশ

ট্রেইভন মার্টিন ছিল ১৭ বছর বয়সী একজন কৃষ্ণাঙ্গ স্কুলছাত্র। ফ্লোরিডার স্যানফোর্ডে জর্জ জিমারম্যান নামে একজনের গুলিতে সে প্রাণ হারায়। ঘের দেওয়া একটি এলাকায় ঢুকে পড়ে সে। মার্টিন তার আত্মীয়দের সঙ্গে যখন দেখা করতে ঢোকে, তখন ওই এলাকার একজন স্বেচ্ছাসেবক চৌকিদার হিসপ্যানিক জর্জ জিমারম্যান তাকে বাধা দেয়। আদালতে জুরি ২০১৩ সালে জিমারম্যানকে নির্দোষ বলে রায় দেয়। আমেরিকান আইনে জিমারম্যান বলতে পেরেছিল যে আত্মরক্ষার স্বার্থে সে গুলি চালিয়েছিল এবং সেটাই এ মামলায় তার পক্ষে যায়। কিন্তু তরুণ ট্রেইভনের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবরা সবসময় বলে এসেছে জিমারম্যান তাকে খুন করেছে। এ হত্যার ঘটনা থেকেই জন্ম নেয় ‘কৃষ্ণাঙ্গদের জীবনও মূল্যবান’ নামের সামাজিক আন্দোলন।

 

মাদকের খোঁজে গিয়ে টেলরকে আট গুলি পুলিশের

এ বছরের ১৩ মার্চের ঘটনা। ব্রেওনা টেলরকে আটটি গুলি করে হত্যা করে কেন্টাকির পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, তারা অবৈধ মাদকের খোঁজে গিয়েছিল এক ফ্লাটে। পুলিশের সন্দেহভাজন মাদক ব্যবসায়ী ব্রেওনা ছিলেন আসলে একজন প্রকৌশলী। কৃষ্ণাঙ্গ বলে তার কথায় কান দেয়নি পুলিশ। লুইভিলের কেন্টাকিতে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে ঢুকে পুলিশ অফিসাররা তাকে আটবার গুলি করে। ওই বাসায় অবৈধ মাদক আছে- এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু অনুসন্ধানে ব্রেওনার ফ্ল্যাটে কোনো মাদক পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ মানুষের বুঝতে বাকি থাকে না কৃষ্ণাঙ্গ বলেই পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে বেগ পেতে হয়নি। ব্রেওনা টেলরের পরিবারের ধারণা, পুলিশ আসলে ব্রেওনাকে খুঁজছিল না। কিন্তু তারা খুঁজছিল এমন এক সন্দেহভাজনকে যার সঙ্গে ব্রেওনার কোনোই সম্পর্ক ছিল না এবং সেই সন্দেহভাজন তখন পুলিশি হেফাজতেই ছিল। সেই ব্যক্তি কখনই ওই ফ্ল্যাটবাড়িতেই থাকত না।

 

পিটিয়ে হত্যার পরেও নির্দোষ রায় পুলিশকে

কৃষ্ণাঙ্গ ওয়াল্টার স্কটকে পিঠে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তখন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। পুলিশের শাস্তির দাবিতে সবাই যখন সোচ্চার তখন ফ্রেডি গ্রে নামের আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করে পুলিশ। এবারের ঘটনা ২০১৫ সালের ১২ এপ্রিল। মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে পুলিশ ২৫ বছর বয়সী যুবক ফ্রেড গ্রেকে আটকায়। তাকে সার্চ করে পাওয়া যায় ছুরি। পকেটে অস্ত্র বহন করার দায়ে পুলিশ তার ওপর চড়াও হয়। মারধর শুরুর পর আর থামেনি পুলিশ। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় ফ্রেড গ্রে বাঁচার জন্য মিনতি করছিল। তার আর্তচিৎকারে পুলিশের কানের মাছিও নড়েনি। তাকে মেরে মেরুদন্ডে মারাত্মক জখম করে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তির পরই মারা যায় ওই যুবক। পকেটে ছুরি পাওয়ায় তাকে যেভাবে নির্যাতন করা হয় সে দৃশ্য সবাইকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। ফ্রেড গ্রে মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সহিংস প্রতিবাদ হয়। এ বিক্ষোভে পুলিশকে টার্গেট করে শুরু হয় মারামারি। এতে অন্তত ২০ জন পুলিশ অফিসার আহত হন। ফ্রেড গ্রেকে গ্রেফতার করে, পিটিয়ে হত্যায় ছয় পুলিশকে অভিযুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে তিনজনই আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন আর বাকি তিনজনকে কখনো অভিযুক্তই করা হয়নি।

 

দৌড় দিতেই পিঠে তিনবার গুলি চালায় পুলিশ

ওয়াল্টার স্কট। আরেক কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে ২০১৫ সালে। সে বছর ৪ এপ্রিলের ঘটনা। ৫০ বছর বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি ওয়াল্টার স্কট সেই দুর্ভাগা। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ক্যারোলাইনার নর্থ চালর্সটনে। পুলিশ অফিসার মাইকেল স্ল্যাগারের কাছ থেকে নাকি ছুটে পালাচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ একটুও দেরি না করে তার পিঠে তিনবার গুলি করে। গুলিতেই মারা যান স্কট। কী এমন হয়েছিল যে পুলিশ তিনটি গুলি ছুড়ে হত্যা করে তাকে? স্কট তার সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য অর্থ দিতে দেরি করেছিলেন। এ কারণে তার ওপর ছিল গ্রেফতারি পরোয়ানা। পুলিশ সেটা জানতে পারে এক গাড়ি দুর্ঘটনার পর। স্কটের গাড়ির ব্রেকের একটা আলো ভেঙে গিয়েছিল। পুলিশ তাকে তাড়া করে থামায়। পুলিশের ভাষ্য মতে,  গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি পুলিশ জেনে যাবে এই ভয়ে স্কট দৌড় দিয়েছিল। আর তাতেই তিন গুলি তার পিঠে! সিরিয়াল কিলারদের ধরতেও পুলিশের এমন গুলি করে হত্যার উদাহরণ সহজে পাওয়া যায় না। তাও পিঠে গুলি করে হত্যা, যখন স্কট ছিল নিরস্ত্র। এ ঘটনার পর কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যায় পুলিশের উৎসাহ আবারও সমালোচিত হয়। পুলিশ অফিসার স্ল্যাগারের ২০ বছরের কারাদন্ড হয় ২০১৭ সালে। নর্থ চালর্সটন কর্তৃপক্ষ ওয়াল্টার স্কটের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬৫ লাখ ডলার দিয়েছিল। বিচার ও ক্ষতিপূরণ পাওয়ার এমন নজির কমই আছে।

 

কারাগারের ডাক্তার জানায়, এটি আত্মহত্যা

২০১৫ সালের ১০ জুলাই ট্রাফিক আইন ভঙ্গের অভিযোগে টেক্সাসের শেরিফ ২৮ বছর বয়সী আফ্রিকান-আমেরিকান স্যান্ড্রা ব্ল্যান্ডকে গাড়ি থামাতে বলে। পুলিশ যখন তার দিকে আসছিল সান্ড্রা তখন একটা সিগারেট ধরিয়েছিল। সান্ড্রা সিগারেট নিভিয়ে ফেলতে অস্বীকার করলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পুলিশ অফিসারের ওপর হামলার অভিযোগও আনা হয়। তিন দিন পর তাকে জেলের এক কক্ষে অসার অবস্থায় পাওয়া যায়। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময়ের এক ভিডিওতে দেখা যায়, সান্ড্রার মাথায় থাপ্পড় দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয় পুলিশ। পুলিশ স্যান্ড্রার ওপর নির্যাতন করেছে তা স্পষ্ট। ছোট একটা বিষয়ের জন্য তাকে গাড়ি থেকে বের হতে বলা এবং তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলা প্রমাণ করে পুলিশ তার ওপর চড়াও হয়েছিল। ভিডিওটিতে এও দেখা যায়, পুলিশ স্যান্ড্রাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। সান্ড্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেন পুলিশ ব্রায়ান। আর তিন দিন পর স্যান্ড্রার ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ব্ল্যান্ডের মৃত্যু নিয়ে নানা ধোঁয়াশার সৃষ্টি হলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে স্যান্ড্রা আগে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে জানায় পুলিশ। তবে স্যান্ড্রা ব্ল্যান্ডের পরিবার পুলিশের এ দাবি অস্বীকার করে, পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনে। সান্ড্রাকে গ্রেফতার করা পুলিশ কর্মকর্তা ব্রায়ান ইনসিনিয়াকে আদালতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু সান্ড্রাকে হত্যার জন্য কোনো অভিযোগ গ্রহণ করেননি আদালত। কারাগারের ডাক্তার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে সাক্ষ্য দিলে মামলার সমাপ্তি টানা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
বিশ্বসেরা মুসলিম জ্ঞানসাধক
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
আলমগীরের বিমান নিয়ে অনিশ্চয়তা
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যার স্বপ্ন
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
সড়কেই উৎপন্ন হবে বিদ্যুৎ
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
মাছের খামারে নিরাপত্তা দেবে ‘পন্ডগার্ড’
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
কৃষকের কাজে কিষানি ড্রোন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
দেশজুড়ে যত উদ্ভাবন
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
ভয়ংকর যত বিমান দুর্ঘটনা
দেশে দেশে কোরবানি
দেশে দেশে কোরবানি
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
ত্যাগের মহিমাময় কোরবানি যেন নষ্ট না হয়
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা
সর্বশেষ খবর
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬
উড্ডয়নের ৭ মিনিট পরই বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ৬

৪১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৪৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ
ভরপেট খেলেও মোটা হবেন না, জানুন কোন খাবারগুলো নিরাপদ

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ
দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের, আজ থেকেই কার্যকর নতুন প্যাকেজ

৩ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ
টিএসসিতে রিকশার ভেতরেই মিলল চালকের মরদেহ

৪ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

মাইলফলকের সামনে শান্ত
মাইলফলকের সামনে শান্ত

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র
১৯৭৩ সালের পর ডলারের সবচেয়ে বড় পতন: সংকটে যুক্তরাষ্ট্র

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২ জুলাই)

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা
প্রেমে ব্যর্থ হলে বাথরুম পরিষ্কার করেন যে অভিনেতা

৫ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নির্দেশনা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে স্বামীর আত্মহত্যা

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভয়াবহ ঝড়ে ফ্রান্স-ইতালি ট্রেন চলাচল বন্ধ

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার
নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাঙামাটিতে ফ্ল্যাট থেকে বিচারকের স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’
‘পিআর ইস্যু নিয়ে রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবেন না’

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার
ফি দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীকে থাপ্পড় দিয়ে খাতা কেড়ে নিলো মাদরাসা সুপার

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ
কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ

৮ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু
এনবিআরের আরো পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা
মুস্তাফিজকে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে শ্রীলঙ্কা

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!
অভিনয়ের শখ ছেলের, বাধা হয়ে দাঁড়ান উত্তম কুমার!

৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান
ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা
অপুষ্টিতে ভুগছে গাজার শিশুরা

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
ঘাটাইলে গজারি বনে অবৈধ দুই সীসা কারখানা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালনে বাউবির কর্মসূচি

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস
লস অ্যাঞ্জেলেস মাতালেন জেমস

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস
শাবিপ্রবিতে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩টি দ্বিতল বাস

৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি
টাঙ্গাইলে কাঁঠালের বাজার রমরমা, সপ্তাহে বিক্রি অর্ধ কোটি

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সর্বাধিক পঠিত
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি
উড়িয়ে দেওয়া হলো খান ইউনিসে ইসরায়েলি সেনাদের আশ্রয় নেওয়া বাড়ি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?
সত্যিই কি পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল?

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ

২১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা
মেয়েকে বাঁচাতে ১৪তলা প্রমোদতরী থেকে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বাবা

১৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া
জাতীয় ঐক্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বেগম খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা
স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয় সেই কাজ করছি : প্রধান উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’
ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের পরবর্তী যুদ্ধ হবে ‘চূড়ান্ত’

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে আইন পাস

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার
আদালতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার দায় স্বীকার

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের বোম্ব গাইডেন্স কিট বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার
কাজু বাদাম খাওয়ার যত উপকার

১৯ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত
ফোনালাপ ফাঁস, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাময়িক বরখাস্ত

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি
ফুল গিয়ারে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, প্রধান উপদেষ্টাকে সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পরমাণু প্রযুক্তি বোমা মেরে ধ্বংস করা সম্ভব নয়: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর
যেভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে কাস্পিয়ান সাগর

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন

২২ ঘণ্টা আগে | পর্যটন

যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের
যুদ্ধ থামানো নিয়ে আবারও ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান ভারতের

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩
যশোরে নির্মাণাধীন ভবনের ছয়তলার ব্যালকনি ভেঙে নিহত ৩

১৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির
আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির

১৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সময় এখনই: ইলন মাস্ক

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ জুলাই)

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প
আগামী সপ্তাহের যেকোনও সময় গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ
৪৪ তম বিসিএস পুলিশে প্রথম শাবিপ্রবির শরিফ

১৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?
লুহানস্ক পুরোপুরি রাশিয়ার দখলে?

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগদানের সম্ভাবনা নেই পাকিস্তানের

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই
৪৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১৮ জুলাই

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট
তীব্র তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ, জারি হলো রেড অ্যালার্ট

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে’
‘পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি
চতুর্মুখী সংকটে রপ্তানি

প্রথম পৃষ্ঠা

এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল
এশিয়ার বিস্ময় আল হিলাল

মাঠে ময়দানে

ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা শুরুর আহ্বান

পেছনের পৃষ্ঠা

নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে
নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের
নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরু পুলিশের

পেছনের পৃষ্ঠা

জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা
জনশক্তি রপ্তানিতে কামালের পারিবারিক প্রতারণা

প্রথম পৃষ্ঠা

মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ
মিয়ানমার চ্যালেঞ্জে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা
মুদ্রাস্ফীতির কবলে চায়ের আড্ডা

পেছনের পৃষ্ঠা

ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে
ওরা গায়ের জোরে প্রতিবেদন দিয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল
প্রতারণায় শুরু, দাম চূড়ান্ত হয়নি কয়লার, চাচ্ছে মনগড়া বিল

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রাজধানীতে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে
প্রেমের টানে সুদূর চীন থেকে গোপালগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে
স্বৈরাচার যেন আর ফিরে আসতে না পারে

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি
ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি

প্রথম পৃষ্ঠা

জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়
জুলাই আন্দোলন দমাতে ৩ লাখ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়

প্রথম পৃষ্ঠা

যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু
যশোরে বারান্দা ভেঙে দুই প্রকৌশলীসহ তিনজনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল
এনডিপির সভাপতি সোহেল, মহাসচিব জামিল

নগর জীবন

আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু
ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু

নগর জীবন

নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না
নির্বাচনি বাজেটে কোনো কার্পণ্য করা হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল
আওয়ামী লীগ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল

নগর জীবন

সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমল

পেছনের পৃষ্ঠা

সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি
সংস্কারের পক্ষে জোট চায় এবি পার্টি

নগর জীবন

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ কে এম বদরুদ্দোজা আর নেই

নগর জীবন

জুলাই স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি
জুলাই স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

নগর জীবন

এক মাস শূন্য বিএমডিএর চেয়ারম্যান পদ
এক মাস শূন্য বিএমডিএর চেয়ারম্যান পদ

নগর জীবন

চট্টগ্রামে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড
চট্টগ্রামে ধান-চাল সংগ্রহে রেকর্ড

নগর জীবন

নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ১৪ জুলাই
নাসির-তামিমার মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন ১৪ জুলাই

নগর জীবন

এনবিআর সার্ভারে ধীরগতি, বেনাপোলে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি
এনবিআর সার্ভারে ধীরগতি, বেনাপোলে ব্যাহত আমদানি-রপ্তানি

নগর জীবন