শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৭ আপডেট:

একজন বিনয়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
একজন বিনয়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা

গতকাল ছিল মুজিবনগর দিবস। কিন্তু যতটা গুরুত্ব দিয়ে দিনটি পালন করা উচিত ছিল কেন যেন তার কিছুই হলো না। সরকার দিনটির যেমন গুরুত্ব দেয়নি, তেমনি রাজনৈতিক, সামাজিকভাবেও দিনটি তেমন গুরুত্ব পায়নি। অথচ আমাদের শিকড় পোঁতা মুজিবনগর দিবসে। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ মুজিবনগর দিবসে শপথের মধ্য দিয়ে একটি সুনিয়ন্ত্রিত মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা না গেলে আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হতাম না। সেই ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবসেও যদি মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার কথা মনে না করি, সেই স্থানটিকে যদি মর্যাদা না দিই তাহলে কেমন হয়। স্বাধীন দেশে ঢাকা ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কিন্তু ঢাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে বৈদ্যনাথতলায় শপথ নিয়ে দৃঢ় পায়ে যদি না দাঁড়াতে পারতাম তাহলে কি আজকে এই বাগাড়ম্বর করার পথ থাকত? আমরা সেই বৈদ্যনাথতলার জন্য কী করেছি? একটা স্মৃতিসৌধ— এটাই কি যথেষ্ট? ওই অঞ্চলের উন্নয়ন, সাধারণ মানুষের মানমর্যাদার জন্য কী করেছি? বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে চরম দুঃসময়ে জাতিকে যারা সঠিক পথ দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সফল নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে কি আমরা সরকারি-বেসরকারি কোনোভাবে যথাযথ মর্যাদা দিলাম বা দিতে পারলাম? দিনটি যেভাবে গেল তাতে মনে হলো অনেকের যেন খেয়ালই ছিল না। এমন হওয়া ভালো নয়। আজ যারা অতীতকে অবহেলা করছেন কাল অতীতও যে তাদের অবহেলা করবে না, তা কে বলতে পারে?

বর্তমানে বিরোধী দলে থেকে সরকারি কোনো কাজ স্বীকার করা, ভালোকে ভালো বলা বা সরকারি দলে থেকে বিরোধী দলের কোনো ভালো কাজ স্বীকার বা গ্রহণ করা নেই বললেই চলে। এমন একটা সময় সত্যকে সত্য বলতে গিয়ে ভালো না খারাপ করেছি বুঝতে পারছি না। তবুও সারা জীবনের অভ্যাস যখন যা দেখেছি ভালোকে ভালো, খারাপকে খারাপ বলেছি। এমন একটি কঠিন সময় মন্ত্রীকে ভালো বলতে যাওয়া সে আরও কঠিন। যদিও আমি মাননীয় মন্ত্রীর কাজ নিয়ে নয়, মন্ত্রীকে নিয়ে দুই কথা বলছি। সর্বজনাব তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, মাহবুব-উল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, আলাউদ্দিন আহমেদ নাসিমের মতো তার সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় নয়। ১০-১৫ বছর যে পরিচয় তাতে তাকে আমার অসাধারণ ঠেকেছে। জীবনে অনেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেখেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ আগ্নেয়গিরির চেয়ে উত্তপ্ত। কঠিন উত্তপ্ত পদের জন্য শান্ত মানুষও অশান্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু তিনি এখনো তেমন হননি। জীবনে একবারই তার বাড়ি গিয়েছিলাম। আসাদুজ্জামান খান কামালের অমায়িক ব্যবহারে খুবই মুগ্ধ হয়েছি।

কিছুদিন আগে কালিহাতীতে এক নারী বা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। যার সঙ্গে কালিহাতী থানার ওসির ওঠা-বসার অভিযোগ ছিল। এসপি, ডিসি যথেষ্ট চেষ্টা করেও তেমন ভালো কিছু করতে পারেননি। কারণ আগেই হাসপাতাল হাত করে ফেলেছিল। সেই ভিকটিম যাতে আইনানুগ নিরাপত্তা পায় সে নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার ছিল। এর মধ্যে আবার সখীপুরে দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এসব নিয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাড়ি গিয়েছিলাম। জনাব আসাদুজ্জামান খান কামালের বাড়ি মণিপুরিপাড়ায়। কয়েক বছর আগেও তিনি সেখানে থাকতেন। আমার এক বীর মুক্তিযোদ্ধা মণিপুরিপাড়ায় তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। আমার সঙ্গে কাজ করেছে। আমি তাকে চিনি এসব জেনে তিনি নাকি তাকে যথেষ্ট সমাদর করে কাজ করে দিয়েছিলেন। কেউ কাউকে ভালো বললে কার না ভালো লাগে? আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম প্রতিমন্ত্রী, পরে মন্ত্রী হন। মন্ত্রী হওয়ার আগে দু-এক বার একসঙ্গে নামাজ পড়েছি, কথাবার্তা বলেছি। মনে হয় দুবার তার মন্ত্রণালয়েও গেছি। সর্বশেষ তার ধানমন্ডির বাড়িতে। তার একান্ত সচিব ড. হারুনুর রশিদ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, মন্ত্রী রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত লোকজনকে সাক্ষাৎ দেন। শুনে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম, বলেন কি! ভদ্রলোক বলেছিলেন, ‘আপনি মাননীয় মন্ত্রীর বাড়ি যাবেন এটা স্যারকে জানানো হয়েছে। তিনি ১০টার মধ্যেই বাসায় ফিরবেন। ১০টা থেকে ১২টা যে কোনো সময় যেতে পারেন।’ পিএস উপসচিব হারুনুর রশিদ বিশ্বাসকে কয়েকবার দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে, অনেকটা ইন্দিরাজির পিএস আর কে ধাওয়ানের মতো। ঠিক ঘড়ি ধরে ১০টা ৪০ মিনিটে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাড়িতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি তিনি তখনো আসেননি। কিন্তু বড় যত্ন করে তার লোকেরা আলাদা ঘরে বসিয়েছিল। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষার পর মন্ত্রীকে ফোন দিয়েছিলাম। সালাম দিয়ে কিছু বলার আগেই তিনি বলেছিলেন, ‘ভাই! আমি মণিপুরিপাড়ায়, অনেক লোক। গাড়িতে উঠছি, আপনি একটু বসুন।’ কত আর হবে ১০-১৫ মিনিট। হঠাৎ চোখে পড়ে নাসিমা আক্তার লিপির ‘রক্তসিঁড়ি’। ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ঘটনা এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষী-সাবুদ নিয়ে লেখা ৪৫-৪৬ পৃষ্ঠার বই। লেখিকার আন্তরিকতায় কোনো খাদ মনে হয়নি। কিন্তু লেখাটি ততটা স্পষ্ট নয়। দু-একটা ক্ষেত্রে একটু তলিয়ে দেখলে বঙ্গবন্ধুকে বরং ছোট করা হয়েছে। পাকিস্তান হানাদার যারা মা-বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে তাদের ‘পাক’ বলা। তারা কি পাক? তারা তো পা থেকে মাথা পর্যন্ত নাপাক। শেষের দিকে আবদুল কাইয়ুমের বরাত দিয়ে ডাকসুর ভিপি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম কী এক পরীক্ষাসংক্রান্ত ব্যাপারে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গেলে তাকে সরাসরি খাবার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু কেবলই দুপুরের খাবার শেষ করেছেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের কথা শুনে তাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সোজাসুজি ভিসির অফিসে চলে যান। ছাত্রদের সমস্যা মুহূর্তে শেষ হয়ে যায়। এও কি সম্ভব? একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী, তাও আবার বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রী। ’৭২ সালে বিশ্বজোড়া যার নাম। তিনি সরাসরি একা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের অফিসে যেতে পারেন? কোনো দিন যাওয়া সম্ভব? ব্যাপারটা কেমন যেন খুবই হালকা হয়ে গেছে। মন্ত্রীর দেরি দেখে বইটির ৩০-৩৫ পৃষ্ঠা ততক্ষণে পড়ে ফেলেছিলাম। মাত্র ৮-১০ পৃষ্ঠা বাকি ছিল। তাই মন্ত্রীকে বলে বইটি নিয়ে এসেছিলাম। কাল বইটি পাঠিয়ে দেব। এর মধ্যেই মন্ত্রী চলে এসেছিলেন। কালিহাতীর একটি মেয়ে নাগবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দ্বারা নির্যাতিত হওয়ার কথা বলে সখীপুর উপজেলার গজারিয়া এবং দাঁড়িয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। তিনি বলেছিলেন, কারচুপিতে সরকারি কোনো প্রশ্রয় পাওয়া যাবে না। গত পরশু নির্বাচন হয়ে গেছে। হয়তো মন্ত্রী তার কথা ঠিকই রাখার চেষ্টা করেছেন। বাইরে তেমন কিছু হয়নি বা সরকারি প্রশ্রয় পায়নি। কিন্তু অনেক কেন্দ্রেই মানুষ ইচ্ছামতো ভোট দিতে পারেনি। বাইরে ভোটের পরিবেশ বেশ শান্তিপূর্ণ ছিল। তবে যে যে কেন্দ্রে অন্যকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না, সেসব কেন্দ্রে আগে থেকে যা শোনা গেছে তাই হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অথবা প্রশাসন কিছুই করেনি বা করতে পারেনি। আরও মজার ব্যাপার, সারা দেশে বিএনপি-আওয়ামী লীগ দাও-মাছ। কিন্তু সখীপুর-বাসাইল, টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগ-বিএনপি ভাই ভাই। দাঁড়িয়াপুরে জনাব হাসান কবির ধানের শীষের প্রার্থী দেড় লাখ টাকা ঋণী ছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাকে সেই টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন যাতে গামছা সেখানে বেশি ভোট না পায়। তিনি তার জাইলার মাঠ কেন্দ্রে ৬০০ ভোট পেয়েছেন। আর কোনোটিতেই ১০-২০ ভোটের বেশি পাননি। গজারিয়ায় প্রার্থী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন সর্বমোট ৯৫ ভোট। মানে সখীপুর ধানের শীষ-নৌকা এক। গামছা মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। শোনা যাচ্ছে, বিদেশে থাকা বহু ভোটারের ভোট দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কয়েকটি কেন্দ্রে কাউকেই ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। বাক্স বদল করা হয়েছে। হতেও পারে। কয়েকটা কেন্দ্রের ফলাফলে তেমনই মনে হয়। বিশেষ করে গজারিয়া কেন্দ্রের সব ভোট আওয়ামী লীগ পায়, ১০৯৯ ভোট। চার প্রার্থী— গামছা ৬, ধানের শীষ ১, অন্যরা ৩ বা ৪ ভোট। এই দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ এত ভোট পায়? এভাবে নির্বাচন কমিশন এবং সরকার তার বিশ্বস্ততা নষ্ট করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নম্রতা-ভদ্রতা-শালীনতা ও সৌজন্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। বয়স হয়েছে। আমরা এখন কারও কাছে বেশি কিছু চাই না। কেউ অসৌজন্য দেখালে খারাপ লাগে। সেটা না হলে ভালো লাগে, স্বস্তিবোধ করি। সে কাজটি আসাদুজ্জামান খান কামাল যথার্থই করেছেন। এর আগেও দু-চার বার ফোন করলে সঙ্গে সঙ্গে ধরেছেন, এমনকি বিদেশে থাকলেও। না থাকলে ফিরতি ফোন করেন। মনে হয় এটা তার একটা অতিরিক্ত সদ্গুণ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এত সময় আর কেউ এতটা নির্বিবাদে থেকেছেন বলে মনে হয় না। ইদানীং পুলিশের সহিষ্ণুতা অনেকটা কমে গেলেও সামর্থ্যের অনেক উন্নতি হয়েছে। এবার পুলিশ সপ্তাহে টিভিতে তাদের প্যারেড দেখে বিস্মিত হয়েছি। ঢিলেঢালা পুলিশদের অমন চমৎকার প্যারেড অভাবনীয় চিন্তার অতীত। বিশেষ করে সেই প্যারেড কোনো মহিলা এসপির পরিচালনা করা, সেটা আরও অসাধারণ।

গত সংখ্যায় বন্ধু বাবরকে নিয়ে লিখেছিলাম। কবি সায্যাদ কাদির বাবরের বিয়োগব্যথা বুক থেকে এখনো সরছে না। মুক্তিযুদ্ধের সূচনায় সায্যাদ কাদির হানাদারদের হাতে বন্দী হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তিন-চার মাস হানাদারদের নির্যাতনে প্রায় মৃত্যুপথযাত্রী হয়েছিল। কুমুদিনী কলেজের প্রিন্সিপাল আমার শাশুড়ি নার্গিস হামিদ কোরায়েশীর অক্লান্ত পরিশ্রমে শেষ পর্যন্ত মুক্তি পেয়েছিল। বাবরের সঙ্গে সে সময় বিশিষ্ট শিক্ষক কান্তি রায় ও তার ছেলে অরুণ, গোলাম আম্বিয়া নূরী, আখতার বোখারী ছিল। তারা ভীষণ নির্যাতিত হয়। কান্তি রায় এবং তার ছেলে জীবিত ফেরেনি। শুনেছি, নির্যাতন ক্যাম্পে হানাদাররা কান্তি রায়কে যখন নির্যাতন করত তার ছেলে হাউমাউ করে কাঁদত আর হানাদারদের হাতে-পায়ে ধরে মিনতি করত, আপনারা বাবাকে মারবেন না, আমাকে মারুন। দরকার হলে আমাকে মেরে ফেলুন, তবুও বাবাকে ছেড়ে দিন। আবার ছেলেকে যখন মারত তখন বাবা একইভাবে হানাদারদের হাতে-পায়ে ধরে একই মিনতি করত। কিন্তু সেই মিনতি হানাদার জল্লাদের হৃদয় টলাতে পারত না। তারা শেষ পর্যন্ত বাপ-বেটাকে মারতে মারতে মেরেই ফেলে। প্রায় ৪০-৪৫ বছর সেই কাহিনী যখনই শুনেছি তখনই চোখে পানি রাখতে পারিনি। সেই বাবর আজ নেই। হানাদারদের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে প্রায় দুই মাস সকাল-বিকাল থানায় হাজিরা দিত। তারপর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে পালিয়ে যায়। বাসাইলের ফুলকি-ঝনঝনিয়ায় গিয়ে আশ্রয় চেয়ে আমায় চিঠি লেখে। সে তখন ভাবতেও পারেনি মুক্তিবাহিনী অতটা সবল হয়ে উঠেছে। তাকে সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয় দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়া হয় নানা কাজে। লেখক মানুষ, তার যে কাজ তার বাইরে তাকে টানার উপায় ছিল না। কবিদের কবির মতোই থাকতে দিতে হয়। আত্মভোলা মানুষদের বেশি টানাটানি করলে সবকিছু উলট-পালট হয়ে যেতে পারে। তাই সব সময় সাবধানে চলেছি। আমি একদল কবি-সাহিত্যিক পেয়েছিলাম, যারা অস্ত্র হাতে তেমন যুদ্ধ না করলেও যোদ্ধাদের অস্ত্র শানিত করেছে নানাভাবে। যুদ্ধের প্রেরণা জুগিয়েছে পদে পদে। তার মধ্যে রফিক আজাদ, বুলবুল খান মাহবুব, মাহবুব সাদিক, সায্যাদ কাদির, আবু কায়ছার অন্যতম।

স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধুর হাতে আমরা অস্ত্র তুলে দিলে পূর্বদেশে কাদেরিয়া বাহিনীর এক বিরাট ক্রোড়পত্র ছাপা হয়েছিল। সেখানে মূল চালিকাশক্তি ছিলেন কবি রফিক আজাদ আর সায্যাদ কাদির। অধ্যাপক মাহবুব সাদিক ও মামুনুর রশীদও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। আর এখন বুলগেরিয়ায় বসবাস করে বিখ্যাত হার্ট সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম।

বন্ধু কবি সায্যাদ কাদির কখনো এক জায়গায় থাকেনি। স্বাধীনতার পরপরই মাহবুব সাদিক আর সায্যাদ কাদির করটিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে চাকরি নিয়েছিল। কয়েক বছরে সবার প্রিয় শিক্ষক হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর চাকরি ছেড়ে চায়না রেডিওতে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেইজিং চলে যায়। সেখানে কয়েক বছর চাকরি করে বিচিত্রায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেয়। সেখানেও মন টেকেনি। কত কী যে করেছে। যে বিচিত্রায় সম্পাদক হিসেবে সায্যাদ কাদির কাজ করত তখন বর্তমান মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী ওখানেই কাজ করতেন। পরে মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে যতবার কথা হয়েছে সায্যাদ কাদির আমার বন্ধু এটা জেনে খুব উল্লসিত হতেন এবং সায্যাদ কাদিরের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। মরার সময় মানবজমিনে চাকরি ছিল না। সারা জীবনই আর্থিক দৈন্যে কেটেছে। কখনো সচ্ছল হতে পারেনি। দেলদুয়ারের বাপ-দাদার জমিজমা যা ছিল তা বিক্রি করে ঢাকায় ১২০০-১৩০০ বর্গফুটের একটা ফ্ল্যাট বাড়ি কিনেছিল। ওটাই ছিল তার সম্বল। আগে আমার কাগজ কলমের সঙ্গে দেখা ছিল না। তাই বাবরের কোনো প্রয়োজন হতো না। কিন্তু লেখালেখিতে হাত দেওয়ায় বাবর ছিল আমার ডিকশনারি। কোনো কবিতা, গান, লেখা, শব্দ, কোনো কিছু নিয়ে অসুবিধায় পড়লেই বাবরের শরণাপন্ন হতাম। কম্পিউটারের মতো সঙ্গে সঙ্গে বলে দিত। এ ব্যাপারে কবি সামাদ আমার প্রিয় মাধ্যম। সামাদ অনেক ক্ষেত্রে যখন যেটা জিজ্ঞাসা করি উত্তর দিয়ে সাহায্য করে। কিন্তু বাবরের মতো নয়। রফিক আজাদ, আবু কায়ছার যত দিন বেঁচেছিলেন সাহায্য করেছেন। কিন্তু বাবর ছিল এক নম্বর। সেই বাবর সেদিন আমাদের সবার মায়া কাটিয়ে চলে গেছে— এটা কিছুতেই ভুলতে পারছি না। আরও কষ্ট কত মানুষ স্বাধীনতা পুরস্কার পেল, একুশে পদক পেল কিন্তু কত শত শত জনের চেয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিরাট অবদান রাখার পরও বাবর কিছুই পেল না। নাকি কোনো সরকারের কাছে সে মাথা বিক্রি করেনি! সেজন্য সে তার জীবদ্দশায় কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মান পায়নি। জানি কবি সায্যাদ কাদির বাবর হয়তো একদিন বাংলা সাহিত্যে তার অবদানের জন্য সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পাবে। কিন্তু সে এপারে থাকতে পেল না। সেপারে গিয়ে পাবে এই যা পার্থক্য। দয়াময় আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুন—আমিন।

লেখক : রাজনীতিক।

এই বিভাগের আরও খবর
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
বিশ্বের বিস্ময় জমজম কূপ
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
সর্বব্যাপী দুর্নীতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
দেশজুড়ে প্রস্তুতি
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
শিক্ষায় বৈষম্যের দানবীয় রূপ
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
গৃহযুদ্ধের আগুনে জ্বলছে সুদান
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
সর্বোচ্চ সতর্কতা
সর্বোচ্চ সতর্কতা
নির্বাচনি হাওয়া
নির্বাচনি হাওয়া
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নবুয়তের শেষ আলো মুহাম্মদ (সা.)
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের অবসান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
নিষিদ্ধ গন্ধম ও বাংলাদেশের রাজনীতি
সর্বশেষ খবর
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশের নাগরিকরা গ্রিন কার্ডও পাবে না?

৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?
কেন ধনী যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ এখনও খালি পেটে ঘুমায়?

১৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক
তোলগা আকাশ প্রতিরক্ষার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক

৫৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স
দারুণ জয়ে বাছাইপর্ব শেষ করল ফ্রান্স

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের
কেইনের জোড়া গোলে শেষ ম্যাচেও জয় ইংল্যান্ডের

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম
ইস্তিগফার পাপ মোচন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যম

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!
যুক্তরাজ্যে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পেতে থাকতে হবে ২০ বছর!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ
কেরানীগঞ্জে ডাম্পিং এলাকায় অগ্নিসংযোগ

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!
মেসির চোখ এখনও বিশ্বকাপে!

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন
ধামরাইয়ে পার্কিং করা বাসে দুর্বৃত্তদের আগুন

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা
জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হলেন সেই কারানির্যাতিত খাদিজা

৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ
রাজধানীতে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ
টঙ্গীতে সাউন্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ
আগুন সন্ত্রাসীদের গুলির নির্দেশ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান
তুরস্ক গাজার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত: হাকান ফিদান

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
উপদেষ্টা রিজওয়ানার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ মোদি প্রশাসনের বিরুদ্ধে!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় যুবককে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা
সিদ্ধিরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
মধ্য বাড্ডায় বাসে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত
ঢাকায় ১৪তম কমিউনিকেশন সামিট  অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক
শার্লটে ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান, জনমনে আতঙ্ক

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
বিইউপিতে প্রাইম ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে
বাংলাদেশ পেনাং রোডশোর মাধ্যমে দক্ষিণ-দক্ষিণ সেমিকন্ডাক্টর সেতুবন্ধন গড়ে তুলছে

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক
আর্মেনিয়াকে ৯ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপে পর্তুগাল, নেভেস ও ফার্নান্দেসের হ্যাটট্রিক

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান
বিআরটিএ শিশু ও তরুণদের রক্ষায় কাজ করছে: চেয়ারম্যান

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর
কমওয়ার্ড’র সেরার স্বীকৃতি পেল মাস্টহেড পিআর

৫ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ
জলবায়ু অর্থায়নের নামে ভয়াবহ ঋণের ফাঁদ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল
হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ছাত্রশক্তির মশাল মিছিল

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত
রাঙামাটিতে বন্যহাতির আক্রমণে নারী নিহত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
মেহজাবীনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

১২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন

৯ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা
মিস ইউনিভার্স মঞ্চের কঠিন বাস্তবতার কথা জানালেন বাংলাদেশের মিথিলা

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার
স্থগিত হওয়া সকল পদে ফিরলেন বিএনপি নেতা মাসুদ তালুকদার

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড
আইপিএলে কে কোন দলে, দেখুন পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর
রায়ের পর হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন হবে : প্রসিকিউটর

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী
কাদের সিদ্দিকীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী
'দাউদের মাদক পার্টিতে নোরা', পুলিশের নজরে অভিনেত্রী

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা
বিয়ের আশায় ১৭ দিনের নবজাতককে হত্যা করল ৪ খালা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর
পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণের বিকল্প ছিল না : গভর্নর

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
সকালে খালি পেটে পেয়ারা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

২৩ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সেনা মোতায়েন চেয়ে চিঠি

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

১৯ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি
স্কুল-কলেজের সভাপতির দায়িত্বে ইউএনও–ডিসি

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ট্রাইব্যুনালে যে রায় হোক তা কার্যকর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি
অনিয়মের প্রমাণ পায়নি বিসিবি

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের
আলেমদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য না করার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন
প্রবাসীরা প্রথমবারের মতো যে পদ্ধতিতে ভোট দেবেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পরবাস

আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!
আরও এক বিচারপতির পদত্যাগ, বিচারবিভাগীয় ‘সঙ্কটের’ পথে পাকিস্তান!

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি
ঢাকা-গোপালগঞ্জসহ চার জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে বিজিবি

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন
সবাই ছেড়ে চলে যাচ্ছে: অমিতাভ বচ্চন

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি
অনিবন্ধিত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর দিল বিটিআরসি

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান
হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকার আটক করেছে ইরান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে
সোভিয়েত যুগের মতো রাশিয়া আবারও বিশ্বে প্রভাববলয় গড়ে তুলছে

১৯ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি
শেখ হাসিনার রায় সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু
২৬ বাংলাদেশি নিয়ে লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবি, চারজনের মৃত্যু

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি
গাজীপুর মহানগর পুলিশে নতুন কমিশনার, ৬ জেলার এসপি বদলি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার রায় ঘিরে একটি মহল নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার
১২৪ রানের ছোট লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ ভারত, ঘরের মাঠেই লজ্জার হার

১২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের
চীনা বিনিয়োগে বৈশ্বিক রপ্তানিকেন্দ্র হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা বাংলাদেশের

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ
আন্ডার সঙ্গে ডান্ডার বন্ধন, সর্বনাশের সাত লক্ষণ

সম্পাদকীয়

শেখ হাসিনার রায় আজ
শেখ হাসিনার রায় আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটের আগে পদোন্নতি নয়
ভোটের আগে পদোন্নতি নয়

পেছনের পৃষ্ঠা

অপেক্ষা ৬৩ আসনে
অপেক্ষা ৬৩ আসনে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা
সারা দেশে আগুন ককটেল বোমা

প্রথম পৃষ্ঠা

কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী
কারসাজির ‘অক্টোপাস’ চসিক নির্বাহী

পেছনের পৃষ্ঠা

ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি
ইসলামী ব্যাংক থেকে এক পরিবার তুলেছে ৫০ হাজার কোটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি
সারা দেশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

নগর জীবন

কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান
কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন : সেনাপ্রধান

প্রথম পৃষ্ঠা

ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত
ক্লোজডোর অনুশীলনে ভারত

মাঠে ময়দানে

নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি
নতুন বাংলাদেশে পুরোনো দুর্নীতি

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার নতুন শাকিব খান
এবার নতুন শাকিব খান

শোবিজ

দেখা মিলল বকফুলের
দেখা মিলল বকফুলের

পেছনের পৃষ্ঠা

হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!
হামজার বাকি শুধু গোল কিপিং!

মাঠে ময়দানে

নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ
নতুন পে-স্কেল নিয়ে বাড়ছে ক্ষোভ

পেছনের পৃষ্ঠা

দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার
দলবদ্ধ ধর্ষণে গ্রেপ্তার

দেশগ্রাম

বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চুক্তি স্বাক্ষর

প্রথম পৃষ্ঠা

লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি
লিবিয়া উপকূলে ফের নৌকাডুবি

পেছনের পৃষ্ঠা

নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক
নগদ-ডিআরইউ সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার জিতলেন ডেইলি সানের তিন সাংবাদিক

নগর জীবন

গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ
গ্যাস সংকটে নাকাল দেশ

নগর জীবন

বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা
বকেয়া ৫ হাজার কোটি টাকা

পেছনের পৃষ্ঠা

লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ
লোকসানের বোঝা নিয়েই আবার আলু আবাদ

দেশগ্রাম

সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে
সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলবে

নগর জীবন

তিন মাসে পাঁচ বার চুরি
তিন মাসে পাঁচ বার চুরি

দেশগ্রাম

তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা
তথ্যনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে ঠাকুরগাঁওয়ে আলোচনা সভা

দেশগ্রাম

চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে
চিলির নির্বাচনে ডানপন্থিদের প্রভাব বাড়ছে

পূর্ব-পশ্চিম

বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম
বেওয়ারিশ জুলাই শহীদদের শনাক্তে বিদেশি ফরেনসিক টিম

নগর জীবন

অবহিতকরণ সভা
অবহিতকরণ সভা

দেশগ্রাম

বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
বার অ্যাসোসিয়েশনের বিক্ষোভ

দেশগ্রাম