লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ওয়াচ-টাওয়ারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় টাওয়ারটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এতে দুজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ ইসরায়েলের নাকৌরা শহরের কাছে অবস্থিত এই টাওয়ারে হামলা করা হয়, যা স্থানীয়ভাবে ইউনিফিল টাওয়ার নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গোয়েন্দাসূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল, ইউনিফিল টাওয়ার এবং এর আশপাশে হিজবুল্লাহর গোপন ঘাঁটি রয়েছে। সেই ঘাঁটি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে, ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলার আগে জাতিসংঘের কর্মী এবং আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সদস্য ড্যানি ড্যানন হামলার পর জানিয়েছেন, ইসরায়েল জাতিসংঘকে সুপারিশ করবে টাওয়ারটি ৫ কিলোমিটার দূরে পুনরায় স্থাপনের জন্য এবং এক্ষেত্রে সহায়তা করারও প্রস্তুতি রয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের শীর্ষ নির্বাহী জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, লেবাননে জাতিসংঘের ১০,৪০০ সেনাসদস্য, কর্মকর্তা এবং কর্মচারী রয়েছেন, এবং দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার কারণে তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে।
ইসরায়েলের আরেকটি হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতের প্রাণকেন্দ্রে ১১ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এই হামলার লক্ষ্য ছিল হিজবুল্লাহর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ওয়াফিক সাফা, যিনি এ ঘটনায় অক্ষত আছেন। ইসরায়েলি বাহিনী গত ২০ অক্টোবর থেকে হিজবুল্লাহকে নির্মূল করতে দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা শুরু করে এবং ১ অক্টোবর থেকে স্থল বাহিনীর অংশগ্রহণে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল