বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছে। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পঞ্চাশ লাখের বেশি মানুষ। তাদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপের জনপ্রিয় প্রোডাক্ট মোনালিসা স্বপ্নডানা। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আফতাব নগরে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অফিসে বসুন্ধরা গ্রুপের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড মোনালিসা’র পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদের হাতে বসুন্ধরার ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর ‘সি’-এর মার্কেটিং বিভাগের হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড আউটডোর মো. সানাউল সিকদার।
তিনি বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছি। জাতির এই ক্রান্তিকালে যে যতটুকু পারেন সবারই এগিয়ে আসা উচিত। যেহেতু এ সময় বন্যাকবলিত এলাকার বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকে, তাই আমরা মানুষের হাইজিনের কথা চিন্তা করে নারীদের জন্য, যারা এই সময় দোকানপাট থেকে কিছু কিনতে পারবেন না, তাদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা করেছি।
সানাউল সিকদার আরও বলেন, শুধু আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই নয়, বিভিন্ন সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বন্যাদুর্গতদের এই হাইজিন প্রোডাক্ট স্যানিটারি ন্যাপকিন দিচ্ছি। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশে মোনালিসা স্যানিটারি ন্যাপকিনের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপের আরও যে সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো আছে, সেখান থেকেও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এসব কিছুতে আমরা কোনো মিডিয়া কাভারেজও দিচ্ছি না। বসুন্ধরা গ্রুপ যেহেতু দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে সেখানে থেকেই এই কার্যক্রমগুলো করা। ভবিষ্যতে এমন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনার চেষ্টা আমরা অব্যাহত রাখব। এই দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মোনালিসা স্বপ্নডানা প্রমাণ করেছে যে, তারা শুধু একটি প্রোডাক্ট নয়, বরং একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। আশা করি, আমাদের এই সামান্য সহায়তা তাদের জীবনকে কিছুটা সহজ করবে।
বসুন্ধরা গ্রুপ ত্রাণসামগ্রী দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বলেন, এই বন্যায় আমাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের বাজেট প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই টাকা সম্পূর্ণ মানুষের দান করা। এর মধ্যে খুব সামান্য সংখ্যক শিল্পগোষ্ঠী বাদে বাকি সব সাধারণ মানুষের অনুদান। এই ক্রান্তিকালে দেশের সকল ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা উচিত। পাশাপাশি সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে যে, এই ত্রাণ সহায়তায় যে সকল প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে, তাদের ট্রাক্স ছাড় দেওয়া উচিত। তারা যে পরিমাণ ডোনেশন দিয়েছে, সে পরিমাণ টাকা ট্যাক্স ছাড় তাদের দেওয়া হোক।
সাব্বির আহমেদ আরও বলেন, বন্যার পর অনেকেরই ঘর প্রয়োজন, আবার অনেকের ফসলের জমি করার জন্য নানা সহায়তার প্রয়োজন আছে। এসকল মানুষের পুনর্বাসনের জন্য পুঁজি প্রয়োজন। তাই সকল ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা উচিত।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত