চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষ ভারতকে সুযোগ পেয়েও অল্পতে আটকাতে পারেনি বাংলাদেশ। অশ্বিন ও জাদেজার রেকর্ড জুটিতে ৩৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস। ফলে ফলো অন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অন্তত ১৭৭ রান করতে হতো। কিন্তু সেটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৪৯ রানেই অলআউট হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে বাংলাদেশকে ফলো অন না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।
নিজেদের ইনিংসে নেমে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ২ রান করে বিদায় নেন সাদমান। ওই পরিস্থিতি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন জাকির হাসান। ২২ বলে ৩ রান করে আকাশ দ্বীপের বলে বোল্ড হয়ে যান জাকির। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল হক। গোল্ডেন ডাক খেয়ে দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছেন তিনি। তিন ব্যাটারকে হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দ্বিতীয়টিতেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দুই ওভার পরই সাজঘরে ফেরত যান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩০ বলে ২০ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
পরের ওভারে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ১৪ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি। এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন লিটন দাস। এই দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে ২২ রান করে লিটন ফেরায় ভাঙে ৫১ রানের জুটি। এরপর সাকিবও আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩১তম ওভারে জাদেজার বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৩২ রান করেছেন তিনি।
এরপর এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানারা দ্রুত ফিরলে দেড়শর আগেই অলআউট হয় বাংলাদেশ। মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ২৭ রান নিয়ে।
ভারতের হয়ে ৫০ রানে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন বুমরাহ। দু’টি করে শিকার সিরাজ, আকাশ ও জাদেজার।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত