শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শনিবার, ০৮ অক্টোবর, ২০১৬

ধারাবাহিক উপন্যাস

অটোমান সূর্য সুলতান সুলেমান - র্পব ২১

রণক ইকরাম
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
অটোমান সূর্য  সুলতান সুলেমান - র্পব ২১

মুসলিম শাসকদের মধ্যে যেমন শীর্ষে, তেমনি পৃথিবীর ইতিহাসেও অন্যতম সেরা শাসক তিনি। সুলতান সুলেমান খান। অটোমান বা উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান। এই শাসনামলের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে ছিল রাজ্যের সেরাগ্লি বা হেরেম। রাজ্যের ক্ষমতাশালী সব নারীর বসবাসই ছিল এখানে। আবার কখনো কখনো সাধারণ যৌনদাসী থেকে সুলতানা হয়ে বিশ্ব কাঁপিয়েছেন কেউ কেউ। সুলতান সুলেমানকে নিয়ে অনেক গল্প লেখা হয়েছে। নির্মিত হয়েছে আলোচিত-সমালোচিত টিভি সিরিয়াল মুহতাশিম ইউজিয়েল। আমাদের এই উপন্যাসের ভিত্তি সেই টিভি সিরিজ বা উপন্যাস নয়। মূলত ইতিহাসের নানা বইপত্র ঘেঁটে সুলতান সুলেমানের আমলটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিহাস আশ্রয়ী এই উপন্যাসের মূল ভিত্তি অটোমানদের ইতিহাস। বাকিটুকু লেখকের কল্পনা। উপন্যাসের শুরুর দিকে যুবরাজ সুলেমানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন পাঠক। সুলেমানের বাবা সুলতান প্রথম সেলিমের সর্বশেষ বিজয়, অসুস্থতা ইত্যাদি পথপরিক্রমায় সুলতান হিসেবে সিংহাসনে আরোহণ করেন সুলেমান। এর মধ্যেই হেরেম সংস্কৃতি, প্রাসাদ, প্রশাসনসহ নানা দিক উঠে এসেছে। সুলেমান খানের ক্ষমতা গ্রহণের পর নতুন সূর্যোদয়ের দিকে হাঁটতে শুরু করে অটোমান সাম্রাজ্য। সে যাত্রায় পীরে মেহমুদ পাশাকে স্বপদে বহাল রেখে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন সুলতান। সবার প্রত্যাশার বাইরে পারগালি ইব্রাহিমকে বানিয়েছেন নিজের খাসকামরা প্রধান। এর মধ্যেই সুলতানের জীবনে যৌনদাসী থেকে প্রিয়পাত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন আলেকজান্দ্রা। হেরেমের অভ্যন্তরীণ নানা দিক ছাপিয়ে রোডস অভিমুখে অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন সুলেমান। গল্পের এই পর্যায়ে এসেও চলছে যুদ্ধ প্রস্তুতি। অনেক পাঠকই সব খণ্ড একত্রে পাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আগামী একুশে বইমেলায় পুরো উপন্যাসটি বাজারে আসবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতি শনিবারের এ বিশেষ আয়োজনে আজ ছাপা হলো একবিংশ পর্ব।

 

কনস্টান্টিনোপলে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে তাজা বারুদের গন্ধ। অস্ত্রাগার নিয়ে উত্তেজিত সুলতান সুলেমান। আগেই বলে রেখেছেন নিজেই আসবেন অস্ত্রাগার পরিদর্শনে। সেই মতো সবাইকে নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখলেন সব অস্ত্রশস্ত্র। রাত অনেক হয়েছে। এরপরও এতটুকু কমেনি অস্ত্র নির্মাণের ব্যস্ততা। সুলতানের নির্দেশেই দিন-রাত কাজ চলছে। সুলেমানের এই পরিদর্শনসঙ্গী হিসেবে আছেন পীরে মেহমুদ পাশা, পারগালি ইব্রাহিম, আহমেদ পাশাসহ অন্য সবাই। ঘণ্টা দুয়েক ঘোরাঘুরির পর সবাইকে নিয়ে ছোট্ট একটা বৈঠক সেরে নিলেন। যার যার রণকৌশল প্রস্তাবনা সুলেমানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। এরপর সুলতান নিজে চূড়ান্ত রণকৌশল নির্ধারণ করবেন। সভাসদরা বিদায় নিলেও সেখানেই রয়ে গেলেন সুলতান ও পারগালি ইব্রাহিম। অস্ত্র কারখানার শ্রমিক, রাতের পাহারার দায়িত্বরত সৈনিকরা ছাড়া এখন কেবল সুলতান সুলেমান খান এবং পারগালি ইব্রাহিম পাশা।

‘সুলতান... রাত তো অনেক হলো। ঘরে ফিরবেন না?’

‘ঘরে তো প্রতিদিনই ফিরি ইব্রাহিম। কিন্তু এখানে কী প্রতিদিন আসি? এই জায়গাটাকে আমি অসম্ভব রকম ভালোবাসি। মনে রেখো আমার বিজয়ের যাত্রা এখান থেকেই শুরু হবে। ঠিক দেখবে বিশ্বজয় করে ফেলেছি আমরা। আল্লাহ যদি সহায় থাকেন, তাহলে আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না।’

‘নিশ্চয়ই সুলতান। আপনার হাত ধরেই অটোমানদের পতাকা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে সারা বিশ্বে। আপনার নির্দেশে যে কামান তৈরি হচ্ছে সেই কামানের সামনে কোনো শত্রুবাহিনীই টিকতে পারবে না। সবার পতন নিশ্চিত।’

‘দেখ ইব্রাহিম এই কামান আমার অনেক দিনের স্বপ্ন।  আমাদের তৈরি কামান শক্তিশালী শত্রুর বুকেও কাঁপন ধরিয়ে দেবে। আমি চাই অটোমানদের ভয়ে শত্রুরা তটস্থ থাকুক। ন্যায়বিচার আর সুশাসনের যে ধারা অটোমানরা তৈরি করেছে সেটি ছড়িয়ে পড়ুক বিশ্বময়।’

অস্ত্র কারখানার ঠিক পাশেই কাঠের পাটাতনে বসে কথা বলছিলেন সুলেমান আর ইব্রাহিম। সুলতান হোন আর যেই হোন— এখানে এর চেয়ে ভালো বসার জায়গা করা সম্ভব না। এই সত্য সুলতানেরও জানা। এরপরও এখানে বসে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন তিনি। চারদিকে বার বার মুগ্ধতার দৃষ্টি। পরম মমতার চোখে দেখে নিচ্ছেন মানববিধ্বংসী সব অস্ত্র। ফাঁকে ফাঁকে চলছে ইব্রাহিমের সঙ্গে টুকটাক আলাপন। রাত গভীর হচ্ছে। অন্ধকারের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে চোখের দৃষ্টি। হঠাৎই  দুম করে লাফিয়ে উঠলেন পারগালি ইব্রাহিম। এক ঝটকায় সুলেমানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন। ইব্রাহিম এত দ্রুত লাফিয়ে পড়লেন যে কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারলেন না সুলতান। পাশ ফিরে তাকাতেই নজরে এলো মুখোশধারী এক আততায়ী। ছিটকে পড়া সুলতান এমন অতর্কিত হামলায় থমকে গেলেন। শত্রুর সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি চলছে। সুলেমান যতক্ষণে এগিয়ে গেলেন ততক্ষণে কয়েকজন রক্ষী এসে আটকে ফেলল লোকটাকে। পারগালির হাত গড়িয়ে টপটপ করে রক্ত ঝরছে। শত্রুর ছোরা বিদ্ধ করেছে তাকে! সুলেমানের নজরে পড়তেই চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি।

‘হেকিমকে খবর দাও দ্রুত।’

নিজের রুমালে পারগালির হাত বেঁধে দিলেন সুলতান। তখনো হাত থেকে রক্ত ঝরছে। সুলতান বেশ বুঝতে পারছেন, হামলাটা তার ওপরই হয়েছিল। বরাবরের মতোই  তার জীবন রক্ষা করেছে পারগালি।

‘কে এই বেইমান? নিমকহারাম? তোমরা সবাই কোথায় ছিলে? ওর এত বড় সাহস যে আমাদের সুলতানকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে!’

পারগালির কণ্ঠে প্রবল দৃঢ়তা।

সুলতানের সামনে এমন উঁচু গলায় কখনোই কথা বলেনি সে। কিন্তু এই মুহূর্তের ব্যাপারটা একেবারে ভিন্ন। যেভাবে আক্রমণ হয়েছে তাতে সুলেমানের যে কোনো কিছু হয়ে যেতে পারত!

‘ইব্রাহিম, তুমি আহত হয়েছ। এখন তুমি আর উত্তেজিত হয়ো না। আমি সব সামলে নেব।’

হেকিম আসতেই দ্রুত ইব্রাহিমের ক্ষতস্থানে ওষুধ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন সুলেমান। ইব্রাহিমের ক্ষতটা খুব বেশি মারাত্মক না হলেও একেবারে অল্পও নয়। কম করে হলেও এক-দুই দিন বিশ্রাম লাগবে। বাম হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে অনেকখানি কেটে গেছে। হেকিম পরিচর্যা শুরু করেছেন। এতক্ষণ ঠিক থাকলেও ক্ষতস্থানে মলম পড়তেই ব্যথায় কঁকিয়ে উঠলেন পারগালি ইব্রাহিম।

ওদিকে আক্রমণকারী লোকটাকে কেউ চিনছে না। রক্ষীদের দাবি এরা কেউই আগে কখনো দেখেনি একে। আবার লোকটাকে বার বার জিজ্ঞেস করার পরও কোনো কথা বলছে না। এখানে আর কথা না বাড়িয়ে বন্দীশালায় পাঠিয়ে দেওয়া হলো তাকে। তার বিষয়ে বাকি সিদ্ধান্ত কাল হবে। আজ আর ঝামেলা বাড়িয়ে লাভ নেই।

নিজের খাসকামরায় ফিরে ফজরের নামাজ আদায় করলেন সুলতান। রাতের ঘটনাটা বেশ পোড়াচ্ছে। এমন তো হওয়ার কথা নয়। ইব্রাহিম না থাকলে যে কী হতো! মাহীদেভরানের কাছে ফেরা যেত। কিন্তু রাত এত বেশি হয়ে গেছে যে সেদিকে আর পা বাড়াতে ইচ্ছা করেনি। সুলতান সেদিকে যাননি তাতে কী? এমন খবর কি আর চাপা থাকে? মাহীদেভরানের কানে ঠিক খবর চলে গেছে। সুলতানের নামাজ শেষ হতে না হতেই সেখানে এসে উপস্থিত হলেন মাহীদেভরান। একাই ছুটে এসেছেন প্রিয়তম স্বামীর কাছে।

‘জাহাপনা... সুলতান... আপনি ঠিক আছেন তো? আপনার কোথাও লাগেনি তো?’

দৌড়ে এসে স্বামীর কাছে দুই হাত মেলে জানতে চাইলেন মাহীদেভরান।

‘না মাহীদেভরান। এতটা বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আমি সুস্থ আছি। আমার কিচ্ছু হয়নি। কিন্তু তুমি এই অসময়ে এখানে কেন ছুটে এলে?’

সুলেমানের চোখে-মুখে প্রশান্তির বদলে কিঞ্চিত বিরক্তি।

মাহীদেভরানের চোখে-মুখে সেই দিন পুরনো আকুতি।

‘আপনার ওপর হামলা হয়েছে, এমন খবর শোনার পরও কী আমি স্থির থাকতে পারি?’

‘আমার ওপর হামলা হয়নি মাহীদেভরান। হামলা করার চেষ্টা বলা যেতে পারে। সেই চেষ্টা আবার পুরোপুরি ভণ্ডুল করে দিয়েছে পারগালি। তার হাত অনেকখানি কেটে গেছে। নিজের জীবন বাজি রেখে আরও একবার আমার জীবন বাঁচাল পারগালি। তুমি বরং তাকে একবার দেখে আসতে পার।’

‘পারগালির কাছে সত্যি আমাদের ঋণ বেড়ে গেল। আল্লাহ তাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন। কিন্তু কোথায় গেলে পাওয়া যাবে ওকে।’

‘এই তো পাশের ঘরেই। তবে এতক্ষণে ওর ঘুমিয়ে পড়ার কথা। তুমি বরং সকালেই ওকে একবার দেখে যেও।’

‘রাতের বাকিটা সময় কী আমি আমার সুলতানের সঙ্গে কাটাতে পারি না?’

মাহীদেভরানের চোখ দুটো ছলছল করে উঠছে। সুলেমান কয়েক দণ্ড ভাবলেন।

‘না আপাতত তুমি চলে যাও মাহীদেভরান। আমি কিছুটা সময় একলা থাকতে চাই। যে ঘটনাটা ঘটে গেল সেটি আমাকে অস্থির করে তুলেছে। এর সুরাহা দরকার।’

‘সে কারণেই আমি জাহাপনার সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে চাই।’

‘আবার মুখের ওপর কথা হচ্ছে? আমি বলেছি চলে যাওয়ার জন্য। এরপরও কিসের কথা?’

একটু যেন রেগেই গেলেন সুলেমান। আর কথা বাড়ালেন না মাহীদেভরান।

টুক করে বিদায় নিয়ে নিলেন। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও কয়েকবার সুলতানের দিকে ফিরে তাকালেন তিনি। তার প্রবল আকুতিভরা সেই দৃষ্টি সুলতানকে ছোঁয়া তো দূরের কথা নজরও কাড়ল না।

সুলতান তখন এলোমেলো পায়চারি করছেন। এ ধরনের মুহূর্তে শুয়ে পড়লেও কোনো কাজ হবে না। শত চেষ্টার পরও ঘুমের দেখা মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই খামোখা শুয়ে না থেকে পায়চারি করে করে নিজের মনের দুর্ভাবনা কাটানোর চেষ্টা করছেন সুলতান।

কে এই আক্রমণকারী? কে পাঠিয়েছে তাকে?

নিশ্চয়ই কেউ না কেউ পাঠিয়েছে তাকে। কেউ তাকে চেনে না। কাজেই সে নিজে সুলতানকে শত্রুজ্ঞান করবে কেন? নিশ্চয়ই কারও নির্দেশে সুলেমানকে হত্যা করতে এসেছিল।

বিষয়টাকে একেবারে হাল্কাভাবে নিলে চলবে না। এর পেছনের গল্পটা সুলেমানের অবশ্যই জানা দরকার। এসব ছাইপাশ নিয়ে ভাবতে ভাবতে অনেকক্ষণ কেটে গেল। তখনো ভোরের আলো পুরোপুরি ফোটেনি। দূরে কোথাও পাখি ডাকছে। সুলেমান তখনো একা একা পায়চারি করে যাচ্ছেন।

সুলেমানের সব ভাবনাকে এক পাশে ঠেলে মনোযোগের পুরোটা দখল করে সেখানে আবির্ভূত হলেন হুররেম খাতুন। মাহীদেভরানের মতোই সুলতানের শরীর আর আঘাতের ঝুঁকি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন। সুলেমান তখনো অবিচল। কেবল ইব্রাহিমের তথ্যটুকু জানালেন হুররেমকে।

হুররেমও ইব্রাহিমের জন্য ব্যথিত হলেন।

এই ফাঁকে অদ্ভুত একটা বিষয় খেয়াল করলেন সুলেমান। মাহীদেভরান যখন এখানে এসেছিল তখন রীতিমতো বিরক্তই লাগছিল তার। কথা বলতে ইচ্ছে করছিল না। কিন্তু এখন ক্লান্তি আগের চেয়ে বেড়েছে। সারারাত এতটুকু ঘুম হয়নি। এরপরও হুররেমকে দেখতে খারাপ লাগছে না। হুররেমের সঙ্গে কথা বলতেও বিরক্ত লাগছে না। সত্যি কী একটা সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে এই মেয়েটার। হুররেমকে বসতে বললেন সুলেমান। কিন্তু বসতে রাজি হলেন না হুররেম।

‘মাফ করবেন সুলতান। আমি আপনার খোঁজ নিতে এসেছিলাম। এখন আর বসবো না। আমি বরং হেরেমে ফেরত যাই। এভাবে চলে আসাটা হেরেমের নিয়মবিরোধী। কিন্তু আপনার এই দুঃসংবাদ শুনে আর ঠিক থাকতে পারিনি। অন্য সময় আপনি ডাকলেই চলে আসব।’

চোখ নাড়িয়ে নাড়িয়ে সুলতানের দিকে তাকিয়ে বললেন হুররেম। সুলতান কোনো প্রতিবাদ করলেন না। কেবল হুররেমের পথের দিকে তাকিয়ে রইলেন। সত্যি কী বিচিত্র মানুষের জীবন!

মাহীদেভরান সুলতানের বিবাহিত স্ত্রী, সন্তানের মাতা। সেই রমণী সুলতানের পাশে থাকতে চাইলেন, সুলতান তাকে পাশে থাকার অনুমতি দিলেন না। রীতিমতো ঝেটিয়ে বিদায় করলেন। আবার হেরেমের সাধারণ দাসী আলেকজান্দ্রা। যার আদুরে নাম হুররেম। সেই দাসীকে স্বয়ং সুলতান পাশে রাখতে চাইলেন, দাসী চলে গেল। এটাই বোধ হয় বিধাতার বিচিত্র নিয়তির বিচিত্র খেল।

‘মনজিলা, তুমি নিজে দেখে এসেছো?’

আয়েশা হাফসা সুলতানের পুরনো অভ্যাস। সব বিষয়েই বার বার নিশ্চিত হতে চান তিনি। সব সময় চেষ্টা করেন নিজের জানার মধ্যে যেন কোনো সীমাবদ্ধতা কিংবা সংশয় না থাকে। সুলেমানের ওপর আক্রমণের ঘটনা শুনে ছুটে যেতে চেয়েছিলেন আয়েশা হাফসা সুলতান। কিন্তু মনজিলা খাতুন তাকে নিষেধ করলেন।

কারণ সকালবেলা সুলেমানই বলে দিয়েছেন, তিনি সুস্থ আছেন। তাকে ঘটা করে দেখতে আসার কিচ্ছু নেই। এই কথাটাই আয়েশা হাফসাকে বুঝিয়ে বললেন মনজিলা। কিন্তু মায়ের মন কী আর মানে? তাই বার বার একই প্রশ্ন।

‘জি সুলতানা আমি নিজে সুলতানের সঙ্গে দেখা করেছি। তার সঙ্গে কথাও বলেছি। তিনি আমাকে নিশ্চিত করেছেন তার এতটুকু ক্ষতি হয়নি। আঘাত যা পাওয়ার সেটা পেয়েছেন পারগালি। কারণ জাহাপনার ওপর আসা আঘাতটা তিনিই নিজের হাতে প্রতিহত করেছেন। তার হাত অনেকখানি কেটেও গেছে। সুলতান আমাকে বলেছেন আমি যেন আপনাকে জানিয়ে দিই যে তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন’।

‘ও আচ্ছা। তাহলে তো ভালোই। আর পারগালির একটু খোঁজ রেখো।’

‘অবশ্যই সুলতানা। আমি এর মধ্যেই ইসাবেলাকে পাঠিয়ে দিয়েছি পারগালিকে দেখাশোনা করার জন্য।’

‘হেকিম দেখেছে?’

‘জি। গতকাল রাতেই সুলতানের নির্দেশে চিকিৎসা করেছেন তিনি। বেশি ক্ষতি হয়েছে?’

‘এক-দুই দিনের মধ্যেই সেরে যাওয়ার কথা।’

‘আচ্ছা। হেকিমকেও বলে দিও খোঁজ রাখার জন্য। আমার সন্তানের জীবন বাঁচিয়েছে ইব্রাহিম। তার পরিচর্যার যেন এতটুকু কমতি না হয়।’

‘অবশ্যই সুলতানা।’

মনজিলা খাতুন মাথা নুইয়ে আয়েশা হাফসার কথায় সম্মতি দিলেন।

‘আসতে পারি?’

কণ্ঠ শুনে চমকে উঠল ইসাবেলা। হুররেম? এই সময় এখানে।

হুররেমের গলা শুনে পাশ ফিরে তাকালেন পারগালি। ততক্ষণে কক্ষে ঢুকে পড়েছেন হুররেম।

‘এখন কেমন বোধ করছেন?’

‘আমি বরাবরই সুস্থ আছি খাতুন।’

‘ইসাবেলা ঠিকমতো দেখাশোনা করছে তো আপনার।’

‘আলবৎ।’

‘কোনো সমস্যা হলে আমায় বলুন। না হয় আমিই থেকে যাই!’

হুররেমের ঠোঁটে বাঁকা হাসি।

‘না। তার দরকার নেই।’

‘হুররেম তুমি এ সময়ে এখানে কী করছ?’

ইসাবেলার কণ্ঠে বিরক্তি।

‘কেন আসা যাবে না? ইসাবেলা তুমি কী বিরক্ত হয়েছ? হলেও কিছু করার নেই। সুলতানই আমাকে বলেছেন যেন পারগালির খোঁজ রাখি। হাজার হোক তিনি সুলতানের জীবন বাঁচিয়েছেন।’

‘ও!’

ইসাবেলার কণ্ঠে তীব্র শূন্যতা। পাশেই রাখা টেবিলটা গোছানোয় মনোযোগ দিল সে। হুররেম গিয়ে বসলেন পারগালির শিয়রের কাছে। ফিসফাঁস আলাপ হচ্ছে দুজনের। সে কথা টুকটাক পৌঁছে যাচ্ছে ইসাবেলার কানেও।

 

 

চলবে...পরবর্তী পর্ব আগামী শনিবার

এই বিভাগের আরও খবর
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
প্রামাণিকবাড়ির দিঘি
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
রায়বাহাদুরের দিঘি দখল
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
হাজার বছরের পুরোনো ওয়াদ্দারদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
চমকপ্রদ উপাখ্যান জড়ানো সাগরদিঘি
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নয়নাভিরাম ছয় সাগরের কথা
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ার অঙ্গীকার
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
কী আছে ১০ দফা ইশতেহারে
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদের ৬৫ প্রতিশ্রুতি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
দখল-দূষণে বিপর্যস্ত শতবর্ষী দিঘি
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
প্রজাদের সুপেয় পানির জন্য যার জন্ম
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
মসলিন সুতোর স্মৃতি মিশে আছে যেখানে
ভাওয়াল রাজার দিঘি
ভাওয়াল রাজার দিঘি
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা
বাংলাদেশকে নিয়ে শেষ চারে শ্রীলঙ্কা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ
সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ ভাতা পুনর্নির্ধারণ

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া
ফ্রাইলিঙ্কের রেকর্ডগড়া ফিফটিতে জিম্বাবুয়েকে হারাল নামিবিয়া

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ
মানুষকে বঞ্চিত করে উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়ার অধিকার কারো নেই: ফয়েজ আহমদ

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ
নবীর তাণ্ডবে আফগানিস্তানের লড়াকু পুঁজি, শঙ্কায় বাংলাদেশ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা
১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

৩ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক
শিশু নিপীড়নের অভিযোগে যুবক আটক

৩ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের
ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিকের উপাদান তৈরি বিজ্ঞানীদের

৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স
পিআর নিয়ে আন্দোলন নির্বাচন নস্যাতের ষড়যন্ত্র: প্রিন্স

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা
চাঁদপুরে ভোক্তার অভিযানে জরিমানা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার
সিলেটে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে না : পুলিশ কমিশনার

৪ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
যে সকল ভারতীয়দের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান
৯১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে আফগানিস্তান

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত
নওগাঁয় সৌহার্দ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জুলাই বিপ্লব পরবর্তীতে র‌্যাবের কার্যক্রম প্রশংসিত হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার
বরিশালে নিষিদ্ধ জাল উদ্ধার

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী
নির্বাচন বানচালে ষড়যন্ত্রের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে : নবীউল্লাহ নবী

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা
সার সংকটে ঝিনাইদহের কৃষক, উৎপাদন খরচ বাড়ার শঙ্কা

৪ ঘণ্টা আগে | প্রকৃতি ও পরিবেশ

ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক মতভিন্নতার শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে : প্রেস সচিব

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক
লিবিয়ায় মাফিয়াদের গুলিতে নিহত মাদারীপুরের যুবক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু
পটিয়ায় বাসচাপায় নারীর মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই: ব্রাজিল প্রেসিডেন্ট

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
শ্রীপুর উপজেলা আন্তঃস্কুল ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?
শ্রীলঙ্কা বনাম আফগানিস্তান: ব্যাটিং-বোলিংয়ে কে এগিয়ে?

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা
আজ মুখোমুখি শ্রীলংকা-আফগানিস্তান, যে সমীকরণের সামনে টাইগাররা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান
এশিয়া কাপে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা
স্কুল-কলেজের সভাপতির পদ নিয়ে নতুন নির্দেশনা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?
সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, চিন্তিত ভারত-ইসরায়েল?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ
পাঁচ ব্যাংক মার্জারের খবরে হতাশা-উদ্বেগ

১৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল
আফগানিস্তান সফরে মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের প্রতিনিধি দল

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ
শ্রীলঙ্কা যত রান করলে সুপার ফোরে যাবে বাংলাদেশ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ
বিশ্ব বাঁশ দিবস আজ

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ
কাতার হামলা নিয়ে মুখ খুললেন বেঁচে যাওয়া শীর্ষ হামাস নেতা হামাদ

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক
রাজকীয় অভ্যর্থনার পর ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর মোড় নিয়েছে রাজনৈতিক

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প
ভারত-পাকিস্তানসহ ২৩ দেশকে ‘প্রধান মাদক পাচারকারী’ চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান
আমিরাতকে হারিয়ে শেষ চারে ভারতের সঙ্গী পাকিস্তান

২২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য
ট্রাম্পের সফর শেষে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাজ্য

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর, বাড়ছে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা
ব্রিটেনে ট্রাম্পকে রাজকীয় সংবর্ধনা

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ
আজ রাজধানীতে জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধের ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

৯ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য
ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে
সাজেকের আহতরা চমেকে, রিংকির লাশ নিজ গ্রামে গেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৮ সেপ্টেম্বর)

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য নিয়ে যে বার্তা দিলেন হেফাজত আমির

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের
দুই মাসের মধ্যে ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ জরিমানা শুল্ক থেকে মুক্তির আশা ভারতের

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র
নির্বাচন কমিশনের হাতেই থাকছে জাতীয় পরিচয়পত্র

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র
গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের ভোট, চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান
নির্বাচনে ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা আমাদের অন্যতম দায়িত্ব : তারেক রহমান

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

১০ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন
ফেসবুকে কেউ আপনাকে ব্লক করেছে কিনা যেভাবে বুঝবেন

১৬ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি
চার মাসের কর্মসূচি নিচ্ছে বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন
কুমিল্লায় মাইকিং করে মাজারে হামলা আগুন

পেছনের পৃষ্ঠা

ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়
ভ্রান্ত বিশ্বাসীদের সঙ্গে নির্বাচনে জোট নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
অভিন্ন দাবিতে সাত ইসলামি দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক
দূর হোক জঞ্জাল, স্বস্তি ফিরুক

সম্পাদকীয়

গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ
গাজা ছাড়ছে সাধারণ মানুষ

প্রথম পৃষ্ঠা

এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি
এক যুগ পর সেই ফেলানীর ভাইকে চাকরি দিল বিজিবি

পেছনের পৃষ্ঠা

কবরস্থানে নবজাতক  বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম
কবরস্থানে নবজাতক বন্ধ হাসপাতালের কার্যক্রম

দেশগ্রাম

সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার
সিলেটে ঠিকানায় ফিরছে হকার

নগর জীবন

ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
ইভ্যালির রাসেল শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড

নগর জীবন

বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়
বিএনপি রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা চায়

নগর জীবন

আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত
আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে বিএনপি কর্মী নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা
জমি বিরোধে হাতুড়ি নিয়ে হামলা

দেশগ্রাম

ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে
ইইউ প্রতিনিধিদল সন্তুষ্ট মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে
বৃক্ষের পরিচয় তার ফলে

সম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা
রোহিঙ্গা যুবকের কাছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা

দেশগ্রাম

বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি
বিলম্ব সিদ্ধান্তে অর্থনীতির ক্ষতি

প্রথম পৃষ্ঠা

ফেব্রুয়ারিতেই ভোট
ফেব্রুয়ারিতেই ভোট

সম্পাদকীয়

সমঝোতা স্মারক সই
সমঝোতা স্মারক সই

নগর জীবন

একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই
একই সঙ্গে কোরআনে হাফেজ দুই ভাই

নগর জীবন

এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি
এক নামে দুই কলেজ, ভর্তিতে বিভ্রান্তি

নগর জীবন

বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন
বগুড়ায় ৭টি আসনের খসড়া ভোটার ও কেন্দ্র তালিকা সম্পন্ন

নগর জীবন

দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট
দুবাইয়ে ১৭৮ যাত্রী নিয়ে আটকা বিমানের ফ্লাইট

নগর জীবন

সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
সম্মেলন ঘিরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দেশগ্রাম

কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া
কিশোর গ্যাংয়ের স্পিডবোট মহড়া

দেশগ্রাম

দুর্ভোগ
দুর্ভোগ

নগর জীবন

সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা
সোশ্যাল মিডিয়া-ইউটিউবে সরব তারকারা

শোবিজ

ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন
ডাকসু-জাকসু প্রজন্মের আস্থাভঙ্গের নির্বাচন

সম্পাদকীয়

একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী
একনজরে নবীজি (সা.)এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী

সম্পাদকীয়