শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:৫৫, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

১৬তম পর্ব

বনবিহারী

আলম শাইন
অনলাইন ভার্সন

বনবিহারী

  কালাবনে অবস্থানের তিনদিন পর পরিকল্পনা মোতাবেক মধ্যাহ্নভোজের পরে বিছানায় সামান্য গড়াগড়ি দিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম জঙ্গল পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে। মহব্বত দয়াল দোনালা বন্দুকসহ দুই প্যাকেট বিস্কুট, টর্চ আর জলের বোতল ব্যাগে ভরে নিল। বনবাদাড়ে ঘুরতে গেলে এসব সঙ্গে নিতে হয়। বলা যায় না, কখন কী ঘটে। নিরাপত্তার জন্য বন্দুক আর দিক ভুল হলে জলখাবারের প্রয়োজন আছে। সেটি মাথায় নিয়েই জঙ্গল পরিদর্শনে বের হলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেই। মেঘলার জঙ্গল এত পরিচিত সেখানেও মাঝেমধ্যে দিক ভুল হয়ে যায় আমাদের, আর কালাবন তো একটা অপরিচিত দুর্ভেদ্য জঙ্গল। এখানে দিকভুল হতে কতক্ষণ! শুধু আমরা নই জঙ্গলভ্রমণে প্রত্যেকেরই সতর্ক হয়ে চলতে হয়। আর সবাইকে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। আমার স্টাফদের প্রতি এ ধরনের সতর্কতা নোটিশ আগেই দিয়ে রেখেছি। অবশ্য সাবেক পরিচালক সালেহ দেওয়ান এবং তৈমিজ ছৈয়ালের অপমৃত্যুর পরে নিজ থেকেই সবাই সতর্ক হয়েছে। সবার উদ্দেশ্যে একদিন বলেছিলাম, ‘কাজকর্মের ঘাটতি হলে একসময় পুষিয়ে নেওয়া যাবে, কিন্তু জীবন খোয়ালে সেখানেই ইতি।’ তারপর থেকে কেউ আর তেমন একটা অনিয়ম করে না। এখন অবশ্য বুনো কুকুর আর শেয়ালের উপদ্রবও কমেছে; তবে খেপাটে মহিষের আতঙ্ক রয়ে গেছে ঠিকই। বিশেষ করে কালাবনের খেপাটে মহিষের দুর্নাম প্রচুর; তার প্রমাণও আমরা গেল বছর হাতেনাতে পেয়েছিলাম। তৈমিজ ছৈয়ালের মৃত্যুই প্রমাণ করেছিল কালাবনের মহিষ কতটা হিংস্র হতে পারে।

  আমরা দুজন জঙ্গল মাড়িয়ে হাঁটছিলাম, দুর্ভেদ্য লতাঝোঁপের জন্য হাঁটতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছিল আমাদের। চারদিকে তীব্র নজর রেখেই হাঁটছিলাম। জানি এই জঙ্গলে মহিষ আর সাপ ছাড়া অন্য কোন ধরনের হিংস্র জন্তু জানোয়ার নেই, তার পরেও বিশ্বাস করা যায় না; থাকতেও পারে। কারণ নিবিড় অরণ্যে হিংস্রপ্রাণীদের বসবাস করা বৈচিত্র্যের কিছুই নয়।

   এই জঙ্গলে প্রচুর আষাঢ়ি লতার ঝোঁপ। যার জন্য আমাদের হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এই লতার নাম ‘আষাঢ়ি লতা’ হলেও আষাঢ় মাসের সঙ্গে এর ফুল ফোঁটা বা বেড়ে ওঠার কোন সম্পর্ক নেই। এই লতা লোকালয়ে খুব একটা দেখা যায় না। ভেষজ সমৃদ্ধ বিধায় প্ল্যান্টে এই লতা লাগানো হয়েছিল। আষাঢ়ি লতা আমি রোপণ করিনি, প্ল্যান্টের শুরুর দিকেই লাগানো হয়েছিল। লতাটা কাঁটাযুক্ত; ফুল লাল সাদা। অনেকটাই সেমাইর মতো; ঘ্রাণও চমৎকার। লতায় ফলও হয়, ফল অনেকেই তরকারি হিসেবে খায়। প্ল্যান্টের কেউ খায় না, অন্যান্য ভেষজ মালামালের সঙ্গে প্রক্রিয়া করে শিপমেন্ট করি আমরা আষাঢ়ি ফলও।
  হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, চারপাশে তীব্র নজর রেখেও কোন বসতির সন্ধান পেলাম না। তবে বসতির সন্ধান না পেলেও সন্ধান পেয়েছিলাম বৃক্ষ নিধনের নমুনা। বড় বড় অনেক গাছ উজাড় করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারিরা। খুব কৌশলে কাজটি করেছে ওরা। গাছ কেটে নিয়ে গোড়ায় আগুন লাগিয়ে শেকড়বাকড়সুদ্ধ জ্বালিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। যাতে কেউ হঠাৎ করে দেখলে বুঝতে না পারে এখানে গাছপালা ছিল। এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে দেখেছি নিঝুম দ্বীপের বনভূমিতেও। এই নিয়ে খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়েছিল একাধিকবার। একবার সদরে গেলে আমাকে একজন ভিডিওক্লিপ দেখিয়েছিল সেই সংবাদের। ওই একই কৌশল কালাবনেও অবলম্বন করছিল দুষ্কৃতিকারিরা। তা ছাড়াও দেখলাম কিছু কিছু স্থানে আগুন লাগিয়ে জঙ্গল পোড়ানো হয়েছে। জঙ্গল কেন পুড়িয়েছে সেটি বুঝতে পারলাম না এখনো।

  বৃক্ষ নিধনের এই অপকৌশলে আমি খুব চিন্তিত হলাম। তার মানে প্ল্যান্টের জন্য এটি একটি অশানি সংকেত। আমি হিসেব করে দেখলাম, এ কাজ মাস ছয়েক ধরে হচ্ছে। কারণ মাস ছয়েক আগেও এদিকে একবার এসেছিলাম আমি, তখন অনেক গাছ-গাছালির বিস্তার ছিল। তার মানে সম্প্রতি ঘটেছে বৃক্ষ নিধন এবং জঙ্গলে আগুন লাগানো মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। মূলত শেয়াল কুকুরগুলো নিধনের পর থেকেই কোন না কোন অঘটন ঘটছে দ্বীপ বনে। দুষ্কৃতিকারিদের জন্য জঙ্গল এখন অনেকটাই নিরাপদ; অবাদে চলাফেরা করতে পারে। শুধু মহিষ আর সাপের দিকে নজর রাখলেই অথবা সাবধানে চলাফেরা করলেই ওরা নিরাপদে অপকর্ম চালাতে পারবে।

  কালাবনে একেতো লোকবলের অভাব, তার ওপর এখন হিংস্রপ্রাণীমুক্ত, কাজেই এ জঙ্গল উজাড় হতে খুব বেশি সময় লাগবে না, আমার অভিজ্ঞতা থেকেই তা অনুমান করছি। এ জঙ্গলটা উজাড় হলে কোম্পানি ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাতে সমস্ত প্ল্যান্টের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্ল্যান্টের অধিকাংশ আয় হয় কালাবনের ভেষজ থেকেই। সুতরাং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা কীভাবে নিবো সেটিই এখন ভাবনার বিষয়। প্রহরী নিযুক্ত করে বৃক্ষ নিধন রোধ করা কখনো সম্ভব নয়। তাছাড়া ক’জন প্রহরীই বা নিয়োগ দিতে পারব আমরা? আমাদেরও তো সীমাবদ্ধতা আছে, বেতনাদির বিষয়ও আছে। সবই যদি পাহাদারের পেছনে ব্যয় হয়, তাহলে প্ল্যান্ট লাভজনক হবে না। এই বিশাল জঙ্গল পাহারা দিয়ে রাখা আমাদের দ্বারা সম্ভবও নয়। দুই একজন দুষ্কৃতিকারি ধরা পড়লে অথবা শাস্তি দিলে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। ওরা সুযোগে সুন্দরবন কিংবা আমাজন জঙ্গলের মতো আগুন লাগিয়ে কালাবন বিনাশ করে দিতে পারে। কাজেই যা করার এখন বুঝেশুনেই করতে হবে। আবার মাথায় রাখতে হবে দুষ্কৃতিকারিদের সঙ্গে আমাদের লোকজনের সম্পৃক্ততা আছে কীনা; যেমনটি হয়েছে কলা চুরির ক্ষেত্রে। যদি সেরকম কিছু হয়েই থাকে তাহলে জঙ্গলের আর রক্ষা নেই।
  আগেই বলেছি, আমার কাছে প্ল্যান্টের ভবিষ্যত ভালো ঠেকছে না। কী থেকে কী ঘটতে চলছে তা ভেবে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। মানুষের সামান্য ভুলের পরিণাম যে কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে সেই চিন্তাই করতে লাগলাম। এই সবুজ বনপ্রান্তর বিলিন হয়ে যাবে একসময়, ভাবতেই আমার কষ্ট হচ্ছিল। যেভাবে বৃক্ষ নিধন শুরু হয়েছে তাতে কয়েক বছর পর দ্বীপ বন তথা কালাবন খটখটে মরুভূমিতে পরিণত হবে। আর সে রকম কিছু হলে তা হবে আমার জন্য ভীষণ বেদনাদায়ক। দ্বীপ বনে আমি বেতনাদির মোহে থাকি না, আমি থাকি সবুজের মোহে, বনের টানে, মনের টানে।
  মহব্বত দয়ালের কথার সত্যতা পেতে যাচ্ছি আমি। সে দুপুরে জানিয়েছে শিশুকণ্ঠের হাসি শুনেছে, তার মানে লোকজনের যাতায়াত রয়েছে কালাবনে। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে মহব্বত দয়ালকে বললাম, ‘এবার বাংলোমুখী হও, আর হাঁটতে পারছি না। তাছাড়া হাসির সমাধানও পেয়ে গেছি। তোমার ধারণাই ঠিক, লোকজনের যাতায়াত রয়েছে কালাবনে।’
  রাতে আমার কামরায় সবাইকে ডাকালাম। ওখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে তিনজন প্রহরী, তিনজন শ্রমিক; তারা সবাই এসেছে আমার সামনে। ওরা আসতেই বিভিন্ন আলাপ আলোচনার ফাঁকে জানতে চাইলাম, বৃক্ষ নিধন এবং জঙ্গলে আগুন লাগানোর বিষয়টি। কথাটা শুনেই চারজনই মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পড়েছে। বনে এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে তা তারা বিশ্বাসই করতে পারছে না। আমি বললাম, ‘এ কেমন কথা, এতদিন কালাবনে আছ, অথচ এ ব্যাপারে কিছুই জান না, আর আমি তিনদিন অবস্থান করেই তা অবগত হলাম।’

  প্রহরীদের একজন হচ্ছে রইছ উদ্দিন, সে বলল, ‘বড়মিয়া, আমরা দরকার না পড়লে খুব একটা বের হই না। ভয় লাগে; দিনেও ভয় লাগে।’
  ‘কিসের ভয়! শেয়াল কুকুর তো এখন তেমন একটা নেই। ইচ্ছে করলে মহিষ থেকে সাবধানে থাকা যায়, তাহলে ভয়টা কিসের আমাকে একটু খুলে বল?’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘বড়মিয়া আপনি অনুমতি দিলে একটা কথা বলতাম।’
  বললাম, ‘খোলাখুলি বল, আমি সব শুনতে চাই, কোন কথাই গোপন রাখবে না আজ।’
  সে বলল, ‘বড়মিয়া, আমরা বাংলোতে ৬ জন এক কামরায় ঘুমাই, তার পরেও আমাদের ভয় কাটে না। তাছাড়া বাইরে তো খুব একটা বের হই-ই না। গোসল করতে গেলেও ৬ জন একত্রে যাই। এখানে আমাদের একরকম বন্দীজীবন কাটে বড়মিয়া।’
 ‘ভয়টা কিসের বলবে তো?’ আমি জানতে চাইলাম। 
  সে বলল, ‘আমরা পুকুরে নেমে গোসলও করি না। মাছ-টাছ ধরলে খালে গিয়ে মাছ ধরি। অথচ পুকুর ভরা মাছ আর মাছ। এতটাই ভয়পাই পুকুরে নামতে।’
  ‘পুকুরে গোসলাদি করনা তার মানেই বা কি, এসব কি শুনছি!’ আমি বিস্মিত হলাম।
  সে বলল, ‘সত্যি বড়মিয়া, যা শুনছেন তাই-ই সত্যি। ভয়ে এই পুকুরে নামি না আমরা।’
  ‘পুকুরে কেন নাম না তা আমি জানিনা, তবে আমার মন বলছে এটা তোমাদের মনের ভয়। আজ দুপুরেও তো মহব্বত দয়াল পুকুরে গোসল করেছে। তার তো কিছু হয়নি; ভয়ও পায়নি। বরং...।’
  আমার মুখের কথা শেষ না হতেই রইছ উদ্দিন বলল, ‘দয়াল ভাই, ঘটনাটা জানলে বা হাসির আওয়াজ শুনলে পুকুরে নামতেন না কোনদিনও।’
  আমি নড়েচড়ে বসলাম, মহব্বত দয়ালের মুখের দিকে তাকালাম, সেও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। তার মানে ওরাও শুনেছে শিশুকণ্ঠের হাসির আওয়াজ। আমি লুকোচুরি না করে বললাম, ‘দয়াল হাসির আওয়াজ শুনেছে দুইদিন আগে, তাও আমাকে বলেছ সে, তাতে কী হয়েছে, ভয়েরই বা কি আছে এতে?’
  এবার আরেক প্রহরী হরিপদ বলল, ‘বড়মিয়া এ হাসি সেই হাসি না। এটা হচ্ছে মাছের হাসি।’
  ওর কথা শুনে আমি নিজেও হেসে দিলাম এবার। বললাম, ‘মাছের হাসি সেটা আবার কি!’ ছড়া-গল্পে মাছের হাসির কথা শুনেছি, তোমরা আবার বাস্তবেও শুনলে নাকি! আমাকে হাসালে তোমরা।’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘বড়মিয়া এই পুকুরে বহু বছরের পুরানো বড়সড়ো একটা গজার মাছ আছে। শ্যাওলা পড়ে এখন নীলচে কালো হয়ে গেছে মাছটার শরীর। পুকুরে গোসল করতে নামলে মাছটা পালিয়ে যায় না, হাসতে হাসতে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। পোলাপানের মতো হাসে; দাঁত বের করে হাসে।’
  বললাম, ‘কী বলছ যা তা। মাছ দাঁত বের করে হাসে, এটাও শুনতে হলো তোমাদের মুখে! তোমরা কালাবন থাকতে চাচ্ছ না এইতো? সোজা বললেই পার কথাটা, আমি তোমাদেরকে এখান থেকে অন্য মৌজায় নিয়ে যেতাম।’
  মহব্বত দয়াল তখন মুখ খুলল, ‘বড়মিয়া ঘটনাটা সত্যি। আমি হাসি শুনেছি তবে মাছ-টাছ খেয়াল করিনি। পুকুরে অনেক মাছ, লাফালাফি করতেও দেখেছি, গজার মাছও দেখেছি কয়েকটা।’ 
  মহব্বত দয়ালের কথা শুনে আমি থ’ মেরে রইলাম; হলাম হতবাকও। মনে মনে আমিও শঙ্কিত হলাম; সেটা ওদের বুঝতে দেইনি। শুধু বললাম, ‘আমাকে শুনাতে পারবে সেই মাছের হাসি!’
  এবার ওদের একজন বলল, ‘আগামীকাল দুপুরে শুনাতে পারব; তবে দুপুরের আগে শুনানো যাবে না। ঠিক যখন সূর্য মাথার ওপর ওঠবে তখন মাছটা দেখা যাবে।’
  জিজ্ঞেস করলাম, ‘কতদিন ধরে হাসি শুনছ?’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘দুই মাসের মতো হবে।’
  ‘তোমরা গোসল করছ কোথায়?’
  ‘জোয়ার এলে খালে নেমে গোসল করি। আমরা সবাই একত্রে খালে যাই।’ রইছ উদ্দিন বলল।
  ‘বাংলোয় কে থাকে তোমরা গোসলে গেলে?’
  ‘কেউ থাকে না। সবাই একত্রে গোসলে যাই।’ 
  ‘বাংলোয় চুরি হলে?’
  ‘আমাদের নেওয়ার মতো কিছু নেই বড়মিয়া। বন্দুক সঙ্গে নিয়ে যাই। আর তেমন কিছু নেইও বাংলোতে, চাল-ডাল, জামাকাপড় ছাড়া।’
  সত্যি এবার চিন্তিত হলাম বিষয়টি নিয়ে। ভাবনায় পড়লাম কালাবনের ভবিষ্যত নিয়ে। তবে কি কালাবন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে? বৃক্ষ নিধন, পিটি প্যারেড, মাছের হাসি এসবই বা কি! যেসব কারণে কেউ থাকতেও চাচ্ছে না কালাবনে। ক’দিনই বা আমি এদেরকে জোর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে কালাবনে রাখতে পারব। এরকম হলে তো প্ল্যান্টের বারোটা বেজে যাবে। কালাবন উজাড় হওয়া মানে হচ্ছে প্ল্যান্ট ধ্বংস হয়ে যাওয়া। কোম্পানি যদি লাভবানই না হলো তাহলে প্ল্যান্ট রেখেই বা কি হবে? এমনি এমনিই বন্ধ হয়ে যাবে প্ল্যান্টের সকল কার্যক্রম।
  সেরাত থেকেই শুরু হলো তুুমুল বৃষ্টি। দিনভর অব্যাহত রইল সেই বৃষ্টির ধারা। বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত সামান্য কমে এলেও গজার মাছের দেখা পাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ ছিল না আর। কারণ ওরা আগেই জানিয়েছে, মাছের হাসাহাসি শুনতে হলে সূর্য মাথার ওপরে থাকতে হবে। মেঘাচ্ছন্ন দিনে গজার মাছ পুকুরে ভাসবে না। 
  কী আর করা আমাকে থেকে যেতে হলো কালাবনে সেই রাতেও। মেঘলায় প্রচুর কাজ জমে আছে, তার পরেও থাকতে হচ্ছে। মাছের হাসি না দেখে গেলে অথবা এর সমাধান বের না করতে পারলে আমার যেমন মনে শঙ্কা দূর হবে না, তেমনি আবার স্টাফদেরও ভীতি কাটবে না। কাজেই নিজ চোখে দেখতে হবে বিষয়টা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আরেকটা দিন কালাবনে অবস্থান করার।
  রাতে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামীকালও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল মেঘলায় চলে গেলেই ভালো হতো। অন্যসময় একদিন এসে না হয় রহস্যময় হাসির খোঁজখবর নিয়ে যেতাম। 
  সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে আমি বারান্দার চেয়ারে বসলাম। তখন আঁধার রাত, আশপাশের কিছুই নজরে পড়ছে না। একেতো কৃষ্ণপক্ষ তার ওপরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, দুয়ে মিলে নিকষকালো আঁধার বাইরে। বারান্দার হারিকেন নিভিয়ে দিয়েছি; আঁধারে বসেই আঁধার উপভোগ করব আমি। প্রকৃতিকে উপলব্ধি করতে হলে অথবা জঙ্গলের ভাষা হৃদয়ঙ্গম করতে হলে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলাতে হয়, তাহলেই কেবল শ্রবণে আসে প্রকৃতির সেই দুর্ভেদ্য ভাষা। সে বড়ই ধৈর্যের ব্যাপার; সাধনার বিষয়; সবার দ্বারা তা সম্ভবও হয় না।
  বাংলোর সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, আমি একাই বসে আছি বারান্দায়। আমার চোখে ঘুম নেই। রোমহর্ষক কোন কথা শুনলেই আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। গত রাত থেকেই আমার ঘুম হারাম। মাঝেমধ্যে তন্দ্রা আসে ঠিকই, তবে মাছের হাসি, পিটি প্যারেডের কথা মনে এলেই চোখের পাতা আলগা হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। বারান্দায় বসে ছিলাম, তাতেও কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে আমার। সত্যি বলতে আমি ততটা সাহসীও নই; ভূতপ্রেতে বিশ্বাস না থাকলেও শঙ্কিত হই অজানা আশঙ্কায়। সেসব কাউকে কখনো বুঝতে দেইনি অবশ্য। বিষয়টি জানতে পারলে তারা আরও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তাই নিজে নিজেই চেষ্টা করছি ভয়ডর দূর করতে। আরেকটা বিষয় উপলব্ধি করলাম, কেন জানি কালাবন এলে আমার রাতে ঘুম হয় না; শঙ্কিত থাকি সবসময়, কেন এমন হয় ঠিক তা বুঝতে পারিনি।

  সেরাতে শঙ্কা বাড়তেই আমি কামরায় গিয়ে শোয়ে পড়লাম। ততক্ষণে তুমুল বৃষ্টি ঝরছে। টিনের চালে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা পড়তেই কেমন জানি এক সুমধুর ঝঙ্কারের সৃষ্টি হলো। মধুর সেই ঝঙ্কার শুনতে শুনতে বৃষ্টিমুখর সেরাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম টের পাইনি আর। ঘুম ভেঙ্গেছে পরের দিন সাতটা নাগাদ। জেগে দেখলাম বৃষ্টি থামেনি; তবে ভারিবর্ষণ না হলেও থেমে থেমে ঝরছিল। তাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়ে গেল ঠিকই, যার ফলে মাছের হাসি দেখার সুযোগ সেই দিনেও আর হয়নি। বাধ্য হয়ে তাই ওই দিনেই বর্ষাতি পরে মেঘলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বনকর্মীদের বলে গেলাম, ‘আবার কালাবন এলে গজার মাছের হাসি দেখব। ততদিনে তোমরা তোমাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখেই চলাফেরা করবে; বিশেষ করে সবাই একত্রেই চলাফেরা করবে, তাতে ভয়-ডর কম পাবে।’
  সেদিন আমি মেঘলায় চলে এলেও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেই বিষয়টা। বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলাম, কিন্তু বিজ্ঞানে অতটা পরিপক্ক না হওয়ায় সেই ঘটনাগুলোর রহস্যভেদ করতে পারলাম না আজও। 

চলবে...

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউটিও’র
বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউটিও’র

এই মাত্র | অর্থনীতি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির কর্মিসভা
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে বিএনপির কর্মিসভা

৩৫ সেকেন্ড আগে | দেশগ্রাম

বোরহানউদ্দিনে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন ১৫ অস্বচ্ছল নারী
বোরহানউদ্দিনে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই মেশিন পেলেন ১৫ অস্বচ্ছল নারী

১ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে : মামুনুল হক
রাজনীতিতে ফ্যাসিবাদ প্রত্যাবর্তনের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে : মামুনুল হক

৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

বান্দরবানে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে প্রাণবন্ত সাহিত্য বিষয়ক পাঠচক্র
বান্দরবানে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে প্রাণবন্ত সাহিত্য বিষয়ক পাঠচক্র

১০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!
দুই শিরোপার নায়ক রাসেলকেই বাদ দিল কেকেআর!

১০ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

মানিকছড়িতে আব্দুর জব্বার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
মানিকছড়িতে আব্দুর জব্বার স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমুজ্জামান
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ : সেলিমুজ্জামান

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

রূপগঞ্জে সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‎বিএনপির প্রস্তুতি সভা
রূপগঞ্জে সংসদ নির্বাচন নিয়ে ‎বিএনপির প্রস্তুতি সভা

১৩ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দামুড়হুদায় নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে আলোচনা সভা
দামুড়হুদায় নিপা ভাইরাস প্রতিরোধে আলোচনা সভা

২০ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩
মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনে বাধা, গুলিবিদ্ধ ৩

২২ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা
আমেরিকানরা এখনো নারী নেতৃত্বে প্রস্তুত নয়: মিশেল ওবামা

২৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের
বিশ্বকাপের দল ঘোষণা বাংলাদেশের

২৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ
গোপালগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগ

২৯ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে
বিশ্বকাপ মঞ্চে দেখা যেতে পারে ক্ষুদ্রতম দেশ কুরাসাওকে

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি
মধ্যরাতে আকাশ রাঙাবে লিওনিড উল্কাবৃষ্টি

৩৫ মিনিট আগে | বিজ্ঞান

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম

৩৮ মিনিট আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নীলফামারীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগের ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

৩৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

জামিন পেলেন হিরো আলম
জামিন পেলেন হিরো আলম

৪১ মিনিট আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন সামরিক মহড়ার ঘোষণা ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত
বাংলাদেশের বিপক্ষে শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা ভারত

৪৯ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল
শাহরুখের নামে দুবাইয়ে পাঁচতারা হোটেল

৫৩ মিনিট আগে | শোবিজ

ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ
ইবিতে ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থী আটক, থানায় সোপর্দ

৫৯ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স
গারোদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দেশকে সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় করেছে : প্রিন্স

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
রাজশাহীতে ট্রাকের চাপায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৭৯২

১ ঘণ্টা আগে | ডেঙ্গু আপডেট

বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি
বিদেশি অপরাধী ঠেকাতে থাইল্যান্ডে ভিসা যাচাইয়ে নতুন কড়াকড়ি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা
তেহরানে আতঙ্কে বাসিন্দারা, বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক
নাগরিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব : ডিএসসিসি প্রশাসক

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার
বগুড়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেপ্তার

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী
জীবদ্দশায় আর কোনো রাজনৈতিক দল করব না: লতিফ সিদ্দিকী

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী
একটি দল ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে: নবীউল্লাহ নবী

২২ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা
বাইসাইকেল গোল করা হামজার প্রশংসায় ফিফা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে
ছাত্রদের যৌন হয়রানির মামলায় ঢাবি অধ্যাপক কারাগারে

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৮ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

৯ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা