শিরোনাম
প্রকাশ: ১৩:৫৫, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

১৬তম পর্ব

বনবিহারী

আলম শাইন
অনলাইন ভার্সন

বনবিহারী

  কালাবনে অবস্থানের তিনদিন পর পরিকল্পনা মোতাবেক মধ্যাহ্নভোজের পরে বিছানায় সামান্য গড়াগড়ি দিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম জঙ্গল পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে। মহব্বত দয়াল দোনালা বন্দুকসহ দুই প্যাকেট বিস্কুট, টর্চ আর জলের বোতল ব্যাগে ভরে নিল। বনবাদাড়ে ঘুরতে গেলে এসব সঙ্গে নিতে হয়। বলা যায় না, কখন কী ঘটে। নিরাপত্তার জন্য বন্দুক আর দিক ভুল হলে জলখাবারের প্রয়োজন আছে। সেটি মাথায় নিয়েই জঙ্গল পরিদর্শনে বের হলে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নেই। মেঘলার জঙ্গল এত পরিচিত সেখানেও মাঝেমধ্যে দিক ভুল হয়ে যায় আমাদের, আর কালাবন তো একটা অপরিচিত দুর্ভেদ্য জঙ্গল। এখানে দিকভুল হতে কতক্ষণ! শুধু আমরা নই জঙ্গলভ্রমণে প্রত্যেকেরই সতর্ক হয়ে চলতে হয়। আর সবাইকে দলবদ্ধ হয়ে থাকতে হয়। আমার স্টাফদের প্রতি এ ধরনের সতর্কতা নোটিশ আগেই দিয়ে রেখেছি। অবশ্য সাবেক পরিচালক সালেহ দেওয়ান এবং তৈমিজ ছৈয়ালের অপমৃত্যুর পরে নিজ থেকেই সবাই সতর্ক হয়েছে। সবার উদ্দেশ্যে একদিন বলেছিলাম, ‘কাজকর্মের ঘাটতি হলে একসময় পুষিয়ে নেওয়া যাবে, কিন্তু জীবন খোয়ালে সেখানেই ইতি।’ তারপর থেকে কেউ আর তেমন একটা অনিয়ম করে না। এখন অবশ্য বুনো কুকুর আর শেয়ালের উপদ্রবও কমেছে; তবে খেপাটে মহিষের আতঙ্ক রয়ে গেছে ঠিকই। বিশেষ করে কালাবনের খেপাটে মহিষের দুর্নাম প্রচুর; তার প্রমাণও আমরা গেল বছর হাতেনাতে পেয়েছিলাম। তৈমিজ ছৈয়ালের মৃত্যুই প্রমাণ করেছিল কালাবনের মহিষ কতটা হিংস্র হতে পারে।

  আমরা দুজন জঙ্গল মাড়িয়ে হাঁটছিলাম, দুর্ভেদ্য লতাঝোঁপের জন্য হাঁটতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছিল আমাদের। চারদিকে তীব্র নজর রেখেই হাঁটছিলাম। জানি এই জঙ্গলে মহিষ আর সাপ ছাড়া অন্য কোন ধরনের হিংস্র জন্তু জানোয়ার নেই, তার পরেও বিশ্বাস করা যায় না; থাকতেও পারে। কারণ নিবিড় অরণ্যে হিংস্রপ্রাণীদের বসবাস করা বৈচিত্র্যের কিছুই নয়।

   এই জঙ্গলে প্রচুর আষাঢ়ি লতার ঝোঁপ। যার জন্য আমাদের হাঁটতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এই লতার নাম ‘আষাঢ়ি লতা’ হলেও আষাঢ় মাসের সঙ্গে এর ফুল ফোঁটা বা বেড়ে ওঠার কোন সম্পর্ক নেই। এই লতা লোকালয়ে খুব একটা দেখা যায় না। ভেষজ সমৃদ্ধ বিধায় প্ল্যান্টে এই লতা লাগানো হয়েছিল। আষাঢ়ি লতা আমি রোপণ করিনি, প্ল্যান্টের শুরুর দিকেই লাগানো হয়েছিল। লতাটা কাঁটাযুক্ত; ফুল লাল সাদা। অনেকটাই সেমাইর মতো; ঘ্রাণও চমৎকার। লতায় ফলও হয়, ফল অনেকেই তরকারি হিসেবে খায়। প্ল্যান্টের কেউ খায় না, অন্যান্য ভেষজ মালামালের সঙ্গে প্রক্রিয়া করে শিপমেন্ট করি আমরা আষাঢ়ি ফলও।
  হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম, চারপাশে তীব্র নজর রেখেও কোন বসতির সন্ধান পেলাম না। তবে বসতির সন্ধান না পেলেও সন্ধান পেয়েছিলাম বৃক্ষ নিধনের নমুনা। বড় বড় অনেক গাছ উজাড় করে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারিরা। খুব কৌশলে কাজটি করেছে ওরা। গাছ কেটে নিয়ে গোড়ায় আগুন লাগিয়ে শেকড়বাকড়সুদ্ধ জ্বালিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। যাতে কেউ হঠাৎ করে দেখলে বুঝতে না পারে এখানে গাছপালা ছিল। এ ধরনের কৌশল অবলম্বন করতে দেখেছি নিঝুম দ্বীপের বনভূমিতেও। এই নিয়ে খবরের কাগজ ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয়েছিল একাধিকবার। একবার সদরে গেলে আমাকে একজন ভিডিওক্লিপ দেখিয়েছিল সেই সংবাদের। ওই একই কৌশল কালাবনেও অবলম্বন করছিল দুষ্কৃতিকারিরা। তা ছাড়াও দেখলাম কিছু কিছু স্থানে আগুন লাগিয়ে জঙ্গল পোড়ানো হয়েছে। জঙ্গল কেন পুড়িয়েছে সেটি বুঝতে পারলাম না এখনো।

  বৃক্ষ নিধনের এই অপকৌশলে আমি খুব চিন্তিত হলাম। তার মানে প্ল্যান্টের জন্য এটি একটি অশানি সংকেত। আমি হিসেব করে দেখলাম, এ কাজ মাস ছয়েক ধরে হচ্ছে। কারণ মাস ছয়েক আগেও এদিকে একবার এসেছিলাম আমি, তখন অনেক গাছ-গাছালির বিস্তার ছিল। তার মানে সম্প্রতি ঘটেছে বৃক্ষ নিধন এবং জঙ্গলে আগুন লাগানো মতো জঘন্য কর্মকাণ্ড। মূলত শেয়াল কুকুরগুলো নিধনের পর থেকেই কোন না কোন অঘটন ঘটছে দ্বীপ বনে। দুষ্কৃতিকারিদের জন্য জঙ্গল এখন অনেকটাই নিরাপদ; অবাদে চলাফেরা করতে পারে। শুধু মহিষ আর সাপের দিকে নজর রাখলেই অথবা সাবধানে চলাফেরা করলেই ওরা নিরাপদে অপকর্ম চালাতে পারবে।

  কালাবনে একেতো লোকবলের অভাব, তার ওপর এখন হিংস্রপ্রাণীমুক্ত, কাজেই এ জঙ্গল উজাড় হতে খুব বেশি সময় লাগবে না, আমার অভিজ্ঞতা থেকেই তা অনুমান করছি। এ জঙ্গলটা উজাড় হলে কোম্পানি ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাতে সমস্ত প্ল্যান্টের কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। প্ল্যান্টের অধিকাংশ আয় হয় কালাবনের ভেষজ থেকেই। সুতরাং দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা কীভাবে নিবো সেটিই এখন ভাবনার বিষয়। প্রহরী নিযুক্ত করে বৃক্ষ নিধন রোধ করা কখনো সম্ভব নয়। তাছাড়া ক’জন প্রহরীই বা নিয়োগ দিতে পারব আমরা? আমাদেরও তো সীমাবদ্ধতা আছে, বেতনাদির বিষয়ও আছে। সবই যদি পাহাদারের পেছনে ব্যয় হয়, তাহলে প্ল্যান্ট লাভজনক হবে না। এই বিশাল জঙ্গল পাহারা দিয়ে রাখা আমাদের দ্বারা সম্ভবও নয়। দুই একজন দুষ্কৃতিকারি ধরা পড়লে অথবা শাস্তি দিলে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। ওরা সুযোগে সুন্দরবন কিংবা আমাজন জঙ্গলের মতো আগুন লাগিয়ে কালাবন বিনাশ করে দিতে পারে। কাজেই যা করার এখন বুঝেশুনেই করতে হবে। আবার মাথায় রাখতে হবে দুষ্কৃতিকারিদের সঙ্গে আমাদের লোকজনের সম্পৃক্ততা আছে কীনা; যেমনটি হয়েছে কলা চুরির ক্ষেত্রে। যদি সেরকম কিছু হয়েই থাকে তাহলে জঙ্গলের আর রক্ষা নেই।
  আগেই বলেছি, আমার কাছে প্ল্যান্টের ভবিষ্যত ভালো ঠেকছে না। কী থেকে কী ঘটতে চলছে তা ভেবে আমি বিস্মিত হয়ে গেলাম। মানুষের সামান্য ভুলের পরিণাম যে কোথায় গিয়ে ঠেকতে পারে সেই চিন্তাই করতে লাগলাম। এই সবুজ বনপ্রান্তর বিলিন হয়ে যাবে একসময়, ভাবতেই আমার কষ্ট হচ্ছিল। যেভাবে বৃক্ষ নিধন শুরু হয়েছে তাতে কয়েক বছর পর দ্বীপ বন তথা কালাবন খটখটে মরুভূমিতে পরিণত হবে। আর সে রকম কিছু হলে তা হবে আমার জন্য ভীষণ বেদনাদায়ক। দ্বীপ বনে আমি বেতনাদির মোহে থাকি না, আমি থাকি সবুজের মোহে, বনের টানে, মনের টানে।
  মহব্বত দয়ালের কথার সত্যতা পেতে যাচ্ছি আমি। সে দুপুরে জানিয়েছে শিশুকণ্ঠের হাসি শুনেছে, তার মানে লোকজনের যাতায়াত রয়েছে কালাবনে। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে অবশেষে মহব্বত দয়ালকে বললাম, ‘এবার বাংলোমুখী হও, আর হাঁটতে পারছি না। তাছাড়া হাসির সমাধানও পেয়ে গেছি। তোমার ধারণাই ঠিক, লোকজনের যাতায়াত রয়েছে কালাবনে।’
  রাতে আমার কামরায় সবাইকে ডাকালাম। ওখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করছে তিনজন প্রহরী, তিনজন শ্রমিক; তারা সবাই এসেছে আমার সামনে। ওরা আসতেই বিভিন্ন আলাপ আলোচনার ফাঁকে জানতে চাইলাম, বৃক্ষ নিধন এবং জঙ্গলে আগুন লাগানোর বিষয়টি। কথাটা শুনেই চারজনই মনে হচ্ছে আকাশ থেকে পড়েছে। বনে এ ধরনের কিছু ঘটতে পারে তা তারা বিশ্বাসই করতে পারছে না। আমি বললাম, ‘এ কেমন কথা, এতদিন কালাবনে আছ, অথচ এ ব্যাপারে কিছুই জান না, আর আমি তিনদিন অবস্থান করেই তা অবগত হলাম।’

  প্রহরীদের একজন হচ্ছে রইছ উদ্দিন, সে বলল, ‘বড়মিয়া, আমরা দরকার না পড়লে খুব একটা বের হই না। ভয় লাগে; দিনেও ভয় লাগে।’
  ‘কিসের ভয়! শেয়াল কুকুর তো এখন তেমন একটা নেই। ইচ্ছে করলে মহিষ থেকে সাবধানে থাকা যায়, তাহলে ভয়টা কিসের আমাকে একটু খুলে বল?’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘বড়মিয়া আপনি অনুমতি দিলে একটা কথা বলতাম।’
  বললাম, ‘খোলাখুলি বল, আমি সব শুনতে চাই, কোন কথাই গোপন রাখবে না আজ।’
  সে বলল, ‘বড়মিয়া, আমরা বাংলোতে ৬ জন এক কামরায় ঘুমাই, তার পরেও আমাদের ভয় কাটে না। তাছাড়া বাইরে তো খুব একটা বের হই-ই না। গোসল করতে গেলেও ৬ জন একত্রে যাই। এখানে আমাদের একরকম বন্দীজীবন কাটে বড়মিয়া।’
 ‘ভয়টা কিসের বলবে তো?’ আমি জানতে চাইলাম। 
  সে বলল, ‘আমরা পুকুরে নেমে গোসলও করি না। মাছ-টাছ ধরলে খালে গিয়ে মাছ ধরি। অথচ পুকুর ভরা মাছ আর মাছ। এতটাই ভয়পাই পুকুরে নামতে।’
  ‘পুকুরে গোসলাদি করনা তার মানেই বা কি, এসব কি শুনছি!’ আমি বিস্মিত হলাম।
  সে বলল, ‘সত্যি বড়মিয়া, যা শুনছেন তাই-ই সত্যি। ভয়ে এই পুকুরে নামি না আমরা।’
  ‘পুকুরে কেন নাম না তা আমি জানিনা, তবে আমার মন বলছে এটা তোমাদের মনের ভয়। আজ দুপুরেও তো মহব্বত দয়াল পুকুরে গোসল করেছে। তার তো কিছু হয়নি; ভয়ও পায়নি। বরং...।’
  আমার মুখের কথা শেষ না হতেই রইছ উদ্দিন বলল, ‘দয়াল ভাই, ঘটনাটা জানলে বা হাসির আওয়াজ শুনলে পুকুরে নামতেন না কোনদিনও।’
  আমি নড়েচড়ে বসলাম, মহব্বত দয়ালের মুখের দিকে তাকালাম, সেও আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। তার মানে ওরাও শুনেছে শিশুকণ্ঠের হাসির আওয়াজ। আমি লুকোচুরি না করে বললাম, ‘দয়াল হাসির আওয়াজ শুনেছে দুইদিন আগে, তাও আমাকে বলেছ সে, তাতে কী হয়েছে, ভয়েরই বা কি আছে এতে?’
  এবার আরেক প্রহরী হরিপদ বলল, ‘বড়মিয়া এ হাসি সেই হাসি না। এটা হচ্ছে মাছের হাসি।’
  ওর কথা শুনে আমি নিজেও হেসে দিলাম এবার। বললাম, ‘মাছের হাসি সেটা আবার কি!’ ছড়া-গল্পে মাছের হাসির কথা শুনেছি, তোমরা আবার বাস্তবেও শুনলে নাকি! আমাকে হাসালে তোমরা।’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘বড়মিয়া এই পুকুরে বহু বছরের পুরানো বড়সড়ো একটা গজার মাছ আছে। শ্যাওলা পড়ে এখন নীলচে কালো হয়ে গেছে মাছটার শরীর। পুকুরে গোসল করতে নামলে মাছটা পালিয়ে যায় না, হাসতে হাসতে কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। পোলাপানের মতো হাসে; দাঁত বের করে হাসে।’
  বললাম, ‘কী বলছ যা তা। মাছ দাঁত বের করে হাসে, এটাও শুনতে হলো তোমাদের মুখে! তোমরা কালাবন থাকতে চাচ্ছ না এইতো? সোজা বললেই পার কথাটা, আমি তোমাদেরকে এখান থেকে অন্য মৌজায় নিয়ে যেতাম।’
  মহব্বত দয়াল তখন মুখ খুলল, ‘বড়মিয়া ঘটনাটা সত্যি। আমি হাসি শুনেছি তবে মাছ-টাছ খেয়াল করিনি। পুকুরে অনেক মাছ, লাফালাফি করতেও দেখেছি, গজার মাছও দেখেছি কয়েকটা।’ 
  মহব্বত দয়ালের কথা শুনে আমি থ’ মেরে রইলাম; হলাম হতবাকও। মনে মনে আমিও শঙ্কিত হলাম; সেটা ওদের বুঝতে দেইনি। শুধু বললাম, ‘আমাকে শুনাতে পারবে সেই মাছের হাসি!’
  এবার ওদের একজন বলল, ‘আগামীকাল দুপুরে শুনাতে পারব; তবে দুপুরের আগে শুনানো যাবে না। ঠিক যখন সূর্য মাথার ওপর ওঠবে তখন মাছটা দেখা যাবে।’
  জিজ্ঞেস করলাম, ‘কতদিন ধরে হাসি শুনছ?’
  রইছ উদ্দিন বলল, ‘দুই মাসের মতো হবে।’
  ‘তোমরা গোসল করছ কোথায়?’
  ‘জোয়ার এলে খালে নেমে গোসল করি। আমরা সবাই একত্রে খালে যাই।’ রইছ উদ্দিন বলল।
  ‘বাংলোয় কে থাকে তোমরা গোসলে গেলে?’
  ‘কেউ থাকে না। সবাই একত্রে গোসলে যাই।’ 
  ‘বাংলোয় চুরি হলে?’
  ‘আমাদের নেওয়ার মতো কিছু নেই বড়মিয়া। বন্দুক সঙ্গে নিয়ে যাই। আর তেমন কিছু নেইও বাংলোতে, চাল-ডাল, জামাকাপড় ছাড়া।’
  সত্যি এবার চিন্তিত হলাম বিষয়টি নিয়ে। ভাবনায় পড়লাম কালাবনের ভবিষ্যত নিয়ে। তবে কি কালাবন ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে? বৃক্ষ নিধন, পিটি প্যারেড, মাছের হাসি এসবই বা কি! যেসব কারণে কেউ থাকতেও চাচ্ছে না কালাবনে। ক’দিনই বা আমি এদেরকে জোর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে কালাবনে রাখতে পারব। এরকম হলে তো প্ল্যান্টের বারোটা বেজে যাবে। কালাবন উজাড় হওয়া মানে হচ্ছে প্ল্যান্ট ধ্বংস হয়ে যাওয়া। কোম্পানি যদি লাভবানই না হলো তাহলে প্ল্যান্ট রেখেই বা কি হবে? এমনি এমনিই বন্ধ হয়ে যাবে প্ল্যান্টের সকল কার্যক্রম।
  সেরাত থেকেই শুরু হলো তুুমুল বৃষ্টি। দিনভর অব্যাহত রইল সেই বৃষ্টির ধারা। বিকেলের দিকে বৃষ্টিপাত সামান্য কমে এলেও গজার মাছের দেখা পাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ ছিল না আর। কারণ ওরা আগেই জানিয়েছে, মাছের হাসাহাসি শুনতে হলে সূর্য মাথার ওপরে থাকতে হবে। মেঘাচ্ছন্ন দিনে গজার মাছ পুকুরে ভাসবে না। 
  কী আর করা আমাকে থেকে যেতে হলো কালাবনে সেই রাতেও। মেঘলায় প্রচুর কাজ জমে আছে, তার পরেও থাকতে হচ্ছে। মাছের হাসি না দেখে গেলে অথবা এর সমাধান বের না করতে পারলে আমার যেমন মনে শঙ্কা দূর হবে না, তেমনি আবার স্টাফদেরও ভীতি কাটবে না। কাজেই নিজ চোখে দেখতে হবে বিষয়টা। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আরেকটা দিন কালাবনে অবস্থান করার।
  রাতে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছিল, অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আগামীকালও মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল মেঘলায় চলে গেলেই ভালো হতো। অন্যসময় একদিন এসে না হয় রহস্যময় হাসির খোঁজখবর নিয়ে যেতাম। 
  সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে আমি বারান্দার চেয়ারে বসলাম। তখন আঁধার রাত, আশপাশের কিছুই নজরে পড়ছে না। একেতো কৃষ্ণপক্ষ তার ওপরে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ, দুয়ে মিলে নিকষকালো আঁধার বাইরে। বারান্দার হারিকেন নিভিয়ে দিয়েছি; আঁধারে বসেই আঁধার উপভোগ করব আমি। প্রকৃতিকে উপলব্ধি করতে হলে অথবা জঙ্গলের ভাষা হৃদয়ঙ্গম করতে হলে প্রকৃতির সঙ্গে তাল মিলাতে হয়, তাহলেই কেবল শ্রবণে আসে প্রকৃতির সেই দুর্ভেদ্য ভাষা। সে বড়ই ধৈর্যের ব্যাপার; সাধনার বিষয়; সবার দ্বারা তা সম্ভবও হয় না।
  বাংলোর সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, আমি একাই বসে আছি বারান্দায়। আমার চোখে ঘুম নেই। রোমহর্ষক কোন কথা শুনলেই আমার রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। গত রাত থেকেই আমার ঘুম হারাম। মাঝেমধ্যে তন্দ্রা আসে ঠিকই, তবে মাছের হাসি, পিটি প্যারেডের কথা মনে এলেই চোখের পাতা আলগা হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। বারান্দায় বসে ছিলাম, তাতেও কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে আমার। সত্যি বলতে আমি ততটা সাহসীও নই; ভূতপ্রেতে বিশ্বাস না থাকলেও শঙ্কিত হই অজানা আশঙ্কায়। সেসব কাউকে কখনো বুঝতে দেইনি অবশ্য। বিষয়টি জানতে পারলে তারা আরও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে। তাই নিজে নিজেই চেষ্টা করছি ভয়ডর দূর করতে। আরেকটা বিষয় উপলব্ধি করলাম, কেন জানি কালাবন এলে আমার রাতে ঘুম হয় না; শঙ্কিত থাকি সবসময়, কেন এমন হয় ঠিক তা বুঝতে পারিনি।

  সেরাতে শঙ্কা বাড়তেই আমি কামরায় গিয়ে শোয়ে পড়লাম। ততক্ষণে তুমুল বৃষ্টি ঝরছে। টিনের চালে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা পড়তেই কেমন জানি এক সুমধুর ঝঙ্কারের সৃষ্টি হলো। মধুর সেই ঝঙ্কার শুনতে শুনতে বৃষ্টিমুখর সেরাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম টের পাইনি আর। ঘুম ভেঙ্গেছে পরের দিন সাতটা নাগাদ। জেগে দেখলাম বৃষ্টি থামেনি; তবে ভারিবর্ষণ না হলেও থেমে থেমে ঝরছিল। তাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়ে গেল ঠিকই, যার ফলে মাছের হাসি দেখার সুযোগ সেই দিনেও আর হয়নি। বাধ্য হয়ে তাই ওই দিনেই বর্ষাতি পরে মেঘলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। বনকর্মীদের বলে গেলাম, ‘আবার কালাবন এলে গজার মাছের হাসি দেখব। ততদিনে তোমরা তোমাদের নিরাপত্তার দিকে নজর রেখেই চলাফেরা করবে; বিশেষ করে সবাই একত্রেই চলাফেরা করবে, তাতে ভয়-ডর কম পাবে।’
  সেদিন আমি মেঘলায় চলে এলেও মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেই বিষয়টা। বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলাম, কিন্তু বিজ্ঞানে অতটা পরিপক্ক না হওয়ায় সেই ঘটনাগুলোর রহস্যভেদ করতে পারলাম না আজও। 

চলবে...

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ
হোমনায় বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ৮০তম সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

৭ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম

৭ মিনিট আগে | শোবিজ

অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!
অভিনেত্রীর জন্য পাত্র চেয়ে শহরজুড়ে পোস্টার!

৯ মিনিট আগে | শোবিজ

‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

২৫ মিনিট আগে | জাতীয়

রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

২৭ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি

৩৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল রাজধানী জাকার্তা: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

৩৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু
যশোরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ
ভূমিকম্প সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের লিফলেট বিতরণ

৪৪ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল

৪৫ মিনিট আগে | শোবিজ

বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার

৪৫ মিনিট আগে | অর্থনীতি

নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা
নবীনগরে শিক্ষার্থীদের সচেতনতায় বসুন্ধরা শুভসংঘের আলোচনা সভা

৪৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর

৪৮ মিনিট আগে | অর্থনীতি

প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা
বসুন্ধরা শুভসংঘের ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভা

১ ঘণ্টা আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান
বেশ কয়েকজন কমান্ডারকে বরখাস্ত করলেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?
ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি কে এই সূর্য কান্ত?

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও অনিশ্চিত শুভমান গিল

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ
তাজরিন ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্তি, ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রস্তাব সংশোধন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত

১ ঘণ্টা আগে | পরবাস

জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত
শাহজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দাবি বিএনপির, জামায়াত বলছে বক্তব্যটি ব্যক্তিগত

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ ভূমিকম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ
৭২ ঘণ্টার মধ্যে ‘আফটার শক’ স্বাভাবিক, গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া
এবার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান
নতুন করে ন্যান্সি-ইমরান গাইলেন সেই কালজয়ী গান

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর
শেখ হাসিনা-জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন
দেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ হবে না : সালাহউদ্দিন

২০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি
৩০০ আসনে এনসিপির ১৪৮৪ মনোনয়ন ফরম বিক্রি

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ
বিশাল জয়ে মুশফিকের শততম টেস্ট রাঙালো বাংলাদেশ

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ালো

২২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা
গাজায় ভয়ংকর কাণ্ড ঘটাচ্ছে মার্কিন ঠিকাদাররা

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?
খামেনিকে হত্যার চেষ্টা করছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা
ই-পারিবারিক আদালত দুর্নীতি কমাবে, সময়ও বাঁচাবে: আইন উপদেষ্টা

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ
সস্তা অস্ত্র বদলে দিচ্ছে যুদ্ধের রূপ

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম
কানাডা সহজ করেছে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে
অল্প সময়ের মধ্যে চার ভূমিকম্প কী ইঙ্গিত দিচ্ছে

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?
ট্রাম্পের সৌদি প্রীতি, ইসরায়েল কি কোণঠাসা?

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

১৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর
টাকার জন্য বিয়েতে পারফর্ম করব না: রণবীর

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

বিটরুটের ১০ উপকারিতা
বিটরুটের ১০ উপকারিতা

২১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি
ভূমিকম্প আতঙ্কে ৬ দিনের জন্য বন্ধ জবি

২৩ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা
ভয়ংকর ঝুঁকিতে ১৫ এলাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোটে জোটের নতুন হিসাব
ভোটে জোটের নতুন হিসাব

প্রথম পৃষ্ঠা

বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ
বাউলশিল্পীর ফাঁসি ও মুক্তির পাল্টাপাল্টি দাবিতে সংঘর্ষ

পেছনের পৃষ্ঠা

সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত
সিলেটে লড়াই বিএনপি-জামায়াত

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা
ইমাম খতিব ও মুয়াজ্জিনদের জন্য সম্মানির ব্যবস্থা

প্রথম পৃষ্ঠা

পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ
পা দিয়ে চেপে ধরে সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

প্রথম পৃষ্ঠা

পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা
পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদনে ভিসতা

পজিটিভ বাংলাদেশ

ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে
ফেসবুকে পরিচয় ভালোবাসার টানে চীনের যুবক মুন্সিগঞ্জে

পেছনের পৃষ্ঠা

শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে
শীত বিনোদন কেন হারিয়ে যাচ্ছে

শোবিজ

শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে
শিল্পে গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮৩ শতাংশ, চ্যালেঞ্জ কৃষিতে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র
ভূমিকম্পের ভয়াবহতা নিয়ে সেরা ৫ চলচ্চিত্র

শোবিজ

শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি
শাহজাহান চৌধুরীকে আইনের আওতায় আনুন : বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর
স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম
টি-২০ স্কোয়াডে নতুন মুখ অঙ্কন, স্কোয়াডে নেই তাসকিন শামীম

মাঠে ময়দানে

এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’
সালমার ‘বন্ধু কী মন্ত্রণা জানে রে’

শোবিজ

ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে
ইলেকট্রনিকস বাজারে স্মার্ট প্রযুক্তির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে

পজিটিভ বাংলাদেশ

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি
‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রযুক্তিভিত্তিক নতুন অর্থনীতির ভিত্তি

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড
মুশফিকের টেস্টে তাইজুলের রেকর্ড

মাঠে ময়দানে

আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়
আসনের জন্য কারও সঙ্গে সমঝোতা নয়

প্রথম পৃষ্ঠা

স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন
স্মার্ট হোম অ্যাপ্লায়েন্সে জীবনযাত্রায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন

পজিটিভ বাংলাদেশ

স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা
স্মার্ট প্রযুক্তিতে বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা

পজিটিভ বাংলাদেশ

মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা
মুথুসামি-জ্যানসনের দাপটে বড় সংগ্রহ দক্ষিণ আফ্রিকা

মাঠে ময়দানে

আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার
আতঙ্কে মানুষ প্রস্তুতিহীন সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

ফাইনালে ওঠা হলো না
ফাইনালে ওঠা হলো না

মাঠে ময়দানে

ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ
ছোটপর্দায় প্রসেনজিৎ

শোবিজ

বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান
বিতর্কিত উপদেষ্টারা যেন রাজনৈতিক দলের আশ্রয় না পান

প্রথম পৃষ্ঠা

ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব
ন্যু ক্যাম্পে ফেরার ম্যাচে বার্সার গোল উৎসব

মাঠে ময়দানে