দিনাজপুরের খানসামা ও চিরিরবন্দরের বেশি রসুন চাষ হয়। ভাল ফলনেরও আশা কৃষকদের। কিন্তু গগত দু’দিনের বৃষ্টিতে কোন কোন এলাকার রসুনের ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। চৈত্র মাসের হঠাৎ বৃষ্টিতে শঙ্কিত রসুন চাষিরা। তাই সোমবার বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, কেউ নালা তৈরি করে বা থালা দিয়ে পানি অপসারণ করছেন আবার কেউ পানিবন্দী জমিতে কাঁদার মধ্যেই রসুন তুলছেন।
চিরিরবন্দরের সাতনালা গ্রামে রসুন তুলছেন কৃষক আজহার হোসেন। তিনি বলেন, টানা দু-দিনের বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে গেছে। এখন রসুন তোলার সময় হয়নি। কিন্তু বৃষ্টির পানি জমি থেকে বের করে দেওয়ার কোনো উপায় নেই। জমিতে পানি থাকলে রসুন পচে যেতে পারে। এজন্য কাঁদার মধ্যেই রসুন তুলে তা পানিতে ধুয়ে নিতে হচ্ছে।
রসুন চাষি সাত্তার মিয়া বলেন, এমনিতেই বাজারে রসুনের দাম কম। প্রতি বিঘায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা। তার ওপর বৃষ্টির পানি। রসুন খেত পানি জমেছে। রসুনের জমিতে পানি জমে থাকলে পচন ধরবে। এতে রসুনের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা বলেন, এবছর এই উপজেলায় ৪১১ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় রসুনের ফলন ভালো হয়েছে। গত দুদিনের বৃষ্টিতে তেমন আশংকা নাই। তবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা উচিত। জমে থাকা পানি দ্রুত অপসারণ করলে রসুনের তেমন ক্ষতি হবে না বলে জানান তিনি। এছাড়াও সুর্য্যের আলোতে এ সমস্যা থাকবে না।
বিডি প্রতিদিন/এএ