মাঘের শুরুতেই শুরু হওয়া ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত লালমনিরহাটসহ উত্তরের বিভিন্ন জেলার মানুষের জীবন। বৃষ্টির মত পড়ছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ বিপদে পড়েছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না। গ্রামগুলোতে সাধারণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। অপরদিকে হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) সকাল ৭টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ১১ টা পেরিয়ে গেলেও এ এলাকার সূর্যের মুখ দেখা মেলেনি।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়াবিদ সুবল চন্দ্র বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আগামীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
জানা গেছে, হিমালয় পাদদেশে অবস্থিত লালমনিরহাট জেলায় মাঘ মাসের শুরু থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ঘন কুয়াশায় আর হিমেল হাওয়ার শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টের দিন যাপন করছে। রাস্তায় লোকজনের চলাচল একবারেই সীমিত। এমনকি ভর দুপুরেও সড়ক-মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে।
হাতীবান্ধা প্রকল্প ও বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দী বলেন, এই শীতে হাতীবান্ধা উপজেলায় ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের মাঝে প্রায় ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আবারো বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে তত্ত্ববোধক ডক্টর মোকাদ্দেম বলেন, শীতজনিক রোগে বহির্বিভাগে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিৎসা প্রদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল