হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সৌদি আরব প্রবাসী মো. জহুর হোসেন। চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় চার বছর আগে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫২ শতক জায়গায় ড্রাগন বাগান গড়ে তোলেন তিনি। রোপণ করা হয় প্রায় সাড়ে সাত হাজার ড্রাগনের চারা। এখন প্রতিটি গাছেই ঝুলছে ড্রাগন ফল। এ বাগানের উৎপাদিত ড্রাগন ফল জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে বড় ধরনের লাভের আশা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন উদ্যোগে জহুর হোসেন নিজেও যেমন উপকৃত হবেন, সঙ্গে এলাকাবাসীও। তাকে দেখে অনেকেই এখন ড্রাগন ফল চাষে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মানিকভান্ডারের পাহাড়ি এলাকায় সারি সারিভাবে লাগানো ড্রাগন ফলের চারা। আর এসব চারায় ঝুলে আছে পাকা আধা পাকা সব ড্রাগন ফল। ২০২১ সালে ড্রাগন বাগানটি গড়ে তোলেন জহুর হোসেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এমন ড্রাগন বাগান এলাকার সবাইকে চমকে দিয়েছে। জহুর হোসেন এখন সবার অনুপ্রেরণা। তার এমন সাফল্য দেখে গ্রামের অনেক বেকার যুবক ড্রাগন ফল চাষ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা বলেন, এমনিতেই ড্রাগন ফলের সঙ্গে আমাদের এলাকার মানুষ এতটা পরিচিত না। কিন্তু এখন নিজ এলাকায় এই ফলের এমন বাম্পার ফলন দেখে এটা চাষে আগ্রহ বাড়ছে সবার। জহুর হোসেনের বাগানে ড্রাগন ছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল চাষ করা হচ্ছে। ড্রাগন বাগানের ম্যানেজার আবদুল আহাদ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর উৎপাদন হবে ২৫ থেকে ৩০ টন ড্রাগন ফল।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জহুর হোসেনের ড্রাগন বাগানে সেচ সুবিধার জন্য সৌরচালিত সেচ ব্যবস্থা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের বাগান তৈরিতে লোকজনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই