শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করার সময়ই চিন্তা-ভাবনা ছিল নিজ গ্রাম ও চরাঞ্চলের শিশুদের নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকব। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলে যুক্ত হয়েছি। বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের মাধ্যমে যেসব শিক্ষার্থী শিক্ষা থেকে দূরে ছিল, তাদের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পারছি, আলহামদুলিল্লাহ। চরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কয়েকটি কারণে শিক্ষা থেকে দূরে ছিল।
এর মধ্যে দুটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো দারিদ্র্য ও কাছাকাছি স্কুল না থাকা। দুটি দিক প্রাধান্য দিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ কাছাকাছি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা ও শিক্ষার্থীদের সব শিক্ষা উপকরণ দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ সহজ করে দিচ্ছে; যার ফলে চর ইমারশনের শিশুরা এখন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। আমি বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষক হিসেবে গর্বিত। অনেক অভিভাবক স্কুলে এসে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সকালবেলা থেকেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। আগে স্কুল দূরে থাকায় অনেক শিশুই শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ছিল। এর ফলে নিয়মিত শিক্ষার্থীরাও অনিয়মিত হয়ে যেত। এখন বাড়ির পাশেই স্কুল এবং পড়াশোনার খরচ বসুন্ধরা গ্রুপ বহন করে। তাই তারা আগ্রহ নিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসে।