দরিদ্র জেলে সেলিম হোসেন ও সুরমা বেগম দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ে। বড় ছেলে শাকিব ও ছোট একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। অভাবের সংসারে শাকিবকেও বাবার সঙ্গে নদীতে মাছ শিকারে যেতে হতো। ইচ্ছা থাকলেও স্কুল কাছাকাছি না হওয়ায় পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত ছিল সে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল প্রতিষ্ঠার পর এখন অন্য শিশুদের সঙ্গে এখানে পড়াশোনা করছে শাকিব। সে বলে, ‘স্কুলে আওয়ার (আসার) আগে আব্বার লগে (সঙ্গে) নদীতে মাছ ধরতে যাইতাম। এহনো মাঝেমধ্যে যাই। তবে স্কুল খোলা থাকলে আর যাই না।
আব্বায়ই নেয় না, স্কুলে আইতে কয়। নদীতে মাছ ধরতে আমার ভালো লাগে না। স্কুলে পড়তে ভালো লাগে।’ কথাগুলো বলছিল চরবোরহান শুভসংঘ স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিব।
সে বলে, ‘পড়াশোনা করে বড় হইয়া আমি আর্মিতে (সেনাবাহিনী) চাকরি করমু। চাকরি করার পর আব্বারে আর মাছ ধরতে দিমু না। মাছ ধরায় অনেক কষ্ট। আমার ছোট বুইন, অরেও পড়ামু। আগে স্কুল ধারে আছিল না।
এহন আমাগো বাড়ির লগে স্কুল। স্কুলে জামা-প্যান্ট, জুতা, ব্যাগ, খাতা-কলম দেয়। কিছুই কেনা লাগে না।’