মিরাজের বাবা ফারুক হোসেন জেলে ও মা শাহিনুর বেগম গৃহিণী। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান মিরাজ। অভাবের সংসারে পরিবারের প্রধান বাবার পেশার সঙ্গেই কাজ করতে হতো মিরাজকে। এখন বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের নিয়মিত শিক্ষার্থী সে।
পড়াশোনা করার স্বপ্ন রয়েছে তার। মিরাজ বলে, ‘আমাগো বাড়ির লগে স্কুল হওয়ায় সুবিধা হইছে। এহন আর দূরের স্কুলে যাওন লাগে না। আমি আগে কোনো দিন স্কুলে যাই নাই।
আব্বার লগে মাছ ধরতাম। হেই বেইন্নাকালে নদীতে যাইতাম। নৌকায় ভাত খাইতাম। কোনো কোনো দিন দুপুরে আইতাম আবার কোনো দিন রাইতে।
অনেক কষ্ট লাগত। আমার অনেক পড়তে ইচ্ছা করে, কিন্তু আমরা তো গরিব মানুষ। বেশি লেহাপড়া কইরা কী করমু। তবে আমাগো বাড়ির লগে স্কুল হইছে। এহন লেহাপড়া কইরা গার্মেন্টে চাকরি করমু।
আমাগো গেরামের যত পোলামাইয়া জামাকাপড় গায় দিতে পারে না, হগুলডিরে জামাকাপড় কিন্না দিমু।’