রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্বরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে একে একে আসছে উড়ো চিঠি। বিভিন্ন নামে-বেনামে ছড়ানো হচ্ছে এসব চিঠি। আর এসব চিঠির সঙ্গে বিলি করা হচ্ছে হ্যান্ডবিল। যেখানে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের বিভিন্ন ‘অপকর্মের’ কথা ছাড়ানো হচ্ছে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, কোনো একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য শিক্ষকদের নামে এসব মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। আর যারা এসব করছে, তারা কখনোই বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষকদের মঙ্গল চায় না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষকদের নামে অন্তত ৩০টি চিঠি এসেছে। আর হ্যান্ডবিল বিতরণ করা হয়েছে কয়েক হাজার। এসব হ্যান্ডবিল ও উড়ো চিঠির অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বরত শিক্ষকদের নামে।যার মধ্যে রয়েছেন-বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার নাম। এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, হল প্রভোস্ট ও কর্মকর্তার নামেও ছাড়ানো হচ্ছে এসব উড়ো চিঠি।
উড়ো চিঠিগুলো পড়ে দেখা যায়, এগুলোর অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতি নিয়ে লেখা। নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন ধরনের অনৈতিকমূলক কথা উল্লেখ করা হচ্ছে এসব উড়ো চিঠি ও হ্যান্ডবিলে।
উড়ো চিঠির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ বলেন, আমার মনে হয় শিক্ষকদের মধ্যেই যারা বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সুযোগ সুবিধা নিতে পারছে না, তারাই এসব ছড়াচ্ছে। বর্তমান উপাচার্য দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনেক শিক্ষক ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন রকমের গুজব ছড়ানোর কাজে জড়িয়ে পড়ছে। এসব উড়ো চিঠির বিষয়ে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার কঠোর দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, যারা এসব কুরুচিপূর্ণ কর্মকাণ্ড করছে, তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে বলেছি। বিষয়গুলো তারা তদন্ত করছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন