রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে দুই জনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার ওই দু’জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রায়হান চৌধুরী (২৫) ও তার দুলাভাই রাশিকুল ইসলাম ওরফে পিন্টু (৩৮)।
রায়হান বাগমারা উপজেলার মহব্বতপুর এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। রাশিকুল ইসলাম কাটাখালীর দালালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম রজব আলী। ভুক্তভোগী ছাত্রীও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
এর আগে গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বধ্যভূমি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা করেন।
ওই ছাত্রী জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে হল থেকে রিকশায় করে বিভাগে যাচ্ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের সামনে যেতেই রায়হান জোরপূর্বক রিকশায় ওঠে। তিনি রিকশাচালককে বধ্যভূমিতে নিয়ে যেতে বলেন। বধ্যভূমিতে যাওয়ার পর তিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় রায়হান নিজের শরীরে কলম দিয়ে আঘাত করতে থাকে। পরে ছাত্রী ফোন করে বিষয়টি রায়হানের বাবাকে জানালে তিনি অফিসে রয়েছেন বলে ফোন কেটে দেন।
কিছুক্ষণ পরে রায়হানের দুলাভাই এসে মীমাংসার কথা বলে দু’জনকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যেতে চান। ওই ছাত্রী যেতে অস্বীকৃতি জানালে রায়হান তাকে মারধর করে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলতে চান। এ সময় ছাত্রীটি সাহায্যের জন্য চিৎকার করলে এক পথচারী বিষয়টি দেখতে পেয়ে মতিহার থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রায়হানসহ তার দুলাভাইকে আটক করে নিয়ে যায়।
রায়হানের ওই ছাত্রীর সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই ছাত্রী বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার কোনো বিশেষ সম্পর্ক নেই। বিভাগের বড় ভাই হিসেবে তার কাছ থেকে আমি নোট নিয়েছিলাম। আমি তাকে বড় ভাই হিসেবে দেখেছি। কিন্তু তিনি আমাকে অন্যভাবে দেখতেন।’
মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘অপহরণকালে দুই জনকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। ওইদিনই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেন। পরে তাদের আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন