ছাত্রলীগের কমিটিতে স্থান পাওয়া ‘বিতর্কিত’দের বহিষ্কার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ-সহ চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যে অনশনরতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনশনের দুই দিন পেরিয়ে গেলেও দাবি মানার আশ্বাস নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ তাদের সাথে যোগাযোগও করেনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে দেখা যায়, টানা এক মাস অবস্থান কর্মসূচি পালনের পর শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাজু ভাস্কর্যে আমরণ অনশনে বসেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া প্রায় ৩০ জন নেতা। অবস্থান কর্মসূচির সময় থেকে টাঙানোর প্যান্ডেলের নিচে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে আছেন তারা। এদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়া ৯ জনকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। অসুস্থ নেতারা হলেন সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক রানা হামিদ, সাবেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক আনন্দ সাহা পার্থ, সাবেক উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক উপ-কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক মুরাদ হায়দার টিপু, রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সজীব, সাবেক উপ-ত্রাণ সম্পাদক কৃষ্ণ মজুমদার, সাবেক সহ-সম্পাদক এস এম মামুন ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ। এর মধ্যে শেখ আব্দুল্লাহ এবং মুরাদ হায়দার টিপু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ায় রবিবার বিকেল ৫টার দিকে তাদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে, শনিবার দিবাগত রাত বা পরদিন সকালে অনশনরতদের সাথে দেখা করবেন বলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানালেও রবিবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি বা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কেউই অনশনরতদের সাথে দেখা করেননি। এ বিষয়ে আন্দোলনরতদের মুখপাত্র রাকিব হোসেন জানান, ‘তারা আমাদের অভিভাবক। কিন্তু দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকেও কেউ আমাদের সাথে দেখা করেনি। তারা আমাদের সাথে আলোচনা করে একটি সমাধানের ব্যবস্থা করা হোক।’
অনশনরতদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ, ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ শূন্য হওয়া ১৯ জন বিতর্কিত নেতার নাম ও পদের নাম প্রকাশ, কমিটির বিতর্কিত নেতাদের বহিষ্কার করে পদবঞ্চিতদের মধ্য থেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন এবং মধুর ক্যান্টিন ও টিএসসিতে হামলার সুষ্ঠু বিচার।
বিডি-প্রতিদিন/৩০ জুন, ২০১৯/মাহবুব