রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অভিযুক্ত শিক্ষকের অব্যাহতি চান শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুরে পরিচালক বরাবর অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে আইইআরের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।
ইনস্টিটিউটের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, এদিন আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অভিযোগের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান বিভিন্ন বর্ষের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগের পাশাপাশি অপছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেয়া, চেম্বারে ডেকে হয়রানি, ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যাচের গ্রুপের কথপোকথনের স্ক্রিণশট নিয়ে হয়রানির অভিযোগও খতিয়ে দেখতে অনুরোধ জানান। এছাড়াও আইইআরের তিন শিক্ষার্থী ওই শিক্ষকের একটি কোর্সের খাতা পুনর্মূল্যায়নেরও লিখিত আবেদন জানান।
আবেদনপত্র দুটিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, ‘আমরা চলমান ঘটনার প্রেক্ষিতে সঠিক তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীকে নিয়ে বর্তমান ও আগামী কোর্সসমূহের ক্লাস-পরীক্ষায় বৈষম্য ও যৌন হয়রানির মতো জঘন্য ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা করছি। এই মর্মে আমাদের চলমান ও আগামী কোর্স সমূহের সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর অব্যাহতি চাই।’
আইইআরের ৪টি বর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক নানাভাবে আমাদের হয়রানি করে। তার পছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেয়, অপছন্দের শিক্ষার্থীদের নম্বর কমিয়ে দেয়। তার ভয়ে আমরা মুখ খুলতে পারি না। ভবিষ্যতেও যে তিনি এমন করবেন না এর গ্যারান্টি কে দেবে? আমরা ওই শিক্ষকের সকল শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইইআরের পরিচালক অধ্যাপক আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে। ব্যস্ততার কারণে আজকে (সোমবার) মিটিংয়ে বসতে পারিনি, আগামীকাল বসবো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার