'অস্বচ্ছ' প্রক্রিয়া'র মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইতুল ইসলামের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বিকাল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজুভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নৈতিক স্খলনের কারণ দেখিয়ে তাদের পদত্যাগ চান।
রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিত ফুঁসে উঠে শিক্ষার্থীরা। যাতে দেখা যায়, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের আট নেতার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে চিরকুটের মাধ্যমে ভর্তিরও অভিযোগ করা হয়। অভিযুক্ত সবাই ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়া শেষ হওয়ায় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স প্রোগ্রামে তাঁরা ভর্তি হন। ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই কেবল ওই প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যায়। কিন্তু তাঁদের কেউই তাতে অংশ নেননি।'
মানববন্ধনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের নিয়ম হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হওয়া। কিন্তু প্রশাসন ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে অবৈধভাবে ছাত্রত্ব দিয়েছে। যাদের মধ্য থেকে ডাকসু ও হল সংসদে ৮ জন নির্বাচিত হয়েছে।
এ সময় চিরকুটের মাধ্যমে ভর্তি নেওয়ার জন্য তিনি ঢাবি উপাচার্য, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিনের নৈতিক স্খলনের কারণ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঢাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ১১ মার্চের ডাকসু নির্বাচনে শুধু ভোট কারচুপির মধ্য দিয়েই নয়, জালিয়াতির মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের ছাত্রত্বও দেখিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয় ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে, চিরকুটের মাধ্যমে নয়। তাই চিরকুট দিয়ে উপাচার্যের নৈতিক স্খলন ঘটেছে।
এ সময় ডাকসু সাহিত্য সম্পাদক প্রার্থী আকরাম হোসেন জালিয়াতির সাথে যুক্ত শিক্ষক এবং জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া সকল ছাত্রনেতাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান, জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া ছাত্রদের বহিষ্কার ও ডাকসুর পদগুলোকে শূন্য করে পুনরায় উপনির্বাচন দিতে হবে; ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নৈতিক স্খলনের দায়ে ব্যবসায়ী শিক্ষা অনুষদের ডিনকে পদত্যাগ করতে হবে; চিরকুটের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং ডাকসু সভাপতিকে পদত্যাগ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব