১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৭:৫৫

রাবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মধ্যে মারামারি, আহত ৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

রাবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মধ্যে মারামারি, আহত ৫

আবাসিক হলের অতিথি কক্ষে বসা নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলে এই ঘটনা ঘটে। 

আহতরা বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন একরাম হোসেন রিমন, মারুফ পারভেজ, জসিম ও লিমন। আহতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির কর্মী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগকর্মী কামরুলসহ দু'জন বসেছিলেন। এ সময় অমিত হাসান লিমন তার তিন বান্ধবিকে নিয়ে গেস্টরুমে যায়। সে  কামরুল ও তার বন্ধুকে গেস্টরুম থেকে চলে যেতে বলায় কামরুল ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং তুই তুকারি শুরু করে। লিমন এর প্রতিবাদ করায় কামরুল ও তার বন্ধু মিলে লিমনকে উপুর্যুপুরী মারধর করে। এতে লিমনের কপাল কেটে যায়। পরে লিমনকে তার বন্ধুরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এর পরপরই লিমন বিষয়টি ফোনে সাকিবুল হাসান বাকিকে জানায়।
 
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বাকির অনুসারী প্রায় অর্ধশত কর্মী মাদার বখশ্ হলে গিয়ে কামরুলের রুমের দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে এবং রুমের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে বর্তমান কমিটির দুই শতাধিক নেতাকর্মী হলের সামনে এসে অবস্থান নেন। এদের মধ্যে সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চ ল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত ও কামরুলসহ অন্য নেতাকর্মীরা সাকিবের অনুসারী পাঁচজনকে মারধর করে। এতে করে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত সম্মেলনের পর থেকেই আমার সঙ্গে যারা চলাফেরা করত, তাদেরকে নানা ধরনের অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকি আড়াই বছর ধরে আমাদেরকে কোন পদ দেয়নি। বরং আমার কর্মীদেরকে মারধর করেছে। তারা হলে থেকে যে ঠিকমতো পড়ালেখা চালিয়ে যাবে সেই অবস্থাও নেই।”

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমরা মারামারির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখানে কোন দল বা পক্ষের কাউকে মারধর করা হয়নি।” তিনি বলেন, “আমরা বসেছিলাম। পরিস্থিতি এখন শান্ত।”

মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.আব্দুল আলীম বলেন, “আমি আজকে ঢাকায় যাচ্ছি। যখন সিরাজগঞ্জে পৌঁছালাম, তখন জানতে পারলাম দু'জন ছেলে মারামারি করেছে। আর পরে এটা নিয়ে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়। পরে আমি প্রক্টর ও হলের অন্যদের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে বলি।”

তিনি আর বলেন, “ওই দুজনই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। ঢাকা থেকে ফিরে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে হল থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”


বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর