করোনাভাইরাসে গৃহবন্দী অনেকে ঘরে বসেই কিছু একটা করার কথা চেষ্টা করছেন। এসময়ে অনলাইন বিজনেসে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক নানা রকম ব্যবসায় অনেক শিক্ষার্থী হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। এরকম একজন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ছাত্রী যারীন শাইমা শ্যামা।
করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুবাধে অনলাইনে হয়ে উঠেছেন উদ্যোক্তা। চ্যালেঞ্জিং এই জায়গায় নারীরাও যে আর পিছিয়ে নেই তা আজ দৃশ্যমান।
যারীন শাইমা শ্যামার জন্ম রংপুরে। নাচ, গান, আবৃত্তি, বিতর্ক, অভিনয়, হস্ত শিল্প বা কারুকার্য তৈরিতে বেশ দক্ষ তিনি। তার রঙ তুলিতে আঁকা ছবিগুলো দেখলে অনেকের মনে হবে বাস্তব কোন দৃশ্য। আর আররি অক্ষরে করা ক্যালিগ্রাফিগুলো দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে যে কোন ব্যক্তিরই।
ছোটবেলার মনের ভেতর সুপ্ত থাকা আঁকাআঁকি নিয়ে কিছু করার প্রয়াসে দাদার নামে ইয়াসিন আর্টস এন্ড ক্যালিগ্রাফি নামে একটি ফেসবুকে গ্রুপ ও পেজ খুলেন। এরপর সেই গ্রুপে নিজের আঁকা চিত্রকর্ম ও ক্যালিগ্রাফি পোস্ট দিয়ে শুরু করেন অনলাইন বিজনেস। এতে অর্ডার করার সুযোগ থাকায় ক্রেতা যেমন বাড়ছে, তেমনি মনের সুপ্ত বাসনা পূরনের লক্ষ্যও এগিয়ে যাচ্ছে যারীন শাইমা শ্যামা।
যারীন শাইমা শ্যামা জানান, গত ২৫ জুন হঠাৎ করে পেজটা খোলা হয়। ভয়ে ছিলাম। যদি সাড়া না পাই বা শিল্পটার মূল্য দিবে কিনা। পেজটা খোলার দুই দিনের মাথায় ফার্স্ট অর্ডার পাই আমার স্কুলের প্রিয় একজন শিক্ষক আর বান্ধবী সঞ্চিতার কাছ থেকে। স্যার একটা ক্যালিগ্রাফি ও দুইটা আর্ট অর্ডার করেন আর আমার বান্ধবীও ক্যালিগ্রাফি অর্ডার করেছিলো। এক সপ্তাহ পর ডেলিভারিও করে আসি। এর মাঝে আরো দুটি অর্ডার পাই। এখন পর্যন্ত ১৫টি অর্ডার পেয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা