বর্তমান যুগ ব্যবসা-বাণিজ্যের যুগ আর প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে নিজেকে ভালো অবস্থানে রাখার জন্য বিবিএ ডিগ্রির কোনো তুলনা নেই। যারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন তারাই বিবিএ পড়েন। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়েও অনেকে বিবিএ পড়তে আসেন।
বাংলাদেশে বিবিএ-জোয়ারটা শুরু হয়েছে মূলত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) হাত ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও আইবিএর সাবেক পরিচালক শিক্ষাবিদ ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান ১৯৯১ সালে আইইউবিএটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯২ সালে ড. এম আলিমউল্যা মিয়ানের তত্ত্বাবধানে আইইউবিএটিতে প্রথম বিবিএ প্রোগ্রাম চালু করা হয়। শুরু থেকেই সুনামের সঙ্গে চাকরির বাজারে নিজেদের দক্ষতা ধরে রেখেছে আইইউবিএটি’র বিবিএ গ্র্যাজুয়েটরা। আইইউবিএটির সার্বিক লক্ষ্য হচ্ছে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। শুরু থেকেই ব্যবসায় প্রশাসনে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা এতে ক্লাস নেন।
আইইউবিএটি বাংলাদেশে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মডার্ন লিভিং নামে একটি বিশেষ কোর্স পড়ানো হয়। বিবিএর শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমানোর লক্ষ্যে প্রথম সেমিস্টার থেকেই দুজন বিদেশি অধ্যাপকের পরিচালনায় এই কোর্সটিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আইইউবিএটির বিবিএ শিক্ষার্থীদের এসপিএসএস ও অ্যাডোবি ফটোশপ কোর্স দুটি করানো হয়।
ফলে শিক্ষার্থীরা রিসার্চ কিংবা পরিসংখ্যানসহ বিজনেসের প্রতিদিনকার ব্যাবহারিক নানা বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োগ করতে পারে। নর্থ আমেরিকার শিক্ষাব্যবস্থার মতো করে আইইউবিএটির বিবিএ কোর্স কারিকুলাম সাজানো হয়েছে। আর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এখানকার বিবিএ প্রোগ্রামের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের প্রায় সবারই বিদেশি ডিগ্রি আছে।
আইইউবিএটি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের গবেষণার মান ও সংখ্যার প্রতি গুরুত্ব দেয়। একজন মেধাবী শিক্ষকই শুধু পাঠদানের মাধ্যমে মানসম্মত গ্র্যাজুয়েট বানাতে পারেন। তাই শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয়টি কোয়ালিটিতে কোনো ছাড় দেয় না।
শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরনের পেশা বিষয়ক কর্মশালা,সেমিনার ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আইইউবিএটির ‘অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস । তাই পাশ করার পরপরই আইইউবিএটির স্নাতকদের চাকরিতে প্রবেশ করা সহজ হয়ে যায়।
আইইউবিএটির অ্যালামনাই এবং প্লেসমেন্ট অফিস থেকে অ্যালামনাই এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্কের সেতু তৈরি করে দেওয়া হয়।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন,বৃহৎ আঙ্গিকে ক্যারিয়ার সেমিনার ও ক্যারিয়ার ফেয়ারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ পেশার আদ্যোপান্ত ধারণা দেওয়া হয়।
শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ইউরোপ,আমেরিকা,এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আইইউবিএটির সমঝোতা চুক্তি রয়েছে।এই সমঝোতা চুক্তির ফলে গবেষণা কার্যক্রম এবং স্বল্পমেয়াদী শিক্ষার্থী-ক্যাম্প পরিচালনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময় করা হয়।
দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথিকৃৎ আইইউবিএটি করোনাকালীন অনলাইন ক্লাসেও সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। করোনার বৈশ্বিক মহামারীর কারণে সরাসরি ক্লাস নিতে না পারলেও তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল সময়ে বাসায় বসেও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের স্বাদ পাচ্ছে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে।
আইইউবিএটি ‘প্রত্যয়: যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা—প্রয়োজনে মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন।এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০% পর্যন্ত মেধা বৃত্তি।মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫% স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৯০টি বৃত্তি দেয়া হয়।
করোনা মহামারিতে নতুন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দেশের অন্যতম এই বিশ্ববিদ্যালয়। ‘ফল সেমিস্টারে’ ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফির ওপর শতকরা ৭৫ ভাগ এবং টিউশন ফির ওপর শতকরা ১৫ ভাগ ফি কমানোর ঘোষণা দিয়েছে আইইউবিএটি। এছাড়াও মেধাবী তবে অসচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন।মোট কথা এখানে পড়াশোনা করার জন্য অধিকাংশ শিক্ষার্থীই আর্থিক সহযোগিতা পাচ্ছেন।
আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ,শহীদ মিনারসহ শিক্ষার্থীদের জন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষার্থীদের আনা নেয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে নিজস্ব বাস চলাচল করে এর জন্য শিক্ষার্থীদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না।
আইইউবিএটি স্রেফ একটি ভবন নয়। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সব সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটি পূর্ণাঙ্গ ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’।তাই ছাত্রছাত্রীরা এখানে পা রেখে শুধু বুকভরা নিশ্বাসই নয়, উদ্যম আর আত্মবিশ্বাসও গ্রহণের সুযোগ পান।
আইইউবিএটি সম্পর্কে আরও জানতে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরা মডেল টাউন (আশুলিয়া অভিমুখী হাইওয়ে) সেক্টর ১০,উত্তরা ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিশাল সবুজ ক্যাম্পাস। আইইউবিএটির ওয়েবসাইট www.iubat.edu -এ যাবতীয় তথ্য দেওয়া আছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর