তিতুমীর কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম জানান, আমাদের তৃতীয় বর্ষের আটটি পরীক্ষার মধ্যে চারটি বাকি আছে। আর চতুর্থ বর্ষের একটি। এমন অবস্থায় পরীক্ষা বাতিল করার কী কারণ আছে? এটা একেবারেই অযৌক্তিক দাবি। আমাদের আর কোনো দাবি নাই। আমরা শুধু চাই, আমাদের পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেওয়া হোক।
আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানান, আর্থিক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমরা শুধু পরীক্ষার জন্য মেস ভাড়া নিয়ে ঢাকা থাকছি। পরীক্ষাও শেষ পর্যায়ে। এমন অবস্থায় স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আমাদের বিপদে ফেলেছে। এখন কি আমরা আবার বাড়িতে ফিরে যাব? ঢাকায় মেস পাওয়া কত কঠিন এটা প্রশাসনকে কে বোঝাবে? তাছাড়া অনার্স শেষ করার জন্য আর কত দিন অপেক্ষা করবো?
সাত কলেজের চলমান পরীক্ষাসহ সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিতের প্রতিবাদে বুধবার সকাল ৯টা থেকে নিউ মার্কেট-সায়েন্স ল্যাব রাস্তায় অবস্থান যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এদিকে, নীলক্ষেতের রাস্তায় কঠোর অবস্থানে পুলিশ।
রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নিউ মার্কেট ঢাকা শহরের একটি ব্যস্ত জায়গা। শিক্ষার্থীরা দীর্ঘক্ষণ এটা অবরোধ করে রেখেছে। ইতোমধ্যে তাদের অধ্যক্ষবৃন্দ এসে জানিয়েছেন, তারা বৈঠক করে একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনই তা জানতে চান। আমরা তাদের কিছু সময় দিয়েছি। এর মধ্যে তাদের উঠে যেতে অনুরোধ করছি। যদি তারা না উঠে তাহলে প্রয়োজনে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শক্তি প্রয়োগ করে সরিয়ে দেব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন