দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ‘ব্রেইল থেকে বাংলা টেক্সট’-এ রূপান্তর করার একটি প্রোটোটাইপ সফটওয়্যার উদ্বোধন করা হয়েছে। অন্য ভাষায় ‘ব্রেইল থেকে টেক্সট’-এ রূপান্তরের সফটওয়্যার থাকলেও বাংলা টেক্সট-এ রূপান্তরের এটিই প্রথম সফটওয়্যার।
বুধবার অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শোয়াইব-এর নেতৃত্বে একদল গবেষক এই সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবীর প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ অতিথিদের সামনে সফটওয়্যারটির ব্যবহার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন।
মূলত, ব্রেইল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষদের লেখা ও পড়ার একটি পদ্ধতি। বিশেষ ধরনের শক্ত কাগজে ছয়টি ছিদ্রের মাধ্যমের এ পদ্ধতির সংকেতগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়। ছিদ্রগুলোর উপর আঙ্গুল স্পর্শ করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এ লেখা পড়তে সক্ষম হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার দিয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে লিখিত কোনো লেখা স্ক্যান করে সাধারণ মানুষের পঠনোপযোগী ভাষায় রূপান্তর করা যাবে। এটি একটি ডেস্কটপ সফটওয়্যার। তবে ভবিষ্যতে এর স্মার্টফোন ভার্সন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্ভাবক দল।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই সফট্ওয়্যার উদ্ভাবনের জন্য গবেষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই সফট্ওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিভার বিকাশ ও সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ড সকলের কাছে পৌঁছাতে পারবে। গবেষণা ও উদ্ভাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বিনির্মাণে এই সফট্ওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা