২ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:২৫

ছাত্রদলের উপর হামলা: ঢাবি প্রশাসনকে ব্যর্থ বলল সাদা দল

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ছাত্রদলের উপর হামলা: ঢাবি প্রশাসনকে ব্যর্থ বলল সাদা দল

উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। তারা বলেছেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সেই দায়িত্ব পালন করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।

রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা এ প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সাদা দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান খান প্রমুখ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির নেতাকর্মীদের উপাচার্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। বিকেলে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালান। 

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম যে, উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের সাক্ষাৎ কর্মসূচি নিরাপদ ও নির্বঘ্ন করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ও যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের সেই দায়িত্ব পালন করেনি। 

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এ ব্যর্থতার কারণে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের দুষ্কৃতকারীদের হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত ও আহত হয়েছেন এবং হাসপাতালে আছেন। আমরা এ হামলার প্রতিবাদ, নিন্দা এবং জড়িতদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদদ ছিল কিনা- এনিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রশাসনের উদাসীনতায় ছাত্ররা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেখানে হলে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই পান না, সেখানে ছাত্রনেতা নামধারী অছাত্র কীভাবে একটি হলে ফ্রিজ ও এসি লাগিয়ে বাস করছেন? 

সংবাদ সম্মেলনে সাদা দলের শিক্ষকরা চার দফা দাবি জানান। দাবির মধ্যে রয়েছে- ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া, ২৭ সেপ্টেম্বরের হামলায় ছাত্রদলের আহত নেতাকর্মীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া, ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং ক্যাম্পাস ও হলে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ সব দল-মতের সহাবস্থান ও নির্বিঘ্নে কর্মসূচি পালনের নিশ্চয়তা বিধান করা।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর