রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, দায়িত্বে অবহেলায়
গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারের (২৩) মৃত্যু, হামলা, হত্যাচেষ্টা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন হাজারো শিক্ষার্থী।এ সময় নয় দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
দাবিগুলো হলো-শাহরিয়ারের চিকিৎসা অবহেলা ও মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে সহপাঠীদের উপর নৃশংস হামলা, হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং আনসারদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও তদন্তের মাধ্যমে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা, এ ঘটনার প্রত্যক্ষ মদদদাতা রামেকের পরিচালক শামীম ইয়াজদানীর অপসারণ, হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও জরুরি মুহূর্তে ফর্মালিটিজের নামে হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সাথে যোগসাজশ বন্ধ করা, ডাক্তার ও ওয়ার্ডবয়দের দোষ উভয়ের উপর চাপিযে নিস্তার পাওয়ার মতো বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলা, সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার বেশামাল-অনাকাঙ্খিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, ইন্টার্ন ডাক্তারদের স্বেচ্ছাচারীতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও আক্রমণের বদোভ্যাস পরিহার করা, জরুরি বিভাগে নার্স ও ওয়ার্ডবয় দিয়ে প্রক্সি দেয়া বন্ধ করে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করা, আইসিইউ ব্যবস্থা সহজ করা, অনতিবিলম্বে রাবি প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, যে ছুরি গুরুতর আহত ছাত্র গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ারের চিকিৎসায় ব্যবহারের কথা ছিল, সেটা না করে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হত্যার উদ্দেশ্যে রোগীর সাথে থাকা সহপাঠীদের উপর চিকিৎসার ছুরি-কাচি দিয়ে হামলা করেছে মেডিকেলের বর্বর ইন্টার্ন, স্টাফ ও সংশ্লিষ্টরা। আহতরা আজ বিভিন্ন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। শুধুমাত্র চিকিৎসার অবহেলার জন্য আজ এই পরিস্থিতি হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় মেডিকেল কর্তৃপক্ষ উল্টো আমাদেরই তিনশো শিক্ষার্থী নামে মামলা করেছে। এটা নিঃসন্দেহে হঠকারীতা। তাই সেদিনের ঘটনায় মেডিকেল সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি অপসারণের জোর দাবি জানাই।’
মানববন্ধন শেষে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় কর্মসূচিতে রাবির প্রায় হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ক্যাম্পাসের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক সংগঠনগুলো সংহতি জানিয়ে এই আন্দোলনে অংশ নেয়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন