গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের আত্মপ্রকাশ এবং সময়োপযোগী ও উদ্ভাবনী গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ‘নলেজ-ইকোনমি’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকাশনা মেলা শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মত আয়োজিত এ মেলা রবিবার বিকালে পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কবিতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজন, রচনা প্রতিযোগিতায় তিন ক্যাটাগরিতে নয়জন এবং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় দুই ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ আর পাঁচজনকে সম্মানসূচক পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়াও শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার ২৪ জন শ্রেষ্ঠ আর্টিকেল লেখককে পুরস্কৃত করা হয়। একইসঙ্গে প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টারের পোস্টারসমূহ থেকে নির্বাচিত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান পুরস্কারপ্রাপ্তদের সনদ, ক্রেস্ট ও প্রাইজ-মানি তুলে দেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরি এবং নতুন শতকে বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই মেলা আয়োজনের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে সকালে জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, আর্থ এন্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ এবং চারুকলা অনুষদের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্ত বিভাগগুলোর এবং ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রসমূহের পরিচিতি, গবেষণা ও ভবিষ্যত রূপরেখা তুলে ধরা হয়।
দুই দিনব্যাপী মেলায় বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, প্রকাশনা সংস্থা ও গবেষণা কেন্দ্রের শতাধিক স্টল স্থান পায়। এসব স্টলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা ও উদ্ভাবনসহ ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার এবং ৮৬টি ফ্লাইয়ার বা ব্রুশিয়ার প্রদর্শন করা হয়।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল