ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী সাউথ এশিয়ান একাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার ও সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটে (আইবিএ) দুই দিনব্যাপী এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
সাউথ এশিয়ান ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউশন ইন সাউথ এশিয়া (এএমডিআইএসএ)-এর সাধারণ অধিবেশনের অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রথম দিনের আলোচ্য বিষয় ছিল-‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে ব্যবসায় কারিকুলামের পুনর্মূল্যায়ন, টেকসই উন্নয়নের নীতিমালা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থানান্তর (রি-থিংকিং বিজনেস কারিকুলাম ইন দ্য কনটেক্সট অব ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যলুশন, সাসটেইনঅ্যাবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্লোবাল ইকোনোমিক শিফট)। দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান দেশগুলোর শিক্ষাবিদ ছাড়াও অনুষ্ঠানে এমঅ্যান্ডএস, এডিসন গ্রুপ, বিডিজবস, বার্জার ইউনিলিভারসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শিল্প বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিনের সংলাপের আলোচ্যসূচি ছিল ‘ম্যাপিং সাউথ এশিয়ান এজেন্ডা ফর একাডেমিক কোলাবোরেশন অ্যান্ড লিডারশিপ ইন বিজনেস এডুকেশন’। সংলাপের প্রথম দিন প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সাউথ এশিয়ান একাডেমিক লিডারশিপ ডায়ালগের সভাপতি অধ্যাপক শেখ মোরশেদ জাহানের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।
সংলাপে বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে প্রোগ্রাম বিনিময়ের কথা বলা হয়, যেখানে এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অন্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন এবং ক্লাস নেবেন। একইভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করার কথা বলা হয়। তারা বলেন, ‘গবেষণা সংস্কৃতির অভাবই অধিক কার্যক্ষম এবং অর্থপূর্ণ গবেষণা না থাকার প্রধান কারণ’। শুধুমাত্র একক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর না করে প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেস স্টাডি এবং আন্তঃদেশীয় গবেষণা পরিচালনায় গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই