২ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৪৪

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাবি শিক্ষক জনির অপসারণ দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাবি শিক্ষক জনির অপসারণ দাবি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সহকারী প্রক্টর ও পাবলিক হেল্থ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনিকে সব ধরনের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত ও অপসারণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষকদের একাংশ। সেইসাথে অভিযোগ তদন্তে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠনের জন্য ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সংক্ষুব্ধ  শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনটি দাবি পেশ করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আনিছা পারভীন জলি। তিনি বলেন, 'আগামী ৮ ডিসেম্বরের সিন্ডিকেটে স্ট্রাকচারাল কমিটি গঠন করতে হবে। প্রাথমিক সত্যতা থাকায় অভিযুক্ত জনিকে সকল পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।'

এসময়, লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মানস চৌধুরী বলেন, 'সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে গুরুত্ববহ দুটি অভিযোগ হলো শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টরের পদ ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ছাত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব বিস্তার করা। অন্য অভিযোগটি হলো আরেক ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ও তাকে গর্ভপাত ঘটাতে বাধ্য করা।'

তিনি আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী এগুলো নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণজনিত অপরাধ। এসব ঘটনার সত্যতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বেশ কিছু ছবি, স্ক্রীনশট এবং অডিও ক্লিপের মাধ্যমে।'

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, 'এতোসব মারাত্মক অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত সত্ত্বেও মাহমুদুর রহমান জনির সহকারী প্রক্টর পদে বহাল থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে।'

এসময়, আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমতির সদস্য অধ্যাপক সোহলে রানা, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান চয়ন প্রমুখ।

এদিকে, বৃহস্পতিবার (০১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর অভিযোগের আশু তদন্তের আহ্বান জানিয়ে আবেদন করেছেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। এতে একটি গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে মাহমুদুর রহমান জনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'এসব তথ্য মিথ্যা ও বানোয়াট। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সাথে পরামর্শ করেছি অচিরেই এদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর