২৯ মার্চ, ২০২৩ ০৪:১৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের হুমকি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধের হুমকি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মকর্তারা নিয়োগ ও পদোন্নতি সংক্রান্ত চার দফা দাবি জানিয়েছেন। আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে এসব দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তী ২ এপ্রিল হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিসে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধকরণসহ অবস্থান ধর্মঘট পালন করার হুমকি দিয়েছেন তারা। তবে অবরোধ চলাকালে জরুরি অফিস সমূহে সীমিত সংখ্যক অফিসার উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজীম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল্লাহ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তাদের দাবিগুলো হলো- গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত অফিসার নিয়োগ ও পদোন্নতির নীতিমালা বাতিল করে ২০১৯ সালের ১৮ জুন তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত নীতিমালা অনুযায়ী পদোন্নতির কার্যক্রম চালু রাখতে হবে; অফিসার নিয়োগ ও পদোন্নতির বর্তমান রিভিউ কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে এবং এ কমিটিতে অফিসার সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন-২) এ বি এম কামরুজ্জামানকে রেজিস্ট্রার অফিস থেকে অন্যত্র বদলি করতে হবে: সকল অফিসে ভারপ্রাপ্ত অফিস প্রধানদেরকে স্থায়ীকরণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত ৩১১তম সিন্ডিকেট সভায় এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি বিষয়ক পূর্বের নীতিমালার আলোচ্য সূচি নং ৭ এর শেষ অনুচ্ছেদটি বাতিল করে নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা-২০২৩ অনুমোদন দেয়া হয়। এতে এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি পাওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রার অফিসের পাঁচটি শাখাকে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়।

নতুন নীতিমালা অনুসারে, রেজিস্ট্রার অফিসের প্রশাসন-১ শাখা, প্রশাসন-২ শাখা, টিচিং শাখা, শিক্ষা শাখা এবং উচ্চশিক্ষা ও বৃত্তি শাখায় ১টি করে মোট ৫ টি পদে নীতিমালায় বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতি দেয়া যাবে। রেজিস্ট্রার অফিসে ব্যতীত অন্য কোন অফিস, বিভাগ ও হলে এডিশনাল রেজিস্ট্রার/ সমমানের পদে কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ/পদোন্নতি না দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে একাধিক ডেপুটি রেজিস্ট্রার জানান, রেজিস্ট্রার অফিসের কয়েকজন নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে সুবিধা দিতেই এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রেজিস্ট্রার অফিসের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অফিসে ডেপুটি রেজিস্ট্রার সমমানের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে এডিশনাল রেজিস্ট্রার পদে পদোন্নতিতে সবারই সমান সুযোগ রাখা দরকার ছিল বলে জানান তারা। সেটি না করে প্রশাসন শুধুমাত্র রেজিস্ট্রার অফিসের অভ্যন্তরীণ পাঁচটি শাখায় কর্মরত ডেপুটি রেজিস্ট্রারদেরই পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুযোগ দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জাবি অফিসার সমিতির সভাপতি আজীম উদ্দীন বলেন, 'এই নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ববিরোধী। এই নীতিমালা পরিবর্তনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিভিউ কমিটি ছিল। তারা আমাদের দাবির সাথে সমন্বয় করে আগের নীতিমালার সাথে কিছু যুক্ত করার কথা ছিলো। কিন্তু রিভিউ কমিটির প্রস্তাবনা অগ্রাহ্য করে সিন্ডিকেটে ভিন্ন রকমের নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। যার কারণে কর্মকর্তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলমকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর