জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ইতিহাস বিভাগের ৩৯ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার ও মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, শামীম হত্যাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তদন্তে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন-সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের রাজু আহাম্মদ, ইতিহাস বিভাগের ৪৪ ব্যাচের জুবায়ের আহমেদ, ইংরেজি বিভাগের ৫০ ব্যাচের মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান, একই বিভাগের ৪৯ ব্যাচের হামিদুল্লাহ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার সমন্বয়ক আহসান লাবীব।
তাদের সবাইকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ-২০১৮ এর ৩(২)(গ) ধারা অনুযায়ী এ শাস্তি দেওয়া হয়। এ আদেশ অদ্য ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
বহিষ্কৃতদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলাও করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান। মামলায় অজ্ঞাতনামা হামলাকারী সাবেক শিক্ষার্থীরাও থাকবে বলে জানান তিনি।
এসময়, শামীম হত্যাসহ সাম্প্রতিক ঘটনাবলী তদন্তে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছেন উপাচার্য।
এর মধ্যে শামীম মোল্লাকে গণপিটুনি ও মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাধীন সেনকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের, গত ১৫ ও ১৭ জুলাই কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জাবিতে সংঘটিত হামলার ঘটনা তদন্তে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালির সভাপতিত্বে ৭ সদস্যের এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহেদী ইকবালের বাসায় হামলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনা তদন্তে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সালামকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তিনটি কমিটিকে আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই