রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কোনও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। তবে ছাত্র সংসদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি দেখা হবে।
সোমবার সিন্ডিকেটের সভাশেষে সাংবাদিকদের এমন কথা বলেছেন বেরোবি’র ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। কিন্তু সংসদে বেরোবিব ছাত্র সংসদ আইন পাস না হওয়ায় ছাত্র সংসদের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। ছাত্র সংসদ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি আদায় করা হচ্ছে। তবে উপচার্য বলেছেন, খুব দ্রুত নীতিমালা পাস করে ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়া হবে। ছাত্র সংসদের মাধ্যমেই ছাত্রদের সমস্যার বিষয়গুলো দেখা হবে।
জানা গেছে, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ ফি বাবদ দুইশ’ টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। অথচ এ বিষয়ে কোনও আইন নেই। কর্তৃপক্ষের দাবি, শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই এ টাকা খরচ করা হয়।
শিক্ষাথীরা বলছেন, সেশনজট, আবাসন সংকট ও পরিবহন সংকটসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা। এ অবস্থায় দ্রুত ছাত্র সংসদে নির্বাচনের দাবি তাদের। তাছাড়া ছাত্র সংসদ নির্বাচন সময় সাপেক্ষ বলেও মনে করেন তারা। ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদের কোনও বিধান রাখা হয়নি। যার কারণে নির্বাচন করতে হলে প্রথমে ছাত্র সংসদ আইনের খসড়া একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে পাস করে তা অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠাতে হবে। বিধানটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে সংযুক্ত হলে তারপরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে। আইনগত জটিলতায় আপতত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
একধিক শিক্ষক জানান, বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্র সংসদের বিধান নেই। তাই আইন সংশোধন বা বিধান সংযুক্ত করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশাসন কজ করতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/একেএ