শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার গৌতম চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে বাকি খেয়ে তা এখনও পরিশোধ না করার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় তিনি হলের ডাইনিং থেকে বাকি খেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাকরি পাওয়ার আগে ছাত্রনেতা থাকা অবস্থায় প্রায়শই হলের ডাইনিং ও দোকানগুলোতে বাকি খেতেন গৌতম। তার বাকির খাতা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়- ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলের ডাইনিংয়ে বাকি খেয়েছেন মোট ২৩ হাজার ৮৫০ টাকা। তবে তা এখনও পরিশোধ করেননি। ডাইনিং এ কর্মরত স্টাফদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গৌতম ডাইনিং স্টাফদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করতো। সে প্রায়ই বাকি খেত।
এর আগে, হলটির ক্যান্টিনের বাকির বিষয়টি সামনে আসলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। যার অধিকাংশই ছিলো ছাত্রলীগ নেতাদের নামে। তবে সেই বাকি সামনে আসার পর অনেকে পরিশোধ করলেও এখনো হলের ডাইনিংয়ের বাকি পরিশোধ করেননি সেকশন অফিসার গৌতম।
এছাড়াও ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড প্যারাসাইটলজি বিভাগের শিক্ষক ড. এমএ মান্নানকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে এই সেকশন অফিসারের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে গৌতম চন্দ্র রায় বলেন, হলের ডাইনিংয়ে আমি খুবই কম খেয়েছি। পলিটিক্সে এ যাওয়ার পর আমি ডাইনিংয়ে খাইনি বললেই চলে, সবসময় বাইরে খেয়েছি বা রুমে রান্না করে খেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে সম্পুর্ণ মিথ্যা অভিযোগ এটি।
তিনি আরও জানান, এতো বেশি পরিমান বাকি থাকলে ডাইনিং ম্যানেজার অবশ্যই আমার সাথে যোগাযোগ করতো। এতো বাকি থাকার প্রশ্নই আসে না। দুই-একদিন বাকি খেতে পারি কিন্তু এতো টাকার বাকি আমার কখনই ছিলো না। আমার রুমমেট, গেস্ট কেউ কখনই আমার নামে বাকি খায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ