১৭ মে, ২০২২ ২০:০২

বিশ্বনাথে বাড়ছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি

বিশ্বনাথে বাড়ছে পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বিশ্বনাথে বাড়ছে পানি।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। গত দুই দিনে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। প্রথমে সুরমা নদী উপচে উপজেলার লামাকাজি ও খাজাঞ্চীতে পানি প্রবেশ করে। প্লাবিত হয় অনেক বাড়িঘর, হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তলিয়ে গেছে কয়েকটি রাস্তা, ধানি জমি, আউশ ধানের বীজতলা আর সবজি ক্ষেত। নদীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসব এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলার মানুষ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে উপজেলার লামাকাজি ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। লামাকাজির মির্জারগাঁও, মাহতাবপুর, মাধবপুর, শাহপুর, সাবেহ নগর, শাখারীকোনা, মাখর ঘাঁও, আকিলপুর, রসুলপুর, হাজারীগাঁও, তিলকপুুর, সৎপুর ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর, চরগাঁও, তেঘরী, মুছেধর, তবলপুর, রহিমপুর, এনায়েতপুর, অষ্টগ্রাম, মাইজলামাল, হোসেনপুর, কিশোরপুর, ইসলামপুর, রঘুপুর ও বন্ধুয়া এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।

প্লাবিত হয়েছে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাটবাজার ও রাস্তাঘাট। বিধ্বস্ত হয়েছে গ্রামের বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি। পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওইসব এলাকার মানুষ।

খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামের আবু আবদুল্লাহ বলেন, গেল দুই দিন ধরে আমরা পানিবন্দী। গ্রামের অনেকের ঘরে ইতিমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। গবাদি পশু ও বোরো মৌসুমের কাটা ধান নিয়ে অনেকেই চরম বিপাকে পড়েছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, ইতিমধ্যে পানিতে প্রায় ৫ হেক্টর বোরা ফসলি জমি, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বাীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক নুসরাত জাহান ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যে ত্রাণ (চাল) সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর