গেল প্রায় একসপ্তাহ ধরে সিলেটে চলছে টানা বর্ষণ। অতিবৃষ্টিতে ধস শুরু হয়েছে পাহাড় ও টিলায়। সিলেট নগরীর টিলাগড়স্থ ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজের ঐতিহাসিক থ্যাকারের টিলায়ও ধস শুরু হয়েছে। গত শনিবার থেকে টিলার মাটি ধসে পড়া শুরু হয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এমসি কলেজের অধ্যক্ষের শতবর্ষের পুরনো বাংলোটি।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে বাঁশ পুঁতে টিলা ধস ঠেকানোর চেষ্টা করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, এমসি কলেজের বিশাল ক্যাম্পাসের পুরোটাই টিলার উপর। ছোটবড় টিলার উপর দাঁড়িয়ে আছে কলেজের বিভিন্ন অনুষদের একাডেমিক ভবন ও অফিস। কলেজের পেছনে বিশাল টিলার উপর রয়েছে অধ্যক্ষের বাংলো। ২০৫ বছর আগে ১৭৭২ সালে এই টিলায় তৎকালীন ব্রিটিশ ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরেট উইলিয়াম মেইকপেস থ্যাকারের অফিস ছিল এই টিলার উপর। সেই থেকে এই টিলাটি থ্যাকারের টিলা হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে ১৯২১ সালে ওই টিলায় নির্মাণ করা হয় এমসি কলেজের অধ্যক্ষের বাংলো।
অতিবৃষ্টির ফলে গত শনিবার দুপুর থেকে হঠাৎ করে টিলায় ধস নামে। টিলার প্রায় ১০০ ফুট অংশ ধসে গাছপালাসহ নিচে পড়ে যায়। খবর পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বাঁশ পুতে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চালান।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সালেহ আহমদ জানান, এই টিলাটি শুধু কলেজের ইতিহাসের সাথে জড়িত নয়। এর সাথে জড়িয়ে রয়েছে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। তাই টিলাটি রক্ষা খুবই জরুরি। আপাতত বাঁশ পুতে টিলার ধস ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। টিলা ধস ঠেকানো না গেলে অধ্যক্ষের বাংলোও ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমদ ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিমসহ একটি দল টিলা ধস পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা মনে করছেন টিলা ধস ঠেকাতে হলে শক্ত পাইলিংসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন