২৪ জুন, ২০২২ ২০:৫৯

বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমছে না মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

বন্যার পানি কমলেও দুর্ভোগ কমছে না মানুষের

সিলেটে সকল নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতিরও উন্নতি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার থেকে কুশিয়ারা তীরবর্তী ৬ উপজেলার কোথাও উন্নতি ও কোথাও অবস্থা অপরিবর্তিত ছিল। সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদীর তীরবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। তবে বন্যার পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ কমছে না।

সিলেটের কুশিয়ারা তীরবর্তী জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর পানি কিছুটা কমলেও লোকালয়ে প্রবেশ করা পানি আগের মতোই রয়েছে। তবে গোলাপগঞ্জ, ওসমানীনগর ও দক্ষিণ সুরমায় পানি কিছুটা কমেছে। সুরমা, ধলাই, পিয়াইন, লোভা ও সারি নদীর তীরবর্তী কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট সদর, বিশ্বনাথ ও জৈন্তাপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে।

ফলে এসব উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠা বন্যার্তদের অনেকেই বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। তবে বাড়ি ফিরে তারা পড়েছেন আরেক যুদ্ধে। বন্যায় প্লাবিত ঘরবাড়ি মেরামত নিয়ে তারা পড়েছেন বিপাকে। এখনো অনেক দুর্গম এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় সেসব এলাকায় বন্যাকবলিত লোকজনের মধ্যে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার চলছে। নৌকার অপর্যাপ্ততার জন্য অনেক স্থানে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না। যারা ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছেন তারা নৌকায় করে দুর্গম এলাকায় যেতে না পেরে মূল সড়কের পাশের এলাকাগুলোতে ত্রাণ দিয়ে চলে আসছেন।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, এবারের বন্যায় ২২ হাজার ১৫০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে জেলায় ১৪১২ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ১৩ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর