চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেছেন, ‘গ্লুকোমা চোখের নীরব ঘাতক, মারাত্মক দৃষ্টিনাশী। নীরবেই চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বলা হয়। গগ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। যাঁরা চল্লিশোর্ধ্ব তাদের প্রত্যেকেরই উচিত চোখের যে কোনো ধরনের উপসর্গের সুচিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।’
বুধবার সকালে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘আসুন চোখের গ্লুকোমা রোগ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করি’ শীর্ষক শ্লোগানে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণিল র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিও এর পরিচালক প্রফেসর ডা. খুরশীদ আলম, আইসিও এর অধ্যপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, ডা. জেসমিন আহমেদ, ডা. মর্তুজা নুর উদ্দিন, ডা. সাজ্জাদ হোসেন খান, ডা. সামস মো. নোমান, ডা. রাজীব হোসেন, ডা. মো. ফিরোজ খান, ডা. মাহবুব আলম, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, ডা. সোমা রানী রায়, ডা. তনিমা রায়, ডা. তাহমিনা আক্তার, ডা. সুইটি বড়–য়াসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও অপটোমেট্টির শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ডা. রবিউল হোসেন বলেন, ‘রক্তের চাপের মতো চোখেরও একটি নির্দিষ্ট চাপ থাকে। কোনো কারণে এই চাপ বৃদ্ধি পেলে চোখের অপটিক নার্ভের মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং আস্তে আস্তে নার্ভটি শুকিয়ে যায়। ফলে দৃষ্টির পরিসীমা কমতে থাকে। এক পর্যায়ে চোখ দৃষ্টিহীন হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে এ রোগের তেমন কোনো উপসর্গ থাকে না। একবার দৃষ্টিসীমা কিছুটা নষ্ট হলে সেটুকু আর ফিরেও পাওয়া যায় না। অনেক ক্ষেত্রে রোগী এই রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারে না।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল