‘বাংলাদেশে খনিজ সম্পদ সীমিত। কিন্তু যথাযথভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও খনি খনন প্রক্রিয়ায় দক্ষতার অভাবে আমরা এখনো পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে আমাদের পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারদের আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকে খনি আবিস্কার ও উত্তোলন সম্পর্কিত প্রায়োগিক বিষয়ে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরের বিশাল জলরাশি নিয়ে গবেষণার দারুণ সুযোগ রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ সোসাইটি ফর পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার্স (এসপিই) স্টুডেন্টস চ্যাপ্টারের আয়োজনে ‘বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ ও খনি খাতের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। চুয়েটের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী কামরুজ্জামান এবং ইউনি গ্যাস লিমিটেডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (তেল ও গ্যাস) প্রকৌশলী আবদুর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চুয়েট এসপিই স্টুডেন্টস চ্যাপ্টারের ফ্যাকাল্টি এডভাইজার মো. জায়েদ বিন সুলতান। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাইনিং বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী কামরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, টেকনিক্যাল টক, পোস্টার প্রেজেন্টেশন, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল এবং সমুদ্র অঞ্চলে প্রচুর খনিজ সম্পদ রয়েছে। আমাদের তরুণ পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারদের এ বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে। সে জন্যই চুয়েটের যে কোন সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়ার দুইক্ষেত্রের রিসোর্স পার্সনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। যাতে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমির সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় ও কোলাবোরেশন বাড়ে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা একাডেমিকের সঙ্গে প্রায়োগিক জ্ঞানেও সমান দক্ষতা অর্জনে সমর্থ হয়।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল